আবৃত্তি শিল্পী জয়িতা ভট্টাচার্য-এর একান্ত সাক্ষাৎকার।।

0
12877

আজ এমন এক মানুষের মুখোমুখি হতে চলেছি বাংলার মানুষ তাঁকে চেনেন The Drama Queen নামে। পেশায় ও ভালোবাসায় তিনি একজ প্রতিথযশা আবৃত্তি শিল্পী। তিনি শব্দ সাধক। শব্দ গুলো আবলিলায় তাঁর মুখ দিয়ে ঝরতে ঝরতে রামধনুর সাত রাঙা রঙ তৈরী করে। যে রঙে মাখা মাখিয় হয়ে যায় কবিতা প্রিয় প্রতিটি মানুষের হৃদয়। তিনি শোনানা, আর চুপটি করে হাজার হাজার শ্রোতা নীরবে শুনে যান তাঁর শব্দ জাদু। তিনি আর কেউ নন, আমাদের সকলের পরিচিত আবৃত্তি শিল্পী জয়িতা ভট্টাচার্য। আজ তাঁর সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় আমি সুমন কুমার ভূঞ্যা, সম্পাদক, সব খবর নিউজ পোর্টাল…..জানব তাঁর শৈল্পীক জীবনের নানা অজানা কথা….

প্রশ্নঃ- কবিতা নিয়ে ভাবনা কি ভাবে শুরু?

উত্তরঃ- দিনক্ষণ তো সে ভাবে মনে নেই। তবে বছর যখন ১২/১৪, তখন থেকে আবৃত্তি চর্চা শুরু করি। তাও খুবই সাধারন ভাবেই। তবে কবিতা নিয়ে ভাবনা শুরু হয় আরো অনেক পরে।

প্রশ্নঃ- আপনার গুরু কে?

উত্তরঃ- আমার আবৃত্তি শেখা শুরু হয় পাড়ার এক কাকু, শ্রী দীপক চক্রবর্তী -র কাছে। তারপর পাড়ারই এক অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় আবৃত্তি শিল্পী শ্রীমতী শর্মিষ্ঠা চট্টোপাধ্যায়ের সাথে। তাঁর কাছে বেশ কিছুদিন চর্চার পর, তিনিই আমাকে নিয়ে যান সারথি নামক আবৃত্তি সংস্থায়। শুরু হয়, অনেকের সাথে আবৃত্তি চর্চা শ্রী পার্থ মুখার্জির পরিচালনাতে।
ইতিমধ্যে নাটকের প্রতি আমার ঝোঁক আমাকে উপস্থিত করে শ্রীমতী শুক্লা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে।
বর্তমানে আমি যাঁকে আমার মেন্টর বলে মানি তিনি কবি অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায়। তাঁর, পরিচালনায় কাজ করতে গিয়ে অনেক কিছু শিখেছি। প্রতিদিন কিছু না কিছু শিখেই চলেছি। আমি খুব ভাগ্যবতী তাঁকে মেন্টর হিসাবে পাশে পেয়ে।

প্রশ্নঃ- কবিতাতে আবেগ, ইমোশান কতটা প্রয়োজন হয়?

উত্তরঃ- কবিতাতে কবির আবেগই ভরে থাকে সর্বত্র। কবির আবেগের বহিঃপ্রকাশেই সৃষ্ট হয় কবিতা।
একজন আবৃত্তির কর্মী হিসাবে বলি, আমার কাছে কবিতা মানে জীবনের প্রতিচ্ছবি। আবৃত্তির সময় পরিমিতি বোধ থাকাটা খুব দরকারী। আবেগের আতিশয্য বা আবেগের ঘনঘটাই আবৃত্তির প্রথম ও প্রধান শত্রু।
‘আমি’ শব্দটি উচ্চারণ করতে গিয়ে সমুদ্রের অতলে ডুব দিয়ে গদগদ হয়ে বলার যেমন কোন কারন নেই, তেমনই কান্না লেখা থাকলেই গলা কাঁপিয়ে কেঁদে ফেলারও কিছু নেই। আবৃত্তির ক্ষেত্রে কবিতার নির্জাসটুকুর সাথে সামঞ্জস্য রেখেই আবেগের প্রকাশ করতে হবে। আবেগ প্রকাশ করতে গিয়ে অতিনাটকীয়তা কোন অবস্থাতেই গ্রহণ যোগ্য নয়।

প্রশ্নঃ- একজন বাচিক শিল্পী হতে গেলে কি কি গুন থাকা দরকার?

