উপহার : দিলীপ রায়।

0
659

গণপতি সাধুখাঁ সদ্য অবসর নিয়েছেন । এতকাল তিনি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদ অলংকৃত করে নিষ্ঠার সঙ্গে নিজ দায়িত্ব পালন করেছেন । তাঁর জীবন দর্শনে নিষ্ঠা ও সততা অবিসংবাদিত । সারাটা জীবন তিনি স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের নিজের সন্তানের মতো যেমন স্নেহ করেছেন তেমনি শাসনও করেছেন । যার জন্য ছাত্র ছাত্রীদের শ্রদ্ধা ভালবাসা ছাড়া অবসরকালীন তেমন কোনো আর্থিক সুযোগ সুবিধা তাঁর কপালে জোটেনি । বেশীর ভাগ উপার্জিত অর্থ খরচ করেছেন দুস্থ নিঃশ্ব ছেলেমেদের শিক্ষা প্রসারের প্রয়োজনে । এখন টানা চাকরি জীবনের পরে তাঁর স্বস্তির নিঃশ্বাস ।
দুটি মেয়ে । অনেক আগেই তাদের বিয়ে সমাপ্ত । তারা নিজ নিজ জায়গায় প্রতিষ্ঠিত । সেদিক দিয়ে গণপতি বাবুর শান্তি ষোলোআনা । যদিও মেয়েদের সখ্‌ আহ্লাদ মিটিয়েছেন তাঁর অর্ধাঙ্গিনী । শুধু তাই নয়, মেয়েদের মানুষ করা এমনকি পাত্র নির্বাচন একা হাতে সামলিয়েছেন তাঁর স্ত্রী । কেননা গণপতি বাবু স্কুলের হস্টেলেই থাকতেন । যদিও স্কুল খুব দূরে নয়, বাড়ি থেকে দশ কিলোমিটার । দিব্যি তিনি মোটর বাইকে বাড়ির ভাত খেয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে পারতেন । কিন্তু স্কুলের স্বার্থে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সামগ্রিক উন্নয়নের কথা ভেবে, তিনি দিনের শেষে বাড়ি ফিরতেন না । স্কুল হস্টেলেই জীবন কাটাতেন । হস্টেলে থাকার পেছনে আরও একটা কারণ ছিলো, যেসব ছাত্র ছাত্রী পড়াশুনায় পিছিয়ে তাদের নিয়ে দিনের শেষে তিনি বিশেষ ক্লাস করতেন । সেইসব ছাত্র ছাত্রীদের তৈরী করতে প্রচুর সময় দিতেন । এই জন্য হস্টেলে থাকাটাই তিনি বেছে নিয়েছিলেন । তাছাড়া বেতনের অর্দ্ধেক টাকা দুস্থ ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশুনার পেছনে ব্যয় করতেন । যার জন্য তাঁর একটা নাম স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয়, ছাত্র দরদী ।
এখন অবসর জীবনে স্ত্রীকে নিয়ে গণপতি বাবু খুব ভাল সময় কাটাচ্ছেন । কিন্তু তাঁর একমাত্র চিন্তা, পত্নীকে নিয়ে । তিনি শারিরীকভাবে অসুস্থ । সমস্যা মূলতঃ হার্ট নিয়ে । সময়ে অসময়ে হার্টের যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে ওঠেন । স্থানীয় ডাক্তার বাবুদের চিকিৎসায় বর্তমানে কিছুটা সুস্থ ।
তারপর …।
তারপর একদিন গণপতি সাধুখাঁ ও তাঁর স্ত্রী সরলা দেবী রাত্রির খাওয়া দাওয়া সেরে শুয়ে রয়েছেন । তখন রাত্রি প্রায় ১টা ।
হঠাৎ সরলা দেবীর বুকে যন্ত্রণা । সহজে থামছে না । ঘরে যে ট্যাবলেট ছিলো সেটা খেয়েও বুকের যন্ত্রণা কমার লক্ষণ নেই । অসহায়ের মতো গণপতি বাবু ছটফট করছেন । অতপর কী করণীয়, সেটা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না । অগত্যা তিনি তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে পৌঁছালেন । স্থানীয় প্রাথমিক হাসপাতালের ডাক্তার বাবুরা কোনোরকম ঝুঁকি নিলেন না । সেখান থেকে সরাসরি কলকাতা রেফার করে দিলেন । ভীষণ সমস্যায় পড়ে গেলেন গণপতি বাবু । অ্যাম্বুলেন্সের খুব অভাব । রাত্রিবেলায় কিভাবে কলকাতা পৌঁছানোর গাড়ি জুটবে সেই দুশ্চিন্টায় তটস্থ । এমন সময় হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসা এক রিক্সাওয়ালার সাথে দেখা । তাকে জিজ্ঞাসা করে গণপতি বাবু জানতে পারলেন, তাদের গাঁয়ে নাদির আলির পুরানো আমলের একটা অলটো (ALTO) গাড়ি রয়েছে । তাই রিক্সাওয়ালা গণপতি বাবুকে নিয়ে ছুটলেন, নাদির আলির কাছে । নাদির আলি পেশায় চাষী । তবে বর্দ্ধিষ্ণু চাষী । রিক্সাওয়ালার ডাক শুনে বেরিয়ে এসে গণপতি বাবুকে দেখে অবাক ! “স্যার আপনি ?”
