বাংলাদেশের সঙ্গীতের অসাধারণ জাদুকর ‘প্রবাল চৌধুরী’.. আজ শিল্পীর ১২তম প্রয়াণ দিবসে উনার কর্মের স্বীকৃতি স্বরুপ উনাকে মরনোত্তোর রাষ্ট্রীয় সন্মানে ভূষিত করার দাবি আজ বাংলার সকল সঙ্গীত অনুরাগীদের…..।

0
1568

বাংলাদেশ- চট্রগ্রাম, অশ্রু বড়ুয়া রুপক (বাংলাদেশ টেলিভিশনের সঙ্গীত পরিচালক) :- মানুষের জীবনে অনেক ক্ষতিই হয়তো পূরণ করা যায়। কিন্তু কারো সোনালী স্বপ্ন হারিয়ে গেলে স্বপ্নহীন জীবন বয়ে বেড়ানা যে কতো কঠিন তা ভাষায় বোঝানো যাবে না। বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী বাংলা সঙ্গীতের প্রবাদপ্রতীম কিংবদন্তী শিল্পী প্রবাল চৌধুরীকে হারিয়ে আজ আমি কতো দিশেহারা-ব্যথাতুর তা ভাষাহীন। আমার সেই সোনালী স্বপ্নের আধারটিই হঠাৎ ভেঙ্গে খান খান হয়ে গেল।
প্রবাল চৌধুরীর মৃত্যু আমাদের সঙ্গীত জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি। পৃথিবীর কোনো ক্ষতই চিরস্থায়ী নয়। এক সময় না এক সময় শুকিয়ে যায়। কিন্তু প্রবাল চৌধুরীর হঠাৎ এ মহাপ্রয়াণের ক্ষত পূরণ হতে কতদিন লাগবে তা বলা মুশকিল।
সঙ্গীতের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন সক্রিয়। স্বপ্নে পাওয়া মানুষ প্রবাল চৌধুরী স্বপ্নকে বাস্তব করে তোলার জাদু জানতেন। অমোঘ মৃত্যু কি তবে তাঁর স্বপ্নকে পরাজিত করলো? প্রবাল চৌধুরী কি আজ পরাজিত সৈনিক? না- তা কখনোই হতে পারে না।

একাত্তরের অগ্নিঝরা দিনগুলোতে জীবনের মায়া ত্যাগ করে শুধুমাত্র দেশ মাতৃকার টানে যোগ দিয়েছিলেন স্বাধীন বাঙলা বেতার কেন্দ্রে। সেই সাহসী শব্দ সৈনিক কখনো পরাজিত হতে পারে না। মৃত্যু তাঁর যা করার তা করে গেছে। প্রবাল চৌধুরী মৃত্যুর দরজা অতিক্রম করে মৃত্যুঞ্জয়ী।

তিনি ছিলেন আমার একজন স্বপ্নে পাওয়া মানুষ। স্বপ্নের তো বিনাশ নাই । তাঁর যাপিত জীবন ও সৃষ্টিকর্মের সুবাদে তাঁর স্বপ্ন আজ ছড়িয়ে আছে আমাদের সবার মাঝে। এ মানুষটি বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল। ব্যক্তি প্রবাল চৌধুরী আজ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তাঁর সৃষ্টিরাশির সূত্র ধরে প্রবাল চৌধুরী থাকবেন আমাদের হৃদয় জুড়ে। প্রবাল চৌধুরী মারা গেছেন এটা যেমন সত্য, এর চেয়ে বড় সত্য তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী।

আমি গান গাইতাম ছোটবেলা থেকেই। স্কুল থেকে কলেজসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতে হতো বন্ধু-বান্ধব ও শুভানুধ্যায়ীদের অনুরোধে। রেডিও’র কল্যাণে শিল্পি প্রবাল চৌধুরী, ওস্তাদ খোন্দকার নুরুল আলম, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, খন্দকার ফারুক আহমদ’র মতো গুণী এবং বরেণ্য শিল্পীদের গান শুনতে শুনতে ধ্যান মগ্ন হয়ে পড়তাম। দিনে দিনে ওইসব কিংবদন্তীতূল্য মানুষগুলোই হয়ে ওঠেন আমার স্বপ্নের মানুষ। তাইতো শিল্পী প্রবাল চৌধুরী আমার স্বপ্নে পাওয়া মানুষ। শৈশব ছাড়িয়ে কৈশোরের প্রথম দিকে যেখানে গান-বাজনা সেখানেই ছুটে যেতাম আমি। এ যেন অন্যরকম এক মায়ার সুরে টানতো আমাকে সঙ্গীত। বিশেষ করে চট্টগ্রাম শহর কিংবা মফস্বলেও তখন খুব ফাংশান হতো। পূজা-পার্বণ কিংবা ঈদ পূর্ণমিলণী, স্কুল-কলেজ ভিত্তিক নানা অনুষ্ঠানে প্রায়ই শিল্পী প্রবাল চৌধুরী’র সাথে আমার দেখা হতো। কাছে পেয়েও সাহস করে বলতে পারতাম না যে, আপনিই আমার একজন স্বপ্নের মানুষ। বিনয়ী এ মানুষটি পুরো বাংলাদেশে তখনও বিপুল জনপ্রিয়। তখন ওভাবে স্বপ্নের এ মানুষটির সাথে আমার পরিচয় হয়নি। পরিচয় না হলেও যতবারই দেখেছি তাঁকে আমার কাছে মনে হয়েছে-উনি তো আমার অতি পরিচিত। আমার স্বপ্নেরই মানুষ। কতো আপন – চিরচেনা।

