তুমি হাজার কবিতা উপহার পেতে পারো,
তোমারই মাতৃভাষায়…
সহজ, সরল, অনাড়ম্বর, নিষ্পাপ স্বীকারোক্তি
কিংবা ধরো প্রেম, ভালোবাসা অমায়িক কিছু বিনিময়
তোমার শূণ্যতা আর পূর্ণতা ঘিরে উদার এক আকাশ —
উপহার দেব দরদামহীন অমূল্য কিছু অনুভব,
নির্মীয়মান কিছু স্বপ্নের দেশ—
লাভ কিছু হবে তাতে?
মাতৃভাষারও অনুবাদ হবে,
তোমার আমার মাঝখানে এক কুয়াশায় ঢাকা পথ—
কবিতা চলেছে হেঁটে…
পথ পার হয়ে তোমার উঠোনে পৌঁছতে পৌঁছতে
কবিতার পাতা রূপান্তরিত অজানা নিশুতি রাতে… খোলনলচেও বদলে গিয়েছে তার
তর্জমা ভুল হলে, ইতিহাসও বিকৃত
কবিতারা কোন ছার!!
ওর নমনীয় দেহ, পরিকাঠামোয় পেলব চিত্রকল্প,
দুমড়ে মুচড়ে আগা গোড়া এক বিকল্প রূপ পাবে
একই শিরোনামে কবিতা ঢালবে বিদ্বেষ, ঘৃণা, প্রতিশোধ…
শেখাবে তোমায় ক্ষমতার আস্ফালন
লোভ লিপ্সার দর্শনে তুমি আবারও আত্মহারা…
আমার স্তবকে ভগ্ন স্বপ্ন, হাহাকার, শূন্যতা —
এই কবিতাকে –আমি চিনিনা…
তার উদগ্র এই বীভৎসতাকে জঠরে করিনি লালন
তবু কিভাবে জন্ম নিল এই অতিবেগুনীর রসায়ন! — আমি জানি না
হয়ত বা আমি স্মৃতি ভষ্ট্র পারমানবিক চেতনা।
যদি কোমলতা ত্যাগ করে, উদ্ধ্যত হয় বিদ্রোহী পঙক্তিরা
জানি,—তাও নিষিদ্ধ হবে,
দেশদ্রোহীর বদনামে হবে কোপের বুলেটবিদ্ধ,
শব্দের গায়ে রক্তের স্রোত, অক্ষরে বেয়োনেট
ভূলুণ্ঠিত বাক্যের শিরদাঁড়া — ঘেরাও করেছে বিকল্প সত্যেরা–
অসত্য ছুঁয়ে কিভাবে তোমায় বিনষ্ট করি ভাঙনের উপহারে?
কবিতারা মৃত –আজ নয়, প্রায় এক যুগ পার হলো…
স্মরণসভার আয়োজন হলে,একবার নয় ব’লো…
আমিই না হয় পোষ মেনে নিয়ে একবার কবি হলাম–
শুধু একটা প্রশ্ন প্রথম ও শেষ –শিল্প কাদের গোলাম?