পাহাড়ের বুক : দেবীপ্রসাদ পাঁজা।

ধ্বংসের প্রবল হাতছানি সত্ত্বেও বারবার পোয়াতি হয় সে,
বিশ্বরূপ দর্শনের মোহে সর্বাঙ্গের সব অহংকার
থমকে যায় শ্রাবণের সাথে সঙ্গমে…
যত বিষাদ, যত নগ্নতা মুছে যায় ফি বছর,
পাহাড়ের দুই বুক ‘শান্তি’ ‘সুধা’র খরস্রোতা পথে উল্লাসের বাঁশি,
নব্য নদীর উদ্দামতার রাজসাক্ষী উপত্যকার অনামিকা বিগ্রহ।

বৃষ্টির আকাশে গৌরি স্বপ্নগুলো ভাসছে দিগন্ত জুড়ে,
নদীর আত্মতুষ্টি ডোবাচ্ছে আগলানো প্রাচীন কুয়া, বাতিঘর…
ঋতুমতী হয়ে এসে নষ্টজল ধুইয়ে গেল
সুবর্ণদ্বীপের ফেরিঘাটে জেগে থাকা জেটিখানি।

বোধিবৃক্ষের শাখা প্রশাখায় ছড়ানো তথাগত হাসি,
কেননা তার কাল্পনিক ঝুরি নাগরিক পর্দা সরাচ্ছে ক্রমশ।
সাগর সঙ্গমে নদীও ভুলতে বসেছে তার ইতিহাস,জন্মবৃত্তান্ত
এটাই নিয়মের বেড়াজাল, এটাই তো বিচ্ছেদের লবঙ্গ!

বাহারি নাভিপদ্মের, পাহাড়ের চুল থেকে নখ
জোছনা ভেজা মনে শীতলতা আহরণ শেষ…
আবার পোয়াতি হবে হয়ত আরেকটা মহাকাব্যিক অনুক্রমণিকায়,
এবার লাল দৈবজ্ঞা পাড়ের এক নারী রূপে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *