এই যে বুকে দুরন্ত নিশ্বাস,
ঘেমো গন্ধ এবং কিছু মোহ,
এলো চুলে আজব আতরদানি,
শরীর জুড়ে রঙের সমারোহ।।
নখের আগায় তুখোড় হলাহল,
জিভের ডগায় ছোবল সাংঘাতিক,
বুদ্ধিতে যার ক্ষুরের মাফিক ধার-
অপাঙ্গে তার হাজারখানেক তীর।।
ভালোবাসলে সে যদি হয় নদী
ঘৃণার সময় প্রবল বিষময়।
যে আঁচলে তেল হলুদে ছোপ,
সেই আঁচলেই অনিন্দ্য আশ্রয় !
চোখ দুটো তার জলভরা কোন মেঘ
সময় মতো শাওন ঘনায় তাতে,
হৃদয়ে তার উপচে পড়ে আলো
চাঁদ উঠেছে ফাল্গুনী কোন রাতে !
খিদের সময় কাতর মুখে গ্রাস,
তখন সে তার ফসলি মাঠের রূপ।
প্রখর জীবন যখন ছড়ায় তাপ
জ্বলন জোড়ায় তার দীঘিতেই ডুব।
সইতে পারে, বইতে পারে ভার !
কুলুঙ্গিতে প্রদীপ হয়ে জ্বলে ,
পলতে হয়ে পোড়ে জীবন তার
তবু আয়নায় তার আবেগ কথা বলে।
কানায় কানায় যে ভরাচ্ছে রোজ
বাঁধছে বাঁধুক শরীর, চুড়ি, শাড়ি।
একটা দিবস যথেষ্ট তার নয়
তিলোত্তমা , অনুপমা ‘নারী’।
— অমিতা হাজরা সিনহা