(১৯৫৬ সাল থেকে বিবর্তিত হয়ে ১৯৭৮-এ গঠিত হয় ‘Wuhan Institute of Virology.’
দীর্ঘদিন যাবৎ অত্যন্ত গোপনীয়তার সহিত এই Virus Bank-এ গবেষণা করা হয়ে আসছে বৈচিত্রময় প্রজাতির Virus নিয়ে।
পরিণাম!
আজ সমগ্র পৃথিবীর মেরুদন্ড ভেঙে টুকরো টুকরো!
অনুরূপ, area -51 আজও High Secured zone! পরিণাম?….)
সৌন্দর্যের বৈচিত্র ধারণের পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবৎ, এ গ্রহের বিভিন্ন জটিল থেকে জটিলতর রহস্যসমূহ ও তা সমাধানের উদ্দ্যেশ্যে মানুষের অনুসন্ধিৎসু মন বারেবারেই হয়ে ওঠে ব্যাকুলও রোমাঞ্চিত! Mariana Trench থেকে Bermuda Triangle আবার Vatican Secret Archive (Vatican Apostolic Archive) থেকে খুফু’র পিরামিড, সবই যেন রহস্যের আঁতুড়ঘর হিসেবে জীবন্ত দাঁড়িয়ে প্রতি মুহুর্তে ছুঁড়ছে চ্যালেঞ্জ!
পশ্চিম আমেরিকার ৩৬ তম অঙ্গরাজ্য Nevada(Desert)-এর দক্ষিণাঞ্চল ও Las Vegas শহর থেকে প্রায় ১৫০-১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে, Rachel শহরের কাছে অবস্থিত ২৬০০০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে, area 51 নামক বিস্তীর্ণ এই অঞ্চলটিকে সংরক্ষণ করা হয়ে আসছে অতি উচ্চ মাত্রার গোপনীয়তার সাথে।
চতুর্দিকে Closed Circuit Televisions,
Motion Detectors, Laser Detectors, Sound Sensors ইত্যাদি অত্যাধুনিক নানা প্রযুক্তির প্রয়োগ করা হয়েছে এই এলাকার নিরাপত্তায়।
আকাশ পথ দেখার জন্য রয়েছে Radar.
যুক্তরাষ্ট্র সরকার দীর্ঘদিন ধরে স্বীকার করেনি এর অস্তিত্বই। এমনকি মানচিত্র বা সড়ক নকশা কোন কিছুতেই area-51এর কোনো চিহ্নই উল্লেখ করা হত না!
১৯৮৮ সালে সোভিয়েত রাশিয়া Satellite- এর মাধ্যমে ছবি প্রকাশ করলে, সমগ্র পৃথিবীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই স্থানটি।
বিশ্বের রেটিনায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী পরিচালিত এই স্থানটির ইতিহাস ও বর্তমান ফুটে উঠেছে সামরিক বাহিনীর operation ঘাঁটির প্রতিবিম্ব হিসেবে।
বিশেষত জন্ম থেকেই চরম গোপনীয়তার দুর্ভেদ্য অন্ধকারে আবৃত বলে area 51 নিয়ে জনমানসে গহীন রহস্য ক্রমশই ঘনীভূত হয়ে আসছে দিনের পর দিন, আর জমাট বাঁধা এ সকল রহস্যকে কেন্দ্র করেই কালক্রমে জন্ম নিয়েছে বেশ কিছু conspiracy theory.
Area 51-এর কুখ্যাতি অর্জন করা আমেরিকান একজন ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিক Robert Scott Lazar বা Bob Lazar, ১৯৮৯ সালের মে মাসে Las Vegas Television Station ‘KLAS’ -এ, তদন্তকারী সাংবাদিক George Knapp- এর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে দাবী করে বসেন যে, তিনি কিছুদিনের জন্য area 51-এরই একটি অংশে কাজ করেছিলেন, যার নাম S-4.
জায়গাটি এতটাই গোপনীয় যে, ঐ project-এ তিনি ও তাঁর অন্যান্য সহকর্মীদের নিয়ে আসা হয়েছিল যে গাড়িটিতে করে, তার দরজা-জানালাগুলো বন্ধ ছিল এমনভাবে, যাতে তাঁরা যাতায়াতের রাস্তা পর্যন্ত মনে রাখতে না পারেন এবং S-4 এর বিমান ছাউনিতে এমন সব Flying saucer তিনি দেখতে পেয়েছিলেন, যেগুলো কোনোভাবেই পৃথিবীতে তৈরি হতে পারে না।
এই saucer-গুলোর শক্তি সরবরাহ করা হচ্ছিল Antimatter reactor-এর মাধ্যমে। আর জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল লাল বর্ণের একটি পদার্থ যার নাম ‘Moscovium'(A radioactive, synthetic element / Element 115, first synthesized in 2003 by a joint team of Russian and American scientists at the ‘Joint Institute for Nuclear Research’ , atomic number 115.)