এভাবেই একদিন গান রেকর্ডিংয়ের সূত্র ধরে স্বপ্নের মানুষটির সাথে আমার বাস্তব জীবনে সখ্যতা গড়ে ওঠে। আমার লেখা-
‘জীবনের অংক মেলাতে গিয়ে
ভুলের পাহাড় গড়েছি’
শিরোনামে গানটি রেকর্ড করা হয় শিল্পী প্রবাল চৌধুরী’র কন্ঠে। তারপর থেকে স্বপ্নের এই মানুষটির খুব কাছাকাছি যাবার সুযোগ হয় আমার। গভীর শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসতো এ মানুষটির সামনে গেলে। দীর্ঘ সাত বছর এ মানুষটির কাছ থেকে শেখার সৌভাগ্য হয় আমার। তাঁর কাছ থেকে শিখেছি আধুনিক গান এবং গান গাইবার নিয়মরীতি (সাঙ্গতিক শিক্ষা)। আমার বুক ভরা কান্না। কতটা কষ্ট তা আপনারাই বুঝে নেবেন। দু’হাত ভরে দিয়েছেন আমায়।

মৃত্যু এক চিরন্তন সত্য। একে এড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা কারো নেই। তিনি আসলে আমাদের ছেড়ে যাননি। তিনি আমাদের মাঝে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। চোখ বন্ধ করে একবার অনুভব করুন তো। কি দেখতে পাচ্ছেন ? তিনি কী আছেন না ? অবশ্যই আছেন। তিনি আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন আজ কাল পরশু। যুগ থেকে যুগান্তর, কাল থেকে কালান্তর।

মানুষের অমরত্ব তাঁর বয়সে নয়-তার কর্মে। প্রবাল চৌধুরী তাঁর শরীর ত্যাগ করেছেন বটে, কিন্তু রেখে গেছন রেডিও, টেলিভিশন চলচ্চিত্রে তাঁর অবারিত কর্ম। মঞ্চ,বেতার, টেলিভিশন কিংবা চলচ্চিত্রে গাওয়া গানগুলো তাঁর সাথে যায়নি। তিনি সংসার ত্যাগ করে আকাশচারী হয়েছেন। কিন্তু তাঁর সৃষ্টি বেঁচে থাকবে আজীবন। আমার বিশ্বাস এবং বোধ থেকে বলছি, আলো নিভে যায়নি বরং বিলিয়ে যাবে নিরবধি। আজকের প্রবাল চৌধুরী আমাদের কাছে এখনো চিরচেনা। আগামী দিনের শিল্পীদের কাছে হয়তোবা এ চরিত্র ধরা দেবে নতুন বিষ্ময়ে। এভাবেই প্রবাল চৌধুরী টিকে থাকবেন ততদিন-যতদিন বাংলাদেশ টিকে থাকবে।

বাংলা সঙ্গীতের বরপুত্র প্রবাল চৌধুরীর গায়কীতে ছিল এক জাদুকরী ক্ষমতা। তাঁর গায়নশৈলী অন্যদের চেয়ে আলাদা একটি স্থানে নিয়ে গেছে। এপার বাংলার পাশাপাশি তিনি ওপার বাংলাতেও জনপ্রিয় ছিলেন। তাইতো মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, হেমন্তজী, শ্যামলমিত্র, শিবাজী’র মতো শিল্পীদের সাথে এক হয়ে কাজ করেছেন। গান গেয়েছেন। অর্জন করেছেন বাঙলার হেমন্ত উপাধি। সবচেয়ে বড় কথা তিনি দু’বাংলার শিল্পীদের সেতুবন্ধনে জড়িয়ে রেখেছিলেন।