উত্তরঃ- বাচিক শিল্পী? আমি তো আবৃত্তি চর্চা করি তাই আবৃত্তি নিয়েই বরং কথা বলি। যদিও, আমি বিশ্বাস করি না, এভাবে ১,২,৩ করে সবটা বলা সম্ভব।
সবার প্রথমেই আমি উচ্চারণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকি। অনেকগুলো বছর বাংলার বাইরে থাকার সুবাদে, লক্ষ্য করেছি, একমাত্র বাঙালিরাই উচ্চারণের ক্ষেত্রে একদমই যত্নবান নন। একটু যেন অলস প্রকৃতির। তার সাথে অন্যভাষার প্রভাবে, উচ্চারণে অনেক সময়ই কৃত্তিমতা লক্ষ্য করা যায়।
এরপরেই আসে বোধের প্রশ্ন। এর মধ্যে ছন্দতাল থেকে শুরু করে প্রকাশভঙ্গী, মডিউলেশন, ইন্টোনেশন সবকিছুই আসে।
দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের পরেই এই গুণগুলো আয়ত্ব করা সম্ভব।

প্রশ্নঃ- ঠিক কোন বয়স থেকে শুরু করা উচিৎ?

উত্তরঃ- কোন নির্দিষ্ট বয়েস বলে কি সত্যিই কিছু হয়! এতো আর স্কুলে ভর্তি করা নয়। তবে ধ্রুপদী নাচ শুরুর ক্ষেত্রে কমপক্ষে একটি বয়েস থাকে। কারন, তার আগে পায়ের হাড় নাচের জন্য উপযুক্ত হয় না। গানের ক্ষেত্রেও ভোকাল কর্ড তৈরী হওয়ার একটা বিষয় থাকে। ঠিক তেমনই, আবৃত্তি পরিবেশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বোধ, উপলব্ধি। সেটি যখন নিজের মধ্যে অনুভব করা যাবে তখনই আবৃত্তি পরিপূর্ণতা পায়। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠতে পারে, তবে কি ছোটরা আবৃত্তি করবে না? নিশ্চয়ই করবে। কিন্তু চিন্তা করে দেখুন আবৃত্তি উপযুক্ত নির্মান কিন্তু গুরুই তৈরী করে দেন।

প্রশ্নঃ- কতটা সময় অনুশিলন করা দরকার?

উত্তরঃ- এর কোন ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। যতো বেশিক্ষণ সময়ই দেওয়া হোক, মনে হয় ততোই কম পড়ছে। বরং আমি আমার ছাত্রছাত্রীদের বলে থাকি, আবৃত্তিকে সারাদিনের বাকি কাজগুলোর সাথে জুড়ে নিতে। তবেই একটি কবিতা আবৃত্তি হয়ে উঠতে পারে।

প্রশ্নঃ- অনেককেই কবিতা নিয়ে গ্রুপ পোগ্রাম করতে দেখি, অনেকটা গানের ব্যান্ডের মতন…আপনার কি সেই রকম কোনো গ্রুপ পোগ্রাম করে থাকেন?

উত্তরঃ- না। আমি মঞ্চে একাই থাকি। অবশ্য কবিতাতে যদি দুটি বা তার বেশি চরিত্রের উপস্থিতি কাম্য হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হয়।

প্রশ্নঃ- কবিতার ডালি নিয়ে কখনো বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন? কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন।

উত্তরঃ- বাংলাদেশে গেছি বারদুয়েক। প্রথমবার গেছি বোধন আবৃত্তি সংস্থার ডাকে। পরেরবার গেছি হরবোলার আমন্ত্রণে। দুবারই মানুষজন খুব ভালোবেসেছেন আমার পরিবেশনা।
বাংলাদেশের প্রথিতযশা আবৃত্তিশিল্পী মজুমদার বিপ্লবের আতিথেয়তা, হরবোলা গ্রুপের সকল সদস্যদের ভালবাসা সারা জীবন মনে থাকবে।

প্রশ্নঃ- নির্দিষ্ট ভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পরিকল্পনা, কিংবা কবিতা কে নিয়ে ভবিষ্যতে সুদূর প্রসারী কোন ভাবনা কি রয়েছে?

উত্তরঃ- আমার নিজস্ব একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ‘নাদ’ প্রথম শব্দ। কিছু স্বপ্ন জুড়ে রয়েছে এর সাথে। ছোট্ট পায়ে চলতে চলতে দেখা যাক কোথায় পৌঁছতে পারি…

প্রশ্নঃ- আপনার শিল্পী জীবনে কোন কোন শিল্পীর সান্নিধ্যে এসেছেন?

উত্তরঃ- ওভাবে নাম বলাটা খুব মুশকিলের।

প্রশ্নঃ- আপনার সবচেয়ে প্রিয় কবিতা কোন টি? মানে যেটা আপনি বার বার আবৃত্তি করতে চাইবেন?

উত্তরঃ- এভাবে একটি কবিতার নাম বলাটা খুব মুশকিলের। একএকটি কবিতা একএকটি কারনের জন্য মনের কাছের। যেমন ধরুন, কবি অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায়-এর ‘বর্ষা’ কবিতাটি আমার মনের খুব কাছের। কারন এই কবিতাটিতে আমি নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছিলাম। কবি অনিন্দ্যরই লেখা ‘একসাথে নয় সাতে’, যে কবিতাটি আমাকে প্রথম সমাজের সকল ক্ষেত্রে পরিচিতি দিয়েছে। ‘পাঞ্চালী’ যেখানে নিজেকে প্রকাশ করতে পেরেছি অন্যভাবে। ‘ছিনিয়ে তার মিনিয়েচার’ যেখানে নিজেকে ভেঙেছি। ভাঙতে খুব কষ্ট হয়েছিলো, কিন্তু ডিরেক্টর অনিন্দ্য করিয়ে নিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দুঃসময়’, ‘সোনার তরী’ আমার মনের খুব কাছের। এরকম আরো অনেক অনেক কবিতা আছে। কাজী নজরুল ইসলামের ‘গানের আড়াল’, জীবনানন্দ দাশের ‘বলিল অশ্বত্থ সেই’, বা বুদ্ধদেব বসুর ‘জোনাকি’ আমার খুব প্রিয়।

প্রশ্নঃ- আবৃত্তিতে এখন কতটা অাধুনিকতার ছোঁয়া এসেছে?

উত্তরঃ- আধুনিকতা কথাটিই সময়ের প্রেক্ষিতে বাঁধা। আমাদের ছোটবেলায় যেভাবে আবৃত্তি করা হতো, সেটি সেই সময়ের প্রেক্ষিতে আধুনিকই ছিলো। এখনো তাই। আবার বেশ কিছুদিন পরে এখন যাকে আধুনিক বলে কলার উঁচু করছি বা নাক সিটকাচ্ছি তা পুরনো হয়ে যাবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি ঐতিহ্যকে বজায় রেখে, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলা জরুরি। আমার কাজের ক্ষেত্রে তার প্রতিফলন দেখা যায়।

প্রশ্নঃ- আবৃত্তি আপনার পেশা, নেশা, না ভালোবাসা?

উত্তরঃ- তিনটেই। ভালবাসা, নেশা এবং পেশা।

প্রশ্নঃ- আপনার জীবনের বিশেষ কোন একটি স্মরনীয় মুহুর্ত যদি তুলে ধরেন, যেটা স্মরন করে আজও আবেগ বিহ্বল হয়ে পড়েন?

