নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর:- শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি ব্লকের কর্ণগড়ে রাণী শিরোমনিগড় ইকো রিসর্ট- এর কর্টেজ এবং কাফেটেরিয়ার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই সঙ্গে WRIDD প্রকল্পের অধীন কোর্টেজ সংলগ্ন দীঘির সৌন্দর্যায়নের শিলান্যাস অনুষ্ঠানের ও আয়োজন করা হয়।উদ্বোধন ও শিলান্যাস রাজ্যের জল সম্পদ ও উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ডা. মানস ভূঁঞ্যা। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দফতরের প্রতি মন্ত্রী শিউলি সাহা, জেলা শাসক রশ্মি কমল, বিধায়ক জুন মালিয়া এবং অন্যান্য অধিকারিকগণ। রানী শিরোমণির গড়ে এবার রাত্রি বাস করতে পারবেন পর্যটকরা। পর্যটকদের থাকার জন্য কটেজ তৈরি হয়েছে। রানী শিরোমণির স্মৃতি বিজড়িত কর্ণগড় নতুন সাজে সেজে উঠেছে । ১৫ ই ডিসেম্বর থেকে বুকিং শুরু হওয়ার কথা। সংরক্ষণের অভাবে ধ্বংস হতে বসেছিল রানী শিরোমণির গড়। দুর্গ নেই ।তবে দুর্গের অংশবিশেষ রয়েছে। দুর্গের সেই অংশবিশেষ আগাছায় ভরে গিয়েছিল। রানী শিরোমণি নেতৃত্বে চুয়াড় বিদ্রোহের ইতিহাস বহন করে চলেছে শালবনির কর্ণগড় অঞ্চল। এলাকায় কেন দেখ ভাল হচ্ছেনা এবং দুর্গের অংশের সংস্কার হচ্ছে না প্রশ্ন উঠেছিল। বছর কয়েক আগে এক সময় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেই উদ্যোগ পরিকল্পনা প্রস্তাবে আটকে গিয়েছিল। বছর দুয়েক আগে নতুন করে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্ণগড় মন্দিরএর জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন। সেই বরাদ্দের টাকায় সেজে উঠেছে মন্দির ও তার আশপাশের এলাকা। কর্ণগড় কে পর্যটন মানচিত্রে তুলে আনার দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। গাছগাছালি নদী দিয়ে ঘেরা এলাকাটিকে নতুন করে সাজাতে উদ্যোগী হন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক রেশমি কমল। বারবার ওই এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছেন ,তিনি বৈঠক করেছেন। সব দিক দেখেই এলাকা সাজানোর পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়। নদীর পাড়ে আগে ছিল নজর মিনার । গড় থেকে রানী শিরোমণি মায়ের মন্দিরে পুজো দিতে যেতেন। প্রামাণ্য নথি না থাকলেও এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে যে মহাভারতের কর্ণ এই গড় তৈরি করেছিলেন ।তাই কর্ণগড় কে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে এবং পর্যটকদের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। তাই শনিবার পর্যটকদের থাকার জন্য কটেজ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সেই কাজ শুরু হলো বলে প্রশাসন সূত্রে জানা যায়।