Saucer-টি এতটাই শক্তিশালী Gravitational Waves তৈরি করছিল যে, সেটার উদ্দেশ্যে কোনো গলফ বল ছুঁড়ে মারলে সেটিও ফিরে আসছিল তৎক্ষণাৎ!
অর্থাৎ সামরিক খাতে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকার UFO(Unidentified Flying Object)তৈরি করেছিল Reverse Engineering-এর মাধ্যমে।
প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে Bob Lazar এও দাবী করেন যে, ভিনগ্রহের প্রাণীদের নাকি area 51-এ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় জেলখানার আসামীর মতই !
একদা, S-4 এর একটি Hallway দিয়ে যাওয়ার সময় একটি ঘরের ছোট জানালা দিয়ে অল্প সময়ের জন্য উঁকি দিয়ে ধূসর বর্ণের একটি প্রাণীকে সাদা Coat পরিহিত দুজন মানুষের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায়ও আবিস্কার করেন তিনি!
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত শেষ পর্যন্ত তাঁকে হারাতে হয় area 51- এর চাকরি!
বলাবাহুল্য, আমেরিকার সামরিক বাহিনীর হাতে গুলি খাওয়া এক বহির্জাগতিক Pilot- এর সাথে Telepathy- এর মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছেন area 51-এর একজন Officer,
এমনও এক অস্পষ্ট Video footage ধারণ করেছিলেন area 51-এ কর্মরত Victor নামক এক ব্যক্তিও।
প্রাচীনকাল থেকেই, আকাশে অদ্ভুত সব বস্তুর দৃশ্যমান হওয়ার খবর শোনা গেলেও ১৯৪৭ সালে July-এর প্রথমে যখন যুক্তরাষ্ট্রের New Mexico-এর Roswell-এ প্রথম UFO দেখা যাওয়ার খবর প্রচারিত হয় ব্যাপকভাবে, তারপর থেকেই প্রায় সমগ্র বিশ্বব্যাপী এটিই হয়ে ওঠে সবচেয়ে আলোচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
‘Roswell Incident’ নামে ইতিহাসের পাতায় অতি পরিচিত ও রহস্যময় এই ঘটনায় জানা যায়, ওইদিন সকালে একজন আমেরিকান কৃষক এবং foreman, William Brazel কর্মরত অবস্থায় বিশালাকৃতি এক গোল চাকতির ধ্বংসাবশেষ লক্ষ্য করেন ও স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, বেশ কয়েকদিন ধরে তাঁরাও মাঝেমধ্যেই ওই ধরণের কিছু বস্তুকে আকাশে দেখতে পান উড়ন্ত অবস্থায়!
বিষয়টি জনসমক্ষে প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ এবং প্রশাসন সমস্ত লোকজনকে সরিয়ে দেন সেই স্থান থেকে।
পরের দিন, ‘RAAF( Roswell Army Air Field) Captures Flying Saucer On Ranch in Roswell Region’ শিরোনামে এই ঘটনার বিশ্লেষণ প্রকাশিত হয় ‘Roswell Daily Record’ নামক এক দৈনিক পত্রিকায়।
এই Paper- এ এও প্রকাশ পায় যে, ওই Flying Saucer-এর মধ্যে থেকে US Military-রা দুটি Alien-এর মৃতদেহ উদ্ধার করেন যারা মারা গেছিল এই দুর্ঘটনার ফলেই এবং পরবর্তীতে এদের নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী Military base -এ যেখানে তাদের নিয়ে চালানো হয় গোপন Experiment ও ময়না তদন্ত!
US Military প্রথমদিনে Flying Saucer-এর বিষয়টিকে স্বীকার করলেও পরবর্তীকালে, প্রায় মুহুর্তেই সেটিকে তারা জনসমক্ষে তুলে ধরেন একটি Weather balloon test হিসাবে এবং Local newspapers থেকে বিভিন্ন স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে এই খবরটিকে সু-প্রতিষ্ঠার জন্যে শুরু হয় চাপ দেওয়া।
১৯৭৮ সালে Nuclear Physicist ও লেখক, Stanton T. Friedman একটি Interview নেন Major Jesse A. Marcel-এর, যিনি সাহায্য করেছিলেন Flying Saucer- এর ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ এবং নিকটবর্তী Air Force Base-এ সেগুলিকে পৌঁছে দিতে।
Interview- তে Marcel স্বীকার করেন যে, Roswell-এর ধ্বংসাবশেষগুলি ছিল UFO-এর ও সেই স্থান থেকে পাওয়া বিভিন্ন বস্তুসামগ্রীর কোনটাই পৃথিবীর বলে মনে হয়না!
