জবর দখল উচ্ছেদের পর, প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুনর্বাসনের কাজ শুরু মাথাভাঙ্গা আদালত চত্বরে।

0
304

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ কেবল প্রতিশ্রুতি নয় কথা দিয়ে কথা রাখেন। এমনই নজির দেখা গেল মাথাভাঙ্গা আদালত চত্বরে। জবর দখল উচ্ছেদ এরপর মাথাভাঙ্গা আদালত চত্বরে ল-ক্লার্ক, মুহুরী, ও ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন এর উদ্দেশ্যে নির্মাণ শুরু করেছে প্রশাসন। চার – পাচঁ দিন আগেই আদালত চত্বরে কাজ শুরু হয়েছে। অনিশ্চিয়তার পর এই কাজে খুশি আইনজীবী থেকে শুরু করে ল – ক্লার্ক ও মুহুরী সহ ব্যাবসায়ীরা।
আদালত চত্বরে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছিল মাথাভাঙা আদালতের ল-ক্লার্ক, মুহুরী, এবং উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে এক দিনের প্রতিকি কর্মবিরতিও পালন করেন ল-ক্লার্করা, তাদের কর্মবিরতিকে সমর্থন জানিয়েছিলেন মাথাভাঙা আদালতের আইনজীবীরা। তারা মাথাভাঙ্গা মহকুমাশাসক অচিন্ত্য কুমার হাজরাকে পুনর্বাসন, বিচারপ্রার্থীদের বসার ব্যবস্থা, এবং আইনজীবী ও বিচার প্রার্থীদের জন্য যথোপযুক্ত পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছিলেন। মহকুমা শাসক জানিয়ে ছিলেন, রেজিস্টার্ড ল-ক্লার্কদের পুনর্বাসনের জন্য পরিকল্পনা রয়েছে। এমনকি বিচারপ্রার্থীদের বসার ব্যবস্থা সহ যানবাহন রাখার জায়গা ও ব্যবসায়ীদের জন্য স্টল ও তৈরি করা হবে। আদালত চত্বরে সৌন্দর্যায়নের জন্য বাগান অফ ফ্লেভার ব্লকের রাস্তা তৈরি পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। আর সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্মাণকাজ শুরু হলো আদালত চত্বরে। আদালত চত্বরে এই কাজ শুরু হওয়ার আগে আদালত চত্বর পরিদর্শনে যান মাথাভাঙ্গা পৌরসভা প্রশাসক মন্ডল চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামানিক, ভাইস চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সাহা সহ অন্যান্যরা। তারা ল ক্লার্ক, মুহুরী সহ অন্যান্যদের সাথে বসে কথা বলেন এবং কোথায় কি হবে তা ঘুরে দেখেন।
প্রবীণ আইনজীবী ভুব নেশ ভট্টাচার্য, সব্যসাচী তরফদার, বার এসোসিয়েশন এর সম্পাদক হিমাংশু সরকার, সভাপতি রবীন্দ্রনাথ রায় বসুনিয়া বলেন, আদালত চত্বরে পরিস্থিতি এমন ছিল যে, ভালো রাস্তা ছিল না যার জেরে আইনজীবীদের আদালত যেতে সমস্যা পড়তে হতো। প্রশাসনের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।