বর্ণপরিচয় অথবা ডেফোডিল : নিমাই জানা।।

0
420

আমার মা অশৌচ সরল রেখার বৃষ্টি ফোঁটায় ভিজে যাচ্ছে কাকেদের বিকেল বেলায়
মায়ের চোখ বিন্দুর মত সিলেট উপত্যকার কোন নারী, জামিতিক কেন্দ্রবিন্দু খুঁজছে গভীর উপপাদ্য খাতায়
সব দৈর্ঘ্যকে মিলিমিটারে মাপতে নেই
সব দুঃখ কথা আকাশমনি পাতাকে বলতে নেই
শুকনো পাতা বড় সন্ন্যাসী, তানপুরাটি বাজলে
একাকীত্ব আসে পুরনো পাথরের ভেতর
হিউ এন সাং গৃহস্থ কমলা রঙের শাড়িতে ভূগোল বৃত্তান্ত লিখছে

বর্ণপরিচয়ের সাদা পাতায় মায়েরা কেমন নীল ধমনীর স্নান সেরে নেয় গভীর রাতে
সবুজ পাথরের ও এত হাহাকার থাকে !
শহীদেরা তর্পণ করছে দেখো কালো বিটুমিনাস রাস্তায়
ভিজে কাপড়ে চাঁদ মালা গলায় হেঁটে যাচ্ছে প্রিয় কোন সরস্বতী ঠাকুর
স্তিমিত হয়ে যাচ্ছে আমাদের গভীর রাত্রির সঙ্গম নেশা ঘোর
নিজের পায়ের উপর নিজেরই ছায়া পড়ে জোনাকি ঘুমায় এসে নীল চাদর আর শীত কপালের ভাঁজে
ছোবল বসায় কোন বিষধর রাতের শেষ প্রহরে
মাথার কাছে বসে থাকে জন্মদাত্রী একা স্বরবর্ণ নিয়ে

হলুদ পাখিটি বড়ই নিঃসঙ্গ তাকে ছুঁইলে আমার আর ঘুম আসেনা
শিরদাঁড়া দিয়ে যন্ত্রণা নেমে যায় শুকনো ঘাসের নাভিমূল পেরিয়ে
নক্ষত্রেরা জ্যোৎস্না আলোয় আল পথ খুঁজে নেয় মহামানবের পদচিহ্নে
বাউল যেখানে পদ্মার পাড়ে বসে গায়ত্রী জপ করে মধ্যাহ্নে
দহন এলেই বৈরাগ্য চোখের তলায় বাসা বাঁধে

বর্ণের জন্য আমি একটি মুমূর্ষু বিকেল বেলা খুঁজছি
গভীর সংক্রমনের ছোপ আমার চোখে মুখে কষ্টিপাথর থাকেনা মণিকর্ণিকা জুড়ে
মায়ের লালাভ রস থেকে বেরিয়ে আসে অসুস্থ হৃদস্পন্দন
পাঁজরে মাতৃভাষা জেগে আছে
কোন এন্টিবডি নেই । সংক্রমণ নেই । একটি ডেফোডিল ফুটে আছে সহস্র জোনাকির মতো মায়ের কাছে সকলে নাবালক হয়ে আছি আজন্মকাল
প্রতিটি প্রহরে ঈশ্বরী বড় মায়াময় হয়ে ওঠে হলুদ শাড়ির ভাঁজে , ডেফোডিল ফুল