মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্বোধন করা কেশিয়ারির কর্মতীর্থ এখন ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে।

0
277

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  একপ্রকার লুঠ হয়ে গেছে কেশিয়াড়ির কর্মতীর্থের বিভিন্ন সামগ্রী। একশো চোদ্দটি স্টলের সাটার সহ ফ্যান ইলেক্ট্রিকের যাবতীয় সামগ্রী খোওয়া গেছে। সরকারি সম্পত্তি দেখভাল করা নিয়ে প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে। বেকারেরা দোকান করে অর্থ উপার্জন করতে পারবে সেই লক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন ব্লকের পাশাপাশি কেশিয়াড়ির দুধেবুধে এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে কর্মতীর্থ,

নীল সাদা রংয়ের ঝাঁ চকচকে বিল্ডিং। দোতলা বিশাল বিল্ডিংয়ের গায়ে লেখা সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা উন্নয়ন দপ্তর। গত ২০১৬-র ৩ নভেম্বর কোনও এক অনুষ্ঠান থেকে এই মার্কেটিং কাম ট্রেনিং সেন্টারের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী।
বছর না ঘুরতেই গড়ে ওঠে দোতলা বিল্ডিং।জানা গেছে, ব্যবসা ও যাবতীয় কাজের জন্য লটারি করে স্টল বিলি করা হয়েছে।কিন্তু দীর্ঘদিন কোনও অজ্ঞাতকারনে তা চালু করা যায়নি। সেন্টারটি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে জায়গা নির্বাচন নিয়েও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। বাজার এলাকা থেকে কমপক্ষে প্রায় দুকিমি দূরে মাঠের মাঝখানে ফাঁকা এলাকায় অবস্থিত মার্কেটিং কাম ট্রেনিং সেন্টারটি। কাজের কাজ যা হওয়ার তাই হয়েছে। নিরাপত্তা রক্ষীহীন কর্মতীর্থ এখন ভাঙাচোরা ঘর। লুট হয়েছে প্রত্যেকটি সামগ্রী। একশো চোদ্দটি স্টলের সাটার দরজা ভাঙা, দোমড়ানো মোচড়ানো। চুরি হয়েছে লাইট, ফ্যান, ইলেক্ট্রিকের তার-সহ বাথরুমের যাবতীয় সামগ্রী। লুট হয়েছে জলের পাম্পটিও ? প্রশাসনের নাকের ডগায় এই ধরনের চুরি নিয়ে হতবাক মানুষ। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কেশিয়াড়ির কর্মতীর্থ বিরাট প্রশ্ন চিহ্ন রেখেছে। প্রহরীহীন খোলা গেট ঠেলে ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়ে সাটার ভাঙা রুমে মদের বোতল। ছেঁড়া জামা, ভাঙাভাঙিতে আর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দুষ্কৃতীদের দুষ্কর্মের চিহ্ন। সারা বিল্ডিংয়ের ওয়েরিংয়ের জিনিসপত্র লোপাট। জানলার কাচ-দরজা ভাঙা। মাঠের মাঝখানে অবস্থিত কর্মতীর্থে চলে এখন দুষ্কর্ম ? কেশিয়াড়িবাসী এতে বিস্মিত। তাদের প্রশ্ন কী জন্যে গড়ে তোলা হলো এই তীর্থ !
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে কেশিয়াড়ি প্রশাসন সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় কী দায়িত্ব পালন করছে ! কাজ তো পেলই না কেশিয়াড়ির মানুষ উপরন্তু দুষ্কৃতীদের সরকারি সম্পত্তি লুট করার কাজে সহায়তা করা হলো। কেননা রক্ষী নেই, নেই গেটে কোনও তালা। তবে কীভাবে প্রশাসন নজরদারি চালাচ্ছে ! কেন কোনও নিরাপত্তা রক্ষী রাখা হয়নি ?

তৈরির সময়েই অনেকের অভিযোগ ছিল কেশিয়াড়ি বাজার এলাকা থেকে দু কিমি দূরে মাঠের মাঝখানে কর্মতীর্থের মতো প্রকল্প গড়ে তোলা নিয়ে। জায়গা নির্বাচন নিয়ে দায় সেরেছে প্রশাসন। জানা যাচ্ছে জায়গা নির্বাচন নিয়ে সমস্যা ছিল অনেকেরই। যদিও পিডব্লিউডি জায়গা নির্বাচন করেই গড়ে তুলেছে এই প্রকল্প। ভাবা হয়নি কর্মতীর্থ যাদের উদ্দেশ্যে তৈরি তাদের কথা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here