আমি খুব সমস্যায় পড়েছি নাদির । আমার স্ত্রীর ভীষণ অসুখ । এই হাসপাতালের ডাক্তার বাবুরা কোনোরকম ঝুঁকি না নিয়ে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছেন । কিন্তু কলকাতা নিয়ে যাওয়ার কোনো গাড়ি মিলছে না । তাই তোমার কাছে আমার অনুরোধ, তোমার গাড়িটা যদি একজন ড্রাইভার দিয়ে পাঠাও তাহলে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে কলকাতার হাসপাতালে পৌঁছাতে পারতাম ।
স্যার ! আর কোনো কথা বলবেন না । আপনি গাড়িতে উঠুন । এবার সব দায়িত্ব আমার । আপনার আর্থিক আনুকূল্যে আমার লেখাপড়া । আমি বড় চাকরি পাইনি ঠিকই, কিন্তু আপনার সদর্থক ভূমিকা না থাকলে আমার গ্রাজুয়েট ডিগ্রিটা সম্ভব হোতো না । সেই সময়ে বাড়িতে প্রচন্ড অভাব অনটন । পড়াশুনার ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা যখন দিশেহারা, তখন আপনার স্নেহের হাত আমার মাথার উপরে পড়ায় আমার পক্ষে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি সম্ভব হয়েছিলো ।
তারপর গাড়ি ছুটলো কলকাতার দিকে ।
বড় রাস্তার উপরে ক্রসিংয়ে ট্রাফিকে গ্রীন সিগনাল । হঠাৎ চুক্তিবদ্ধভাবে নিয়োজিত ট্রাফিক (সিভিল পুলিশ) এসে গণপতি বাবুর অলটো গাড়ি রাস্তার উপরে দাঁড় করিয়ে দিলো । সেই ট্রাফিক অর্থাৎ সিভিল পুলিশ ড্রাইভারকে হাতের ইশারায় বাইরে বেরিয়ে তাঁর সম্মুখে যেতে বললো । নাদির নিজে গাড়ি চালাচ্ছিলো । বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার পর নাদিরকে ট্রাফিক জিজ্ঞাসা করলো লাইসেন্স সহ গাড়ির কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা ? নাদির বললো, “গাড়ির কাগজপত্র সব ঠিক আছে স্যার, কিন্তু এভাবে দাঁড় করানোর কারণ কী ?”
“সামনে সার্জেন্ট রয়েছে, বেশী কথা বলবেন না । যা বলছি, চুপচাপ তার উত্তর দিয়ে যান ।“
আমার গাড়িতে ইমার্জেন্সি রোগী রয়েছেন । তাঁকে নিয়ে সত্বর হাসপাতালে পৌঁছানো ভীষণ জরুরি । তাঁর জীবন মরনের প্রশ্ন ?
