আবির ছোট থেকেই যেমন বুদ্ধিমান তেমনি ন্যায় বাদী। অন্যায়, অত্যাচার সহ্য করে না। প্রতিবাদ করে সম্মুখে অগ্রসর হয়ে। তার দূরদর্শিতা ,চিন্তাভাবনা ,অকাট্য যুক্তি, বুদ্ধিমত্তার ছাপ ফেলে। ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখতো সাংবাদিক হয়ে সত্য ঘটনার প্রকাশ করা। এই অদম্য জেদ তাকে তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। একটি বিখ্যাত সংবাদপত্রের মুখ্য সম্পাদক।
অনেক সত্য ঘটনার খবর প্রকাশ্যে এনে সমাজের দায়বদ্ধতা পালন করেছে ঠিকই কিন্তু তাকে অনেক বিড়ম্বনা সহ্য করতে হয়েছে । অপমানিত হতে হয়েছে কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে ছাড়েনি।
একদিন কোন এক বিখ্যাত ব্যক্তির ইন্টারভিউ নিতে তার দপ্তরে পৌঁছে যান। চেয়ারে বসে অপেক্ষা করছেন। সেই সময় এক মহিলা ওই কক্ষটি তে প্রবেশ করে। আচমকা এমন কিছু কান্ড ঘটে যা অপ্রত্যাশিত। এমতবস্থায় মহিলার সঙ্গে তাঁর বচসা শুরু হয়। । মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে চেম্বার ছেড়ে বেরিয়ে যায়। আবির খোঁজখবর নিতে এসেছিল। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ও ষড়যন্ত্রের মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এখানে এসে তার অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়। তিনি সরাসরি তাঁর প্রশ্নগুলো করেন? ওই বিখ্যাত ব্যক্তি, এর কোন সদুত্তর না দিয়ে আবীরকে বাইরে বেরিয়ে যেতে বলেন। আবির বিন্দুমাত্র বিচলিত না হয়ে চেম্বার ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেন এর সত্য উদঘাটন তিনি করবেন ।
কাকতালীয়ভাবে রাস্তায় ওই মহিলার সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। তিনি নিজের পরিচয় দিয়ে ঘটনার বর্ণনা জানতে চান। মহিলাটি যা উত্তর দেন তা উনার কাছে অকল্পনীয়। উনি মহিলাটিকে থানায় অভিযোগ করতে ও আদালতে যাবার পরামর্শ দেন। মহিলাটি জানায় এত বড় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তিনি কি প্রাণে বেঁচে থাকবেন? সাক্ষীই বা পাবেন কোথায় ? আবির বলে আমি আপনার পাশে আছি , প্রয়োজনে আমি সাক্ষী দেবো। আপনারা যখন কথা বলছিলেন উক্ত ঘটনার সময় আমার এই কলমের গোপন ক্যামেরায় সব রেকর্ড হয়ে আছে। প্রমাণ হিসেবে এটুকুই যথেষ্ট।
আপনি সাক্ষী দেবেন? মহিলাটি প্রশ্ন করে, আবির নিঃশর্তে সম্মতি জানায়।
মামলাটি আদালতে উঠলে আবিরের ফোনে বিভিন্ন রকম প্রলোভন বার্তা আসতে থাকে। কিন্তু আবির তাতে আপোষ করে না। এরপর প্রাণের হুমকিও ক্রমাগত আসতে থাকে। আবির বিন্দুমাত্র পাত্তা না দিয়ে নির্দিষ্ট দিনে জর্জের সামনে উপস্থিত হয় যাবতীয় প্রমাণ নিয়ে।
মামলাটির বিচার শুনানির আগে মাননীয় বিচারপতি সরাসরি আবিরকে প্রশ্ন করেন, আপনার ভয় নেই? আপনি তথাকথিত প্রখ্যাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমান দিলেন ? আপনার সৎ সাহসের তারিফ করতে হয়।
আবির উত্তর দিলেন : মাননীয় ধর্মাবতার , আমার শিরদাঁড়া বিক্রি নেই….