নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুর:- NSQF ল্যাবকর্মী ও শিক্ষক শিক্ষিকা পরিবারের অবস্থানের ৪২ তম দিনে ঠুকেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসকের দোরগোড়ায়, এখনও নারাজ তারা তাদের আন্দোলন তুলে নিতে,কারণ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন একদিকে উন্নয়নের কথা বলছেন বিভিন্ন ভাতা ও কর্মসংস্থানের কথা বলে বড়াই করছেন রাজ্যসহ ভিন রাজ্যে, তেনার উন্নয়ন ছড়িয়ে দিতে চান তিনি,আর সেই মুহূর্তেই বাংলায় দেখা গেল বৃত্তিমূলক শিক্ষক শিক্ষিকাদের পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকের দোরগোড়ায় ৪২ তম দিনের অবস্থানে বসে মাথা ঠুকতে হচ্ছে। যাদেরকে একসময় নিয়োগ করা হয় এজেন্সি দ্বারা সরকারি স্কুলগুলোতে ল্যাবরেটরী টিচার হিসাবে। তারপর কারো সাড়ে চার বছর আবার কারো বা পাঁচ বছর চাকরি করার পর হঠাৎ একদিন তাদেরকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়।আজ অসহায় এই সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলন করতে গিয়ে কখনো বা এরেস্ট হোতে হয়েছে ,আবার কখনো রাজ্যের কারিগরি বিভাগের আধিকারিকদের রূঢ় আচরণ, অকথ্য গালিগালাজ এর সম্মুখীনও হতে হয়েছে।কিন্তু একসময় এই সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগে, সামান্যটুকু টাকার বেতনভুক্ত হয়েও দীর্ঘ করোনা পরিস্থিতিতে তারা থেমে থাকেনি সমস্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তিমূলক শিক্ষা বিস্তার করতে, বাড়িতে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে কখনো ভিডিও বানিয়ে, কখনো-বা কোন বিষয়ের ফটো তুলে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনোর কাজটা চালিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা যাতে বৃত্তিমূলক শিক্ষাতে হাতে – কলমে আরো জ্ঞান আরোপ করতে পারে সেই বিষয়ের উপর তারা এতদিন তৎপরতা এবং নিষ্ঠার সাথে কাজ চালিয়ে এসেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে এমনই তারা তাদের চাকরিটা যে অকালে হারাবে তা জীবনে তারা কল্পনা করতে পারেনি। তাই তারা আবারো স্কুলে ফিরতে চায় সেই দাবিকে সামনে রেখে অবস্থান কর্মসূচিতে যদি কিছু সুরাহা না হয় তবে তারা অবস্থান ছেড়ে ,অনশনে বসবেন এবং প্রয়োজন হলেই ওই জেলাশাসকের দোর গোড়াতেই চাকরির জন্য মৃত্যুবরণ করবে। এমনটাই দাবি কর্মহারা NSQF এর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। এই বিষয়ে সিপিএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন সমস্ত জবাব সরকারকে দিতে হবে তাতে সংবাদমাধ্যমের কাছে আবেদন যাতে প্রত্যেকটি বাড়ি বাড়িতে এই খবর পৌঁছে যায়।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা NSQF ল্যাবকর্মী ও শিক্ষক শিক্ষিকা পরিবারের অবস্থানের ৪২ তম দিনে ঠুকেছে পূর্ব...