পৃথিবীর বুকে মাথা রেখে ঘুমোই না কতোদিন..
পুরোনো পুরোনো পথের কিনারায় সেই হেঁটে বেড়াই…
হয়তো-বা নতুনের ঘাসের শিশিরে আবার পা ভেজাবো নেশাতুর..
শুধু আজকের আমিটাকেই কোথাও আর খুঁজে পাচ্ছি না….!
রোজ ভাবছি আপাতত এটুকুই,
সত্যিই রে ” প্রিয়তমা পৃথিবী “..
তোর মতো আমাকে কেও ভালোবাসে না…..!
সকালের জানালার পর্দা সরিয়ে আলো আসে..
পাখিদের ছোট ছোট শরীরের ঘ্রাণ আজকাল নাকে ভেসে আসে…
তবুও কি অদ্ভুত,
প্রিয় চারদেয়ালের মাঝেও মানুষের অসুখী মুখ…!
চুপচাপ কর্পোরেশনের গাড়ী চলে যায় ধূপগন্ধী বাতাস ছড়িয়ে..
পাড়ার মোড়ের মায়ের মন্দিরে পুজোর প্রসাদের জন্য পায়ের ক্লান্ত অপেক্ষা নেই..
ভোরের আজানের ধ্বনির সাথে সাথে কেমন যেন চুপ হয়ে গেছে..
শেষ বিদায়ের আশির্বাদ..
” হরি বলো.. বলো হরি”….!
সময়ের গায়ে ধুলো পড়ছে…
নিয়ম পুড়ছে.. অনিয়ম পুড়ছে..
কিছু মুখ বাঁচাতে চাইছে..
কিছু মুখ চাইছে মারতে..
আর বাকি মুখগুলো কি প্রচন্ড অসহায় হ’য়ে,
শ্রেফ বিধাতার নির্ধারিত প্রচলিত সময়টুকু মুক্ত বাতাসের নিঃশ্বাস চাইছে শুধু….!
ইতিহাসের পাতায় চোখ রেখে রেখে ক্লান্ত কর্পোরেট..
কর্পূরের মতো আগুনে ধোয়া হয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে ছেলেবেলার ডাইরি..
সময়কে কিনে নেয়া জন্য সভ্যতায় মানুষের দারুণ কিছু শতাব্দীর বিনিময়ে,
প্রিয় ‘সময়’ লুকিয়ে গেলো অসময়ের কলাপাতায়..
সবুজের দগদগে ক্ষত ঢাকতে..!
বর্ষবরণের ঋণের বোঝা নেই এখন মানুষের কাঁধে..
ক্রমাগত শক্ত হয়ে ওঠা মানুষের চোয়ালে..
বর্তমানে মাতম বাঁচা চোখগুলোর
গায়ে ছোট্র করে হাওয়াই চিরকুটে লেখা লাল কালির সময় পত্র..
“তোমাদের জন্য রেখে গেলাম অতীতের স্মৃতিমেধুর কান্না..
ভবিষ্যতের জ্বালামুখে টলমলে আহবান..
শুধু বর্তমানটার গায়ে আঁকড়ে দিলাম তোমাদের সেই ছেলেবেলা ‘স্ট্যাচু’উউউ…………”
দিব্যি বলছি…
আজকেই আমি রোজ ভাবছি আপাতত এটুকুই,
সত্যিই রে ” প্রিয়তমা পৃথিবী “..
তোর মতো আমাকে কেও ভালোবাসে না…..
কেও ভালোবাসেনা….!