সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – শস্য-শ্যামলা কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র ও আইসিএআর নিনফিট এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ক্যানিংয়ের ২৫০ জন প্রান্তিক কৃষকের হাতে তুলে দেওয়া হল ‘মাটি স্বাস্থ্য কার্ড’ । ক্যানিংয়ের নলিয়াখালীর জিএন হরিনারায়ন বিদ্যাপীঠ আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের মুখ্য বিজ্ঞানী নারায়ণ চন্দ্র সাউ ও দেবপ্রসাদ রায় মুখ্য বিজ্ঞানী আইসিএআর নিনফেট সহ অন্যান্য বিজ্ঞানীরা।
এলাকার সকল কৃষকরা যাতে তাঁদের জমির মাটি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মাটি তুলে দিয়েছিলেন কৃষিবিজ্ঞান দপ্তরের হাতে। আর সেই মাটি বিশ্লেষণ করে জমির মাটির উর্বরতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা জ্ঞাপন করলেন কৃষি দপ্তর। কৃষকরা এতদিন মাটিতে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে চাষ আবাদ করতেন কিন্তু তাতে করে মাটির ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। অনুষ্ঠানে সেই কথাও তাঁরা উল্লেখ করেন। কিভাবে জৈব সার প্রয়োগ করে উন্নত মানের ফসল ফলাতে পারেন সে বিষয়েও কৃষকদের অনুশীলন করানো হয় এদিন। জৈব উপায় মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পেলে ফসলের গুণমান বাড়বে তা বলাই বাহুল্য। ফসলের গুণমান এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে কৃষি ভিত্তিক অর্থনৈতিক যোগসুত্র।এদিন অনুশীলনে এসে কৃষকরা জানতে পারেন তাঁদের জমির মাটির স্বাস্থ্য সম্পর্কে। কৃষি বিজ্ঞানীদের পরামর্শ মতো মৃত্তিকার অনুখাদ্য ও মাটির উর্বরতা বাড়াতে সঠিক ফসল চাষ করতে ফসফরাস, নাইট্রোজেন প্রয়োগ করবেন এবং তাঁরা আশাবাদী এই বিজ্ঞানসম্মত ভাবে চাষ করলে আগামী দিনে তাঁরা আরো বেশি উপকৃত হবেন।