আমি জানি, আমার মতো অনেকেই এখনো তাঁর এ অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারেন না। তিনি মুক্তি দিলেন পরাণপাখিকে। চিরদিনের জন্যে ডুুব দিলেন ঘুমের রাজ্যে। ফিরবেন না আর। ভেঙ্গে দিলেন স্বপ্ন। তিনি শুধু কন্ঠশল্পী নন। একজন মানুষ হিসেবেও ছিলেন অসাধারণ। সবাইকে আপন করে নিতে পারতেন তিনি। শুরু থেকেই তাঁর সাথে কথা বলতে আমি যতটা কাঁচুমাচু, তিনি তার চেয়ে দ্বিগুন আন্তরিক। সহজ করে নিলেন সর্ম্পক। দারুণ এক রসবোধে জড়িয়ে নিলেন আমাকে গভীর মমতায়। মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনতাম কথা। প্রবল আর্কষণ অনুভব করি। শিখি। প্রতিটি কথার বিষয়বস্তুতে থাকতো শেখার মতো উপকরণ। এভাবেই কাছে টেনেছেন আমাকে। দীর্ঘ সাত বছর স্বার্থহীন গভীর সর্ম্পকে জড়িয়ে রেখেছিলেন। ক’জন মানুষ এতটা ভালো মানুষকে বাসে, তিনি যতটা বাসতেন।

এমনিতেই তিনি ছিলেন বড্ড অভিমানি। কেন ? কেনইবা এতো অভিমান ? কেনো কথা রাখলেন না? আমার ঠিক মনে আছে। আমি যখন তাঁকে নিয়ে ডকুমেন্টারি নির্মাণের কাজে হাত দেওয়ার কথা ভাবছি কিংবা কাজ শুরু করার জন্য যতবারই তাঁর অনুমতি চেয়েছি ততবারই তিনি বলেছিলেন, আরে…আমি আরো অনেকদিন বাঁচবো। কত সুস্থ, সতেজ দেখেছি তাঁকে। অসুস্থতার ছিটেফোঁটা চিহ্নও নেই দেহে। প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস। তাঁর কথা শুনে আমার মনে হতো- মৃত্যু এখনো শত সহস্র বছর দুরে। তাঁর আত্মবিশ্বাস আমাকেও স্পর্শ করলো। কারণ জীবনে অনেক কিছু চাওয়ার আগেই পেয়েছি তাঁর কাছ থেকে। সঙ্গীতে আমাকে দিয়েছেন দু’হাত ভরে। হয়তো পারিনি তাঁর সুযোগ্য শিষ্য হতে। তারপরও গর্ববোধ হয়-যেখানে বলেছি সেখানেই ছুটে গেছেন। যেটাই বলেছি সেটাই করেছেন। কোনদিন জিজ্ঞেস করেননি। কেন? কার স্বার্থে। কার জন্যে? আসলে মুক্তিযোদ্ধারাই তো এমনিই হয়। নির্মোহ-নির্লোভ। নি:সন্দেহে বলা যায়-তিনি ছিলেন চট্টগ্রামের সঙ্গীতাঙ্গণের প্রধান অভিভাবক। আর তাঁর এ চলে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে বিরাট এক শূণ্যতা। সৃষ্টিশীল, কর্মময়, বর্ণিল জীবনকে বিদায় দিয়ে বাংলা গানের রাজপুত্তর প্রবাল চৌধুরী এখন অনন্ত নক্ষত্রবীথির দেশে।

