নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- গত বিধানসভা নির্বাচনে রানাঘাট দক্ষিনে বিজেপির ফলাফল রাজ্যের মধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলো। নির্বাচনের পূর্বে বিজেপি সভাপতি অশোক চক্রবর্তী তার ইস্তফা পাঠানোর পরেও মঞ্জুর করেন নি দল, তবে শান্তিপুর উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে ব্যর্থতার জন্যই আবারো ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। তবে শুধুই কি ব্যর্থতা? সে বিষয়ে তিনি কিছু না বললেও, নিচু তলার কর্মীদের গুঞ্জনে জানা যায়, সাংসদ জগন্নাথ সরকারের সাথে তার দূরত্ব বাড়ছিলো ক্রমশ। তবে তার ইস্তফাপত্র এবার যে দল মঞ্জুর করবেন তা হয়তো ভাবতে পারেননি তিনি নিজেও। তবে বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী 5 বছরের বেশি একই দায়িত্বে কেউ থাকতে পারেন না, আর ধনের যুক্তি সেই যুক্তির স্বপক্ষেই। বিজেপি আনা বিভিন্ন অভিযোগ অনুযায়ী গত বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে দলীয় কর্মীদের শাসক দলের ওপর অত্যাচার অনাচার থেকে রক্ষা করতে পারেননি দলের হাইকমান্ড। গোটা জেলায় বিজেপির থেকে তৃণমূলে অনেকেই দল পরিবর্তন করেছেন।
জেলা সভাপতি অশোক চক্রবর্তীর ইস্তফা মঞ্জুর করার পর, গতকাল ঘোষিত হয়েছে,
নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক পদে রানাঘাট উত্তর পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ সারথী চট্টোপাধ্যায়কেই দায়িত্ব ভার দিয়েছ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব । তবে সভাপতি হিসেবে না হলেও কনভেনার হিসাবেই আপাতত রেখেছেন তাকে। দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর তিনি জানান, শাসক দলের অত্যাচারে ভীতসন্ত্রস্ত কর্মীদের সাহস যোগানো এবং আগামী দিনে কুপার্স সহ ছটি পৌর নির্বাচন পাখির চোখ করে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করায় তার মূল উদ্দেশ্য। আরে বিষয়ে দলীয় কর্মীদের পুরনো-নতুন সকলের সাথে সমন্বয় অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।