সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – বিগত কয়েকদিন আগেই চারজন অটোচালকের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচেছিলেন এক মহিলা।শুক্রবার সকালে আবারও সেই অটোচালকের তৎপরতায় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেল একটি ভবঘুরে বলদ।
শুক্রবার সকালে ক্যানিং বাসষ্ট্যান্ডে প্রচুর মানুষের ভীড়।ট্রেন,বাস,অটো ধরে কলকাতায় যাওয়ার জন্য।রাস্তার পাশে ফুটপাথে রাখা ছিল ডাষ্টবিন।সেই ডাস্টবিনে জমেছিল ময়লা আবর্জনা।ভবঘুরে একটি বলদ অন্যান্য দিনের মত এদিন সকালেও সেই ডাস্টবিনে(প্লাস্টিক ড্রাম) জমে থাকা ময়লা আবর্জনার মধ্যে খাবার খোঁজার জন্য মাথা ঢুকিয়ে দেয়।এরপর ঘটে বিপত্তি। মাথা আটকে যায় ড্রামের মধ্যে। দীর্ঘ চেষ্টা করেও ড্রাম থেকে মাথা না বের হলে ড্রাম সহ দৌাদৌড়ি শুরু করে বলদটি।পথ চলিত সাধারণ মানুষজনও ভয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন।এমন ঘটনা চলতে থাকে প্রায় একঘন্টা।যদি ঘুঁতিয়ে দেয় ফলে কেউ সাহস দেখাতে রাজী নন। অগত্যা পরিস্থিতি দেখে এগিয়ে আসেন ক্যানিং-সাতমূখী রোডের এক অটো চালক।তিনিই বলদটি কে আদর করে কোন প্রকারে বাগে আনেন।এরপর প্রায় মিনিট দশেকের চেষ্টায় ড্রাম থেকে বলদের মাথা বের করতে সক্ষম হয়।ড্রাম থেকে মাথা বের হতে দৌড় দিয়ে পালিয়ে এ যাত্রায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচে বলদটি।
প্রত্যক্ষদর্শী ফারুক আহমেদ সরদার জানিয়েছে ‘ড্রামের মধ্যে বলদটির মাথা আটকে থাকায় খুব কষ্ট হচ্ছিল।উদ্ধার করার জন্য কেউ সাহস দেখায় নি। অটোচালকের তৎপরতায় বলদ টি মুক্ত হয়েছে।’
অন্যদিকে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ অটোচালক জিয়ারুল মোল্লা জানিয়েছেন ‘বলদের মাথাটি ড্রামের মধ্যে আটকে গিয়েছিল। মাথা বের করার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছিল বলদটি।যদি ঘুঁতিয়ে দেয় ভয়ে কেউ কাছে যায়নি। এমন ঘটনা দেখার পর সাহস করে বলদের কাছে গিয়ে তাকে আদর করে ড্রাম থেকে মাথা বের করার চেষ্টা করি। মাথা বের হতেই দৌড়ে পালিয়ে যায়। অবলা জীব। বিপদে পড়েগিয়েছিল। তাই উদ্ধার করেছি।’