ভাষা নদী হয়ে কলকলিয়ে সমুদ্রে গেলে সে হয়ে ওঠে আত্মার অতুল প্রসাদ।
সুখে-দুখে ,মিলনে-বিরহে তোমাকে গোলকবিহারী করে তুলতে পারলে আমিও হয়ে যাই সুদূরসঞ্চারী মায়ামেঘ।
সরণি যখন বুকের প্রদীপে আলোকিত , পথিক তখন দারুচিনি রোদের মিলনসাগর।
মায়ের স্নিগ্ধ আঁচলে লেগে থাকা বুলি শেখার সেই পাতাবাহারি গন্ধটাই মুক্ত আকাশের অবিকল বর্ণমালা।
রক্তের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে থাকা যে অক্ষর বাউলের ঠোঁটে চিরহরিৎ বার্তা শোনায় সে অক্ষরই মায়ের পূজার শ্রীনিবাস অর্ঘ্য সাজায়।
দীপ যেখানেই জ্বলুক শিখাই তো তার শেষ পরিচয়।
এসো রূপে রসে বর্ণে গন্ধে সপ্তস্বর্গের সেই রামধনু আঁকি যার গর্ভে জন্ম নেয় স্বজনের ছবিঘর।
আমার অন্তিম ভাষা হোক যবনিকাহীন পার্বতী ঝরণার জলছল জলকেলি, আমার অন্তিম শয়ন হোক শিয়রে লেগে থাকা মাতৃভাষার প্রগাঢ় চুম্বন।