নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা :- উদ্দেশ্যবিহীন ভাবে ঘরে ঢিল ছোড়া ও বচসার জেরে মহিলা সহ ছয় ব্যক্তিকে লোহার রড শাবল দিয়ে মারধর করা সহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি আঘাত করার অভিযোগ উঠল মাধব সূত্রধর নামে এক ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারের লোকজনদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মাধব সূত্রধর পলাতক বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত আনুমানিক দশটা নাগাদ নবদ্বীপ পৌরসভার একুশ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাচীন মায়াপুর সংলগ্ন আত্মা নগর পাড়া এলাকায়। অভিযোগ, এই দিন রাতে ওই এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ বেবি সাহা কর্মকার স্বামী ও শিশু সন্তান কে সাথে নিয়ে নিজের বেড়ার ঘরের ভেতরে রাতের খাওয়া-দাওয়া কোরছিলেন। সেই সময় হঠাৎই তাদের বেড়ার ঘর লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ঢিল ছুড়তে থাকে কোন এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তির ছোড়া ঢিল বাঁশের বেড়া ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে ঢুকে যায় বলে অভিযোগ ওই গৃহবধূর। পাশাপাশি ঢিলের আঘাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পায় তাঁর শিশু সন্তান বলেও জানিয়েছেন গৃহবধূ বেবি সাহা কর্মকার। ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করার জন্য তাঁরা ঘরের বাইরে বেরোলে প্রতিবেশী মাধব সূত্রধর কে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে নিজের বাড়িতে ঢুকে পড়তে দেখে তাকে ধাওয়া করে ঢিল ছোড়ার প্রতিবাদ করেন বেবি সাহা ও তাঁর পরিবারের লোকজন। ফলে সাময়িক বচসার সৃষ্টি হয় উভয় পক্ষের মধ্যে। অভিযোগ, সেই সময় মাধব সূত্রধর ও তাঁর পরিবারের লোকজন ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে আক্রমণ চালায় আক্রান্ত গৃহবধূ বেবি সাহা কর্মকার সহ তাঁর পরিবারের লোকজনদের ওপর। বচসার কারণে আশেপাশের প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহিলা সহ ছয় জন ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা রাতেই নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আঘাত গুরুতর হওয়ার কারণে দুইজন মহিলা ও দুইজন পুরুষ সহ চার জন ব্যক্তি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নবদ্বীপ থানায় অভিযুক্ত মাধব সূত্রধর ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে লিখিত আকারে অভিযোগ করা হবে বলে জানিয়েছে আক্রান্ত ওই গৃহবধূর পরিবার। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নবদ্বীপ থানার পুলিশ। পুনরায় যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তাঁর জন্য ওই এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। এছাড়াও অভিযুক্তদের খোঁজ চালানোর পাশাপাশি সম্পূর্ণ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে নবদ্বীপ থানার পুলিশ।