উত্তরঃ- আমি তখন ক্লাস নাইনে পড়ি। রবীন্দ্রসদনে সারথি’র আয়োজনে রাতভর অনুষ্ঠান ছিল। কিছু অপ্রত্যাশিত কারনে আবৃত্তি শিল্পীরা তখন মঞ্চে যেতে নারাজ। এই রকম একটা অবস্থায়, প্রায় রাত দুটো নাগাদ আমার নাম ঘোষণা করা হলো। মঞ্চে উঠে প্রথমটা খুব কান্না পেয়েছিলো। ব্যস, তারপর মঞ্চের মধ্যে আমি ঠিক কি করেছিলাম মনে নেই। শুধু আবৃত্তি শেষ হবার পরে পিনড্রপ সাইলেন্স ছিলো কয়েক সেকেন্ডের। আর তারপর হাততালিতে ফেটে পড়েছিল রবীন্দ্রসদন। আমি কেঁদে ফেলেছিলাম মঞ্চে দাঁড়িয়েই। সেই আমার পাওয়া প্রথম স্ট্যান্ডিং ওভেশন।

প্রশ্নঃ এমন কোনো স্বপ্ন যা গোপনে লালিত করে রেখেছেন পূরণ করার জন্য? (কবিতা/আবৃত্তি শিল্প সম্পর্কযুক্ত)

উত্তরঃ-গোপন স্বপ্ন যখন, তা গোপনেই থাকুক। স্বপ্ন সত্যি হলে তো সামনে আসবেই। তখনই নাহয় সেই নিয়ে আলোচনা করা যাবে।

প্রশ্নঃ- যদি আপনাকে যৌথ অনুষ্ঠানের জন্য বর্তমান সময়ের সেরা কোনো বাচিক শিল্পী (মহিলা/পুরুষ) সঙ্গে অনুষ্ঠান করার কথা বলা হয় তাহলে আপনি কার সঙ্গে করতে চাইবেন?

উত্তরঃ- এবিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই।

প্রশ্নঃ- কোনো তিক্ত অভিজ্ঞতা, যা আপনি কোনো দিন আর পুনরাবৃত্তি চাইবেন না?

উত্তরঃ- আমারই করা অজস্র ভুল। সেখান থেকে শিখেছি। এগিয়ে যাবার চেষ্টাও করেছি। তবু আবার ভুল করেছি। এই ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি সত্যিই চাই না।

প্রশ্নঃ- মজার কোনো অভিজ্ঞতা, যা ভেবে খুশি হন?

উত্তরঃ- মজার কিনা জানি না। তবে প্রথম যেদিন আমাকে অচেনা কেউ ‘ড্রামা কুইন’ বলে recognise করেছিলো। খুব আনন্দ হয়েছিলো।

প্রশ্নঃ- আপনার চোখে এই সময়কার সেরা বাচিক শিল্পী কে?

উত্তরঃ- এর উত্তর কি দেওয়া যায়? এক আকাশে অনেক তারা থাকে।

প্রশ্নঃ- একজন আবৃত্তি শিল্পী হিসেবে কি অনুধাবন করছেন, কবিতার প্রতি বর্তমান প্রজন্মের ছেলে মেয়ে দের কতটা আগ্রহ রয়েছে?

উত্তরঃ- বর্তমান প্রজন্ম অনেক বেশি organised. তারা খুব ভালো করে জানে, তারা কি চায়। সেই অনুযায়ীই তারা এগিয়ে চলেছে। আগ্রহ বেড়েছে নিশ্চিত। আর তার সাথেই বেড়েছে নতুন চিন্তা নতুন কন্সেপ্ট। যা এই শিল্প মাধ্যমকে আরো শক্তিশালী করছে।

প্রশ্নঃ- আমরা জানি আজকের দিনে বিভিন্ন পেশায় কম্পিটিশান শুরু হয়ে গেছে, টিকে থাকার লড়াই!! আমার জিগ্যাস্য, আবৃত্তিকে কি পেশা হিসেবে নেওয়া যায়? নেওয়া গেলেও কম্প্টিশান কতটা? ভবিষ্যৎ কি?

