প্রকৃতি ক্ষুন্ন : চায়না খাতুন।

0
596

প্রকৃতি যে ক্ষুন্ন মানতেই হবে তোমাকে
শুধু ক্ষুন্ন নয় ভীষন ক্ষুধার্ত।
তুমি মানো বা না মানো তাতে তার কি আসে যায়
সভ্যতার অত্যাচারের জর্জরিত
আজ দান তার হাতে,
সহ্য করতে করতে আজ ক্ষুব্ধ প্রতিবাদ তার
নিজেরই অধিকার বুঝে নিতে।
প্রকৃতি বুকের যন্ত্রণাকে ফিরিয়ে দিয়েছে তোমাদের
অতিবৃষ্টি, তুফানের তান্ডবে, মহামারী গ্রাসে
সর্বহারা মরে তবু সভ্যতারই ত্রাসে।

পথ নেই আর কোনো —
যেদিকে তাকাও মিশিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা মাটিতে
স্বপ্ন শিকড় দেখো মাটিতেই।
সভ্যতায় উড্ডীন মানুষ বদলাবে না জানি
মৃত্যু মিছিলের পথে হাসির ভ্রুকুটি,
স্বার্থের কড়ি বুকের পাঁজরে —
হয়তো এভাবেই ওরা একদিন সুখ কিনে যাবে মরে।
কি করব বলো বুকে বড়ো ব্যথা নিয়ে লিখি,
যদি অসহায় শিশু, গৃহহারা মানুষ
পৃথিবীর কাছাকাছি প্রিয়জন, শ্রমিক
সন্তান হারা মাকে দেখে
চেতনা ফিরে আসে দিকে দিকে।

শুধু দেখি আর ভাবি —
এভাবেই তবে মরে যাবে নাকি
শোষিতের হাতে প্রকৃতির মারে সাধারণ মানুষ।
কতো যুগ পার হয়ে গেছে
প্রকৃতির নীরব বার্তা পাঠিয়েছে ধীরে,
সভ্যতার ছোঁয়ায় ভুলে গেলো যারা
কে দেবে তার মাশুল, জীবনের দাম, হারানোর ব্যথা ?
মানুষের মুখোশে মানুষেরই ধ্বংস–
মহাকাল আছে চেয়ে ।

সভ্যতার রঙে মানুষ বিভোর
চারিদিকে ধ্বংসের চিহ্ন তবু কাটেনি ঘোর,
একেই নাকি বলে সভ্যতা ?
জানা নেই আমার–
প্রকৃতির পুজোয় তার ক্ষুন্নতা মেটাতে
শুধু এটুকু প্রতিবাদ মানুষের তরে
প্রকৃতির বুকে মানুষের পাশে থেকে
মাটি মাখা সভ্যতায় এসো ফিরে।