নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- তখন রাত প্রায় দেড়টা! প্রচন্ড এই ঠান্ডার মধ্যরাতে জনমানবহীন পথঘাট। বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী চলেছে পায়ে হেঁটেই, সাথে নিয়ে আসা ভালবাসার উষ্ণ অভ্যর্থনা কম্বল, এবং তা গায়ে জড়িয়ে দিতে দেখা গেলো পথের পাশে শুয়ে থাকা নিরাশ্রয় কিছু মানুষকে।
মিডিয়া এবং সাধারণ মানুষের অন্তরালে গোপনে অতি সন্তর্পনে তিনি এই কাজ করতে চাইলেও, অনভিপ্রেত ভাবে ঘটনাচক্রে সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে পড়েন তিনি।
সাংবাদিকের প্রশ্নের আগে তিনি প্রশ্ন করে বসেন, কাকপক্ষীতেও জানার কথা নয়, তবুও এত রাতে তিনিই বা কিভাবে খবর পেলেন? তবে তিনি জানান একটি সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিলো, ফেরার পথেই এই করুণ দৃশ্য দেখে, তার মনে হয়েছে কালবিলম্ব না করেই এখনই বেরিয়ে পড়া উচিত। কাঠমিস্ত্রি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে থাকেন “নয়নে দেখিবে যাঁরে পরিষেবা দিবে তাঁরে।” তা বাদেও সরকার প্রান্তিক মানুষের পরিষেবার জন্য বিধায়কদের কম্বল দিয়ে থাকেন উপযুক্ত মানুষের হাতে তা তুলে দেওয়ার জন্য। তবে প্রচারের আলোকে না আসার উদ্দেশ্যেই মধ্যরাতে বেরোনোর সিদ্ধান্ত ।
শান্তিপুর রেল স্টেশন থেকে মতিগঞ্জ মোড় পর্যন্ত বাস স্ট্যান্ড এবং পথের পাশে বাসস্ট্যান্ডে শুয়ে থাকা বিভিন্ন মানুষের সাথেই। নৈশ প্রহরীদেরও শীতবস্ত্র প্রদান এর সাথে মিষ্টিমুখ করাতে দেখা যায় বিধায়ককে।