তোর মনে আছে অঞ্জলি, সেই দিন যাপনের কথা গুলি,
তোর দুষ্টু চোখের কত না বলা কথায় আমি ছিলাম তোর মালি।
চেয়ে দেখ ফাগুন এসেছে, পলাশ প্রস্ফুটিত ডালে ডালে,
দেখ দখিন হাওয়া কেমন, স্পর্শ করছে তোর শরীর দুলকি চালে।
একবার তুই কি বলবি ,খুব ভালো আছিস আমাকে
ভুলে?
এখনো কি আগের মত বিকেল এলে, হেঁটে যাস চুল খুলে।
একবার এসে দেখ সেই অশান্ত নদীটা আজ কেমন শান্ত হয়ে গেছে,
পাড়ের বনফুলের কুঁড়িরা তোর আসার অপেক্ষায়
একটু একটু করে ধরা দিচ্ছে মৃত্যুর কাছে।
তোর পায়ের নুপুরের শব্দ শুনবে বলে, নদীটা এখনো চেয়ে থাকে পথপানে,
পড়ন্ত বিকেলের সূর্য টা, শেষ আলো ছড়িয়ে আজও ফিরে তাকায় বিদায় ক্ষণে।
শুনেছি তোর রাজপ্রাসাদের মতো বাড়ি আছে গাড়ি আছে,
ব্যাগ ভর্তি টাকাও আছে, একটিবার বলবি ভালোবাসা আছে, তোর্ কাছে?
লালমাটির রাস্তা দিয়ে বিকেল হলেই আজও আসে ঝালমুড়ি নিয়ে বনমালী,
জানিনা আমি কার অপেক্ষায় বসে থাকি,বাড়ি ফিরে যা, ডাক দিয়ে যায় তোর বন্ধু পাঞ্চালি।
আজও নীল আকাশ জুড়ে রূপালী চাঁদের আলো হাসে ফাল্গুনী পূর্ণিমা রাতে,
শুধু তুই এলিনা লালমাটির পথ ধরে, একটিবারের জন্য আমার কাছে এই গাঁয়ে আবীর হাতে।
কথা ছিল দেখা হবে কোন এক দিন, কোন এক সময় হঠাৎ এই পথে,
অনেক জমানো কথা বলবি তুই আমার কানে কানে হাত ধরে হেঁটে যেতে যেতে।
কিভাবে ভুলি বল তোর দেওয়া কথা, তাই আজও আনমনে একা একা পথচলি।
আমি পারবো না রে, আমি পারবো না আমৃত্যু কাল তোকে ভুলতে অঞ্জলি।
(সত্ব সংরক্ষিত)