উত্তরঃ- আমার পরিচিত এমন অনেক আবৃত্তিকর্মী আছেন, যাঁরা এই শিল্পটির ওপরই নির্ভর করে জীবন অতিবাহিত করছেন। অতএব পেশা হিসাবে নেওয়া যায় কিনা, এ প্রসঙ্গ আসে না। হ্যাঁ তবে এও ঠিক, একজন মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে কর্মরতার থেকে তাঁর জীবন সংঘর্ষ অনেক বেশি।
প্রতিযোগিতা তো সব জায়গাতেই আছে। এখানেও আছে।
আমি বিশ্বাস করি, বর্তমানের ওপরই ভবিষ্যৎ দাঁড়িয়ে থাকে। তাই নিজের কাজ করে যাও ভবিষ্যতে ভবিষ্যৎ দেখা যাবে।

প্রশ্নঃ- আবৃত্তি কি শেখান আপনি? আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম? আপনার হাত দিয়ে অনেক স্টুডেন্ট তৈরী হয়েছে, তৈরী হচ্ছে। কি বলবেন তাদের উদ্দেশ্যে?

উত্তরঃ- হ্যাঁ শেখাই। আগেই একবার বলেছি, আবার বলছি, আমার প্রতিষ্ঠানের নাম “নাদ -প্রথম শব্দ”। সব্বাইকেই রেয়াজের দিকে নজর দিতে বলবো।

প্রশ্নঃ- আপনার কোনো অ্যালবাম? অথবা কোথায় গেলে শ্রোতারা আপনার সমস্ত আবৃত্তি শুনতে পাবে? (এখানে উত্তরের সঙ্গে সঙ্গে আপনার ইউটিউবের লিঙ্ক দিয়ে দেবো)

উত্তরঃ- আমার দুটি YouTube চ্যানেল আছে। সেখানেই আমার সব কাজ রাখা থাকে। এখানে লিঙ্ক দুটি দিয়ে দিলাম।

https://www.youtube.com/channel/UCHUQ1-3ryZeszuBEgdO2

https://www.youtube.com/channel/UCb55VDKIpwoh6jtcuxCxsQA

প্রশ্নঃ- আবৃত্তি শিল্পী হিসাবে নিজেকে কত নম্বর দেবেন ১০ এর মধ্যে?

উত্তরঃ- এই কাজটি নাহয় দর্শক শ্রোতারাই করুক। আমি আমার কাজটি করি।

প্রশ্নঃ- আবৃত্তি ও জয়িতা ভট্টাচার্য-একে ওপরের প্রতি কতটা পরিপূরক?

উত্তরঃ- একজন ছাড়া অন্যজনের উপস্থিতি নেই।

এবার কতকগুলো প্রশ্ন করব যে গুলোর এক কথায় উত্তর দিতে হবে।

প্রিয় আবৃত্তি শিল্পী:
পুরুষ… এক একটি কবিতা এক একজনের কন্ঠে ভালো লাগে। কোন একজনের নাম বলতে পারবো না।
মহিলা... ওই একই কথা।
প্রিয় গায়ক– কোন একজনের নাম বলতে পারবো না।
প্রিয় গায়িকা- আবার সেই একই কথা।
প্রিয় অভিনেতা- অনেকে আছেন।
প্রিয় অভিনেত্রী- সেই একই কথা।
প্রিয় ক্রিকেটার- সৌরভ গাঙ্গুলি
প্রিয় ফুটবলার- ক্রিস্টিনো রোনাল্ডো
প্রিয় খাবার- আমি একদমই ভোজনরসিক নই।
প্রিয় বেড়ানোর জায়গা:- শহরের বাইরে। যেখানে নিস্তব্ধতা কথা বলে।
ফুচকা, না আইসক্রিম – কোনটাই নয়।

ভুতের রাজা তিন বর দিতে চাইলে কি কি চাইবেন? –
১) বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রথমেই চাইবো, পৃথিবী আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠুক। আমরা সকলেই যেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারি।
২) আমার প্রিয় মানুষদের স্বপ্ন সার্থক হোক।
৩) আমার ভুল করে ফেলা সময়গুলো ফেরত চাইবো। যাতে সংশোধন করে ফেরত আসতে পারি।

অসংখ্য ধন্যাবাদ জানাই আপনাকে আপনার অমূল্য সময় আমাদের দেওয়ার জন্য।  “সব খবর” ওয়েব পোর্টালের এর তরফ থেকে আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

“সব খবর”-কে আমিও ধন্যবাদ জানাই। অনেক শুভেচ্ছা রইল আগামী দিনগুলোর জন্য। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন, সাবধানে থাকুন। 🙏