প্রবাল চৌধুরী ছিলেন খুব সাধারণ মনের মানুষ। অনেকেই হয়তো ভাবতেন, জনপ্রিয়তার কারণে তাঁর কাছে যাওয়া যায় না। কিন্তু এমনটিই নয়। তিনি কখন আমাকে আপন করে নিয়েছিলেন তা আমি জানতাম না। আমি দু’একদিন ফোন করে খবর না নিলে তিনিই আমাকে ফোন করতেন। আমাদের মধ্যে গভীর ভালাবাসার সর্ম্পক ছিল। অনেক জায়গায় একসঙ্গে বেড়াতে গিয়েছি। ঢাকায় গেলেও একসঙ্গে। একসঙ্গে দার্জিলিং যাবার পরিকল্পনাও ছিল।
তিনি সব সময় কোনো কিছুকেই পাত্তা দিতেন না। এমনকি রোগ-বালাইকেও না। ছিলেন সাহসী। স্বাধীনচেতা। প্রবাল চৌধুরীকে কেউ কোনদিন কাঁদতে দেখেন নি। সব সময় হাসতেন। প্রানবন্ত থাকতেন। কিন্তু আমার বেলায় কাঁদতেন। বলতেন সব বিষয় সহজেই। কী এক রহস্য তিনি আমার সাথে রেখে চলে গেলেন, তা কেবল বিধাতাই জানেন।
আসলে তিনি একজন পরিপূর্ণ শিল্পি ছিলেন। আমাকে তিনি শিখিয়েছেন কিভাবে গাইতে হয়। সুর কিংবা সঙ্গীত পরিচালনা করতে হয়। কন্ঠশিল্পী পরিচয়ের বাইরে তিনি ছিলেন অবিশ্বাস্য দক্ষ একজন সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক। আমার সঙ্গীত জীবনের অধিকাংশ স্মৃতি তাঁকে ঘিরে। সভা-সমাবেশ, আড্ডা, বেড়ানো, রেকর্ডিং, অবসর সব কিছুেতই জড়িয়ে রেখেছিলেন আমাকে। অনেকে তাঁর হাত ধরে মানুষ হয়েছেন। কেউবা শিল্পী, কেউবা গীতিকার আবার কেউবা সুরকার। তিনি আমাকেও যে জায়গায় নিয়ে গেছেন, সেখান থেকে আর কোথাও যাওয়া সম্ভব! তিনি যখন যে কাজটি করতেন, খুব মনযোগ দিয়ে করতেন। এর গভীরে ঢুকে যেতেন। সুরের ক্ষেত্রে গানের কথার গভীরে ঢোকার বা চিত্রকল্প তৈরি বা সুরের নাটকীয়তা সৃষ্টির রহস্য সবকিছুই তাঁর কাছ থেকে শিখেছি। তিনি শুধু আমার নয়। চট্টগ্রামের সঙ্গীত জগতের বটবৃক্ষ ছিলেন। তাঁর হাত ধরেই এতদূর আসতে পেরেছি। তিনি আমাকে নতুন পরিচয় দিয়েছেন।
আমার বিশ্বাস- তিনি ঈশ্বরিক ক্ষমতার অধিকারি ছিলেন। তা না হলে কেমন করে এত্তসব করে গেছেন। তিনি ছিলেন বিশেষ করে চট্টগ্রামের সঙ্গীত অঙ্গণের অভিভাবক। আমাদের পরিচয়। আজ আমরা অভিভাবকহীন। তিনি কি ছিলেন তা বলে বোঝানো যাবে না। হয়তো আমরা কাছে পেয়েও অনেকেই তাকে চিনতে পারি নি।
প্রবাল চৌধুরী ছিলেন গানের জাদুকর। হ্যামিলণের বাঁশীওয়ালার মতো কন্ঠের জাদুতে তিনি দর্শকশ্রোতাকে সহজেই আকৃষ্ট করতে পারতেন। সঙ্গীতের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সফলতা তাঁকে ছুঁয়ে গেছে রঙীন প্রজাপতি হয়ে। তাঁর জন্ম স্বার্থক। জীবন ধন্য। এক জীবনে মানুষ অনেক কিছুই পারে না। তিনি অনেক কিছুই করেছেন। সঙ্গীতের অদ্ভূত জাদুকর বলা যায় তাঁকে।

দীর্ঘ প্রায় চার দশক ধরে বাংলা সঙ্গীতে মহান এই শিল্পীর অসামান্য অবদান সত্ত্বেও জীবদ্দশায় তাঁর কপালে জোটেনি একুশে পদক বা রাষ্ট্রীয় কোনো সন্মান। যা আমাদের জন্য বড়ই দুর্ভাগ্যজনক। মরণত্তোর হলেও বরেণ্য এই গুনী শিল্পীকে রাষ্ট্রীয় সন্মানে ভূষিত করার দাবি আজ সকলের।

প্রসঙ্গত; স্বাধীন বাংলাদেশে আধুনিক বাংলা সঙ্গীতের প্রবাদপুরুষ শিল্পী প্রবাল চৌধুরীর প্রয়াণ দিবস আজ । ২০০৯ সালের ১৬ অক্টোবর পৃথিবী ছেড়ে চিরবিদায় নেন কিংবদন্তী এই শিল্পী। আজ তাঁর ১২তম প্রয়াণ দিবসে বহুমুখী প্রতিভাবান এই মহান শিল্পীর প্রতি ভাবপূর্ন শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করছি।

কলমে : অশ্রু বড়ুয়া রুপক (বাংলাদেশ টেলিভিশনের সঙ্গীত পরিচালক)।