বিকৃত সংসস্কৃতি সমাজে যখন সভ্যতা বলে গন্য হয় তখন বুঝতে হবে সেই সমাজ ধ্বংসের মুখে।তার কাছ থেকে নতুন কিছু আশা করস যায় না।বলা ভালো শুভবুদ্ধি সেখানে মননশীলতা হারিয়ে ফেলে।সৃজনশীলতা সেখানে জড়ত্ব পায়।এই কথা বলার অর্থেই নয় যে আমি আধুনিকতায় বিশ্বাসী নই।
একবিংশ শতাব্দীর বুকে দাঁড়িয়ে যখন সভ্যতার বলা ভালো আধুনিকতার নগ্ন রূপ দেখি তখন নিজেকে আধুনিক বলতে কোথাও যেন বঁাধে।সভ্যতার চাকা ঘোরার সাথে সাথেই আধুনিকতার রথচক্র এগিয়ে চলে।কিন্তু তাতে সমাজের কি খুব লাভ হচ্ছে?যদিও বিষয়টা খুব তর্কসম্মত!
কিন্তু দিনের শেষে যখন ভাবা যায় যে যঁা
কিত
দের অনুসরণ করা ছিল আমাদের ছাত্র জীবনের মূল নীতি তঁারাই আজ সমাজে যথেচ্ছভাবে বিকৃত তখন কী জীবনের মূলনীতি ঠিক থাকে?এই
একঘেঁয়েমিতা কাটানোর জন্য আমাদের মনোরঞ্জন দরকার একথা সত্যি। তার সাথে এ কথাও সত্যি আগেকার মানুষও মনোরঞ্জন করতো কিন্তু তাদের সাথে আমাদের পার্থক্য এই যে তাদের চেতনায় সৃজনশীলতা ছিল।আর আমাদের অনুকরণের ছাপ স্পষ্ট।
না অনুকরণে কোনো দোষ নেই কিন্তু তা যদি আসল কে বিকৃত করে তাহলে তা নির্গুণ হয়ে পরে।এতে ক্ষণিকের আনন্দ হয় বটে চিরস্থায়ী প্রশান্তি আশে না।
কিন্তু প্রশ্ন আমাদের মধ্যে সৃজশীলতার এত অভাব কেন?
মনে হয় এই “স্যাটেলাইটের যুগে” আমরা নিজেদের চেতনাকে কৃত্রিম বানিয়ে নিয়েছি।যার দরুন সমাজে জন্ম নিচ্ছে বিকৃত কামনা বাসনা।সমাজ ধীরে ধীরে চরম পরিণতির দকে এগিয়ে চলেছে।এই লোভ লালসাময় সমাজ সংশোধন একমাত্র শিক্ষিত নৈতিক
জ্ঞানসম্পন্ন যুবসম্প্রদায়ের দ্বারাই সম্ভব।
কিন্তু আদৌ কি সম্ভব কারণ তাদের এক বিরাট অংশ আজ ডুবে আছে কৃত্রিম যান্ত্রিকতায়।সমাজে শিক্ষিত মানুষ অনেক আছে।কিন্তু শিক্ষা কেবল নিজের জন্য বঁাচতে সেখায় না।শিক্ষার পরিপূর্নতা তখনই আসে যখন তা সমাজের কল্যানে লাগে।
কিন্তু অন্যায় অত্যাচারের প্রতিবাদ যদি আমরা যেকোনো ভাবেই না করতে পারি তাহলে বুঝতে হবে আমরা মানপত্র পেয়েছি বটে কিন্তু প্রকৃত নৈতিক শিক্ষা পাইনি।
পৃথিবীটা মানুষের জন্যে যদিও মনুষ্যেতর প্রানীও অনেক আছে কিন্তু মানুষই প্রধান। সেই মানুষেরই জীবন যখন বিপন্ন সে সাদা হোক বা কালো নারী হোক বা পুরুষ তখন কি মনে হয় না যে সভ্যতাটা একটা মায়াজাল।আর তার চারপাশে চলছে বাজিকরদের খেলা।
তাহলে আমরা কি মূক- বধির হয়ে সে খেলাই দেখতে থাকব?উত্তরটা অধরাই———!
বিঃ দ্রঃ – সম্পূর্ন লেখাটি লেখকের নিজস্ব ব্যাক্তিগত মতামত।