আপনাদের কাছে কাগজপত্রের কথা জিজ্ঞাসা করলেই আপনারা নানান অজুহাত দেখিয়ে পালাবার ধান্দা । চুপচাপ কাগজপত্রগুলি নিয়ে আসুন । সেগুলি পরীক্ষা নীরিক্ষা করার পর আপনার গাড়ি ছাড়া হবে । নতুবা আমি সার্জেন্টকে রিপোর্ট করে দেবো । তারপর আপনি জেলে পচে মরবেন ।
এবার নাদির নিজেকে সংযত রাখতে না পেরে কর্তব্যরত ডিউটি সিভিক পুলিশকে বললো, “নিজেকে সরকারি পুলিশ আধিকারিক ভাববেন না । বাপেরও বাপ রয়েছে । কোন্‌ ক্ষমতায় হুমকি দিচ্ছেন ? গাড়ি চালানোয় আমার কোনো দোষ নেই । তথাপি আপনি ইচ্ছা করে আমাকে অপদস্থ করার কুমতলবে রয়েছেন ? আপনি ডাকুন আপনার সার্জেন্টকে । আমি তাঁর সাথে কথা বলে জানতে চাইবো, “কোন্‌ অপরাধে আমার মতো সমাজের বিশিষ্ট মানুষকে আপনি আটকালেন ।“
ট্রাফিক সিভিক পুলিশ নির্লজ্জের মতো পুনরায় বললো, “কাগজপত্র দেখান, নতুবা আপনাকে জেলের ঘানি টানিয়ে ছাড়বো ।“
অহেতুক দেরী হওয়ার ভয়ে নাদির গাড়ি থেকে কাগজগুলি বার করলো ।
গাড়ির ভেতরে হাটুর উপরে স্ত্রী মাথা দিয়ে শুয়ে রয়েছেন । বের হতে পারছেন না গণপতি বাবু । গাড়ির ভিতর থেকেও সজোরে চিৎকার করতে পারছেন না । জানালার কাচ খুলে হাত নেড়ে নাদিরকে ডাকছেন গণপতি বাবু । কিন্তু নাদির তখন ট্রাফিককে কাগজ দেখাতে ব্যস্ত ।
সব কাগজ দেখার পর গাড়ি ছেড়ে দিলেন । তারপর এ্যায়ার পোর্ট পার হয়ে অনেকটা চলে এসেছেন । সম্মুখে বড় চৌরাস্তা । অনেক গাড়ি নাদিরের গাড়ির সামনে । ধীর গতিতে গাড়িগুলি এগোচ্ছে । এখানেও গ্রীন সিগনাল । নাদিরের গাড়ি বাদিক ঘেঁষে এগোচ্ছে । হঠাৎ চুক্তিবদ্ধভাবে কাজে লাগা ট্রাফিক নাদিরের গাড়ির সামনে এসে ট্রাফিকের হাতের লাঠি দিয়ে গাড়িতে একটা প্রচন্ড আঘাত ! তারপর বললো, “গাড়ি সাইড করুন ।“
“আমার আপরাধ ?” নাদির এবার খানিকটা কড়া মেজাজে বললো । আগের ট্রাফিকের অভিজ্ঞতায় তার ধারনা অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়ে তারা গাড়িকে সাইড করতে বলে । মোট কথা তাদের ধান্দা খারাপ । তাদের বদমতলবের জন্যে নাদিরের মতো নির্দোষ লোকগুলি বিনা কারণে অপদস্থ হচ্ছেন । নাদির এটা মেনে নিতে পারছে না । অথচ তার গাড়িতে স্যারের স্ত্রীর জীবন মরন সমস্যা । যার জন্য গাড়ি থেকে নেমে কিছুক্ষণ তাদের সাথে সওয়াল করে ব্যাপারটার নিস্পত্তিও ঘটাতে পারছে না । অন্যায় বুঝেও তাকে চুপচাপ মেনে নিতে হচ্ছে । এটা নাদিরের কাছে ভীষণ পীড়াদায়ক । তবুও নাদিরের রাগ কমছে না । তাই নাদির শক্ত হাতে ব্যাপারে মোকাবিলা করার তাগিদে বললো, “কোন্‌ অপরাধের জন্য আমাকে গাড়ি সাইডে দাঁড় করাতে বলছেন, বলবেন প্লীজ ?”
“কথা কানে যাচ্ছে না ।“ বলেই হাতের লাঠি দিয়ে আবার তার পুরানো আমলের অলটো গাড়িতে ধরাস্‌ করে মারলো আঘাত ।
নাদির রাস্তার মাঝখানে গাড়িকে দাঁড় করিয়ে তেড়ে মারমুখি হয়ে উঠলো । তারপর ঐ ট্রাফিককে ধমকিয়ে বললো, “তোমার এত সাহস কিসের জন্য ? সমস্যা যদি থাকে সেটা আমার জন্যে, গাড়ির জন্যে নয় । তবে আপনাকে আমার গাড়িকে ঐভাবে লাঠি দিয়ে মারার অর্ডার কে দিলো ? অর্ডার যে দিয়েছেন, আগে তাঁর কাছে নিয়ে চলুন ? তারপর যদি আমার জেল হয়, হোক । আমি জেলে যেতে রাজী ?”
বেশী লম্ফঝম্ফ । একেবারে লক্‌ আগে ঢুকিয়ে ছাড়বো ?
এইযে শুনুন, ভদ্রভাবে কথা বলুন । আপনি লক আপ মানে জানেন কিনা আমার সন্দেহ ? সেই লক্‌ আপের ভয় আমাকে দেখাচ্ছেন ? আগে লক্‌ আপে ঢোকানোর আইন-কানুন পড়াশুনা করে আসুন, তারপর আমাকে লক্‌ আপে ঢোকাবেন ।“
তোকে এক্ষুনি আমি কলকাতা পুলিশ সার্জেন্টের কাছে ধরিয়ে দেবো । আমার সাথে চালাকি ? সার্জেন্টের হাতে দু-ঘা খেলে তোর বদন সোজা হয়ে যাবে ।
“চলুন, আপনার সার্জেন্টের কাছে আগে যাবো ।“ উল্টে চাপ দিলো নাদির ।
ততক্ষণে ডিউটিরত সাদা পোশাকের সার্জেন্ট এসে হাজির । তিনি অত্যন্ত বিনীতভাবে নাদিরকে বললেন, “দাদা, আপনার সমস্যাটা কী ?”
