নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা;১৯ডিসেম্বর: মহারাষ্ট্