পরবর্তীতে লেখক Stanton T. Friedman দ্বারা প্রকাশিত হয় ‘TOP SECRET/MAJIC’ , ‘CAPTURED'(The True Story of The World’s First Documented Alien Abduction.), ‘FACT, FICTION, AND FLYING SAUCERS’ প্রভৃতির মতন চাঞ্চল্যকর তথ্যসমৃদ্ধ জনপ্রিয় বই।
প্রকৃত এই ঘটনার ৪৮ বছর পর ১৯৯৫ সালে Ray Santilli(British) নামক এক Television, Film & Record Producer-এর মাধ্যমে ‘Alien Autopsy’ নামক ১৭ মিনিটের এক সাদা-কালো Film প্রকাশিত হয় যেখানে দেখা যায়, Roswell Incident-এর UFO থেকে উদ্ধারকৃত Alien-এর মৃতদেহ নিয়ে ডাক্তাররা কাটা-ছেঁড়ার মাধ্যমে চালাচ্ছেন ময়না তদন্ত!
Video- টি প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথেই প্রায় সারা বিশ্বব্যাপী শুরু হয় ঘুমন্ত উত্তেজনা ও সংবেদনের তুমুল রেনেসাঁ!
পরবর্তীকালে সরকার এটিকে Hoax (ধাপ্পাবাজি) বলে উড়িয়ে দেন।
সাল ২০১৬-এর May মাসে, রাষ্ট্রপতির জন্য গণতান্ত্রিক মনোনয়নের জন্য সম্ভাব্য মনোনীত প্রার্থী Hillary Clinton, Jimmy Kimmel Live -এ গিয়ে বলেছিলেন যে যদি তিনি President নির্বাচিত হন তাহলে Roswell-এর ঘটনার সত্যতা তুলে ধরবেন জনসাধারণের কাছে।
দূর্ভাগ্যবশতঃ ওনার পরাজিত হওয়ার ঘটনার ভিত্তিতে, সেই রহস্য থেকে যায় রহস্যেই!
কিছু Conspiracy theorist-এর মতে, area-51-এ আসলে American সরকার এবং ভিনগ্রহের প্রাণীরা যৌথ প্রচেষ্টায় মানুষ ও এলিয়েনের সংকর প্রজাতি সৃষ্টির কাজে গতিশীল।
বিশ্বখ্যাত ইংরেজ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতজ্ঞ Stephen William Hawking তাঁর ‘Stephen Hawking’s Favorite Places’ নামক এক Original documentary series-এ উল্লেখ করেছেন যে,
‘One day, we might receive a signal from a planet like this….
But we should be wary of answering back. Meeting an advanced civilization could be like Native Americans encountering Columbus.That didn’t turn out so well !’
আর বিশ্বের অধিকাংশ বিজ্ঞানীই
স্বীকার করে নিয়েছেন যে, এই অনন্ত মহাশুন্যের কোনো না কোনো স্থানে অতিমানবীয় বুদ্ধিমান প্রানীর অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনার কথা।
২০ শতাব্দীর এক প্রখ্যাত বিজ্ঞানী Carl Sagan-এর ধারণানুযায়ী প্রস্তুত করা হয়েছিল ‘Voyager Golden Record’ যেটি আজ থেকে প্রায় ৪০-৪২ বছর আগে সংযোজন করা হয়েছিল Voyager Spacecraft-এর সাথে
এতে, Record-টি চালাবার নির্দেশিকা-সহ ছিলো পৃথিবীর ৫৫ টি ভাষা,১১৫ টি ছবি ও ভারতীয় রাগ ভৈরবী সমেত বিভিন্ন দেশের সঙ্গীত।
Golden Record -টি তৈরীর উদ্দ্যেশ্য ছিল এটাই যে, দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে দিতে কখনও, কোনো একদিন যদি অসীম মহাবিশ্বের কোনো এক গ্রহের এলিয়েন/আমাদের মতই উন্নত কোনো প্রাণীর কাছে গিয়ে এটা পৌঁছায় তবে তারা Disc-টি অনুধাবন করে জানতে পারবে যে আমরা মানুষ, এই Universe-এ উপস্থিত আছি/ছিলাম।
সর্বশেষ NASA -এর উল্লেখযোগ্য মন্তব্য অনুযায়ী সর্বশেষ বলা যেতেই পারে,
‘We are not alone!’