নাদির হেসে উত্তর দিলো, “স্যার, আমি নিজেও জানি না, সমস্যাটা কী ? রাস্তার মাঝখানে আমাকে দাঁড় করিয়ে রেখে আপনার ভয় দেখাচ্ছে ? সে নাকি সার্জেন্টের হাতে আমাকে ধরিয়ে দেবে । তারপর আমাকে জেল খাটাবে ? স্যার, আপনিই বলুন, আমার অপরাধটা কী ?”
সার্জেন্ট তখন জিজ্ঞাসা করলেন, “গাড়ির কাগজপত্র আপনার ঠিক আছে কী ?”
সব ঠিক আছে স্যার ।
কাগজপত্রগুলি নিয়ে আসুন ?
স্যার, একটা কথা বলবো ?
এই তো, আপনাদের সেই এক সমস্যা । কাগজপত্র ঠিক নেই, অথচ সেটা চাইলেই আপনারা রেগে যান ?
পাশ থেকে বিশ্রি ভাষায় ট্রাফিক বললো, “স্যার, এটাকে দু-ঘা মেরে সোজা থানায় পাঠিয়ে দিন । তারপর কোর্টে চালান হয়ে যাক্‌ । তারপর কিছুদিন জেলের ঘানি টানুক ?”
কথাটা শুনে সার্জেন্ট সাহেব ট্রাফিককে ধমক দিয়ে বললেন, “কেসটা সামলাচ্ছি আমি । তুমি এখান থেকে যাও । নিজের নিজের কাজ করো ।“
ট্রাফিক অন্যত্র চলে গেল ।
ইত্যবসরে গণপতি সাধুখাঁ গাড়ি থেকে নেমে নাদির ও সার্জেন্টের কাছে এসে হাজির । গণপতি বাবু করুণ দৃষ্টিতে সার্জেন্টের দিকে তাকিয়ে সার্জেন্টকে দেখা মাত্র গণপতি সাধুখাঁর মুখ থেকে আর একটা কথাও বের হোলো না । চুপচাপ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন । তারপর অযথা বিলম্ব হওয়া অবলোকন করে হাত দুটি জোড় করে সার্জেন্টের দিকে তাকিয়ে বললেন, “স্যার, আমাদের গাড়িটা ছেড়ে দিন প্লিজ । নতুবা আমার অসুস্থ স্ত্রীকে আর বাঁচাতে পারবো না ।“ বলার পরেই তিনি হাউ হাউ করে কেঁদে দিলেন ।
এতক্ষণ পরে সার্জেন্ট সাহেব গণপতি বাবুর দিকে তাকালেন ।
সর্বনাশ ! ইনি তো তাঁর ইংরেজির স্যার । ঐ অবস্থায় সার্জেন্ট সাহেব হাটু গেড়ে বসে স্যারকে প্রণাম করে বললেন, “আপনি গাড়িতে বসুন স্যার । এরপরের দায়িত্ব আমার । আমার পরম সৌভাগ্য, আজ এই অবস্থায় আপনার দর্শন পেয়েছি । আমার বাড়িতে ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের পাশাপাশি আপনার ছবিটা টাঙানো । আপনি আমার আদর্শ শিক্ষক । আপনাকে আমার শত কোটি প্রণাম ।“
তারপর সার্জেন্ট সাহেব মোটর বাইকে আগে আগে পেছনে অলটো গাড়িতে গণপতি বাবু । খানিকটা ভি-আই-পি মর্যাদায় গণপতি বাবুকে এসকর্ট করে নিয়ে সোজা পি-জি হাসপাতালে । হাসপাতালে ভর্তি ও অন্যান্যতে গড়িমসি অবলোকন করে ঐ সার্জেন্ট সাহেব তাঁর শিক্ষা গুরুর পত্নীকে ই-এম বাইপাসের প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে তুললেন । তারপর সমস্ত চিকিৎসার খরচার দায়িত্ব সার্জেন্ট সাহেব নিজের স্কন্ধে নিয়ে বললেন, “আজ যতোটুকু যা কিছু হয়েছি সবটাই আপনার স্নেহ আশীর্বাদের জন্যে । আপনার আশীর্বাদের জন্যে আমি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিতে সক্ষম হয়েছি । আজ আপনার জন্যে আমি যদি কিছু একটা করতে পারি সেটাই হবে আমার জীবনে আপনাকে দেওয়া শ্রেষ্ট উপহার ।“
তারপর………………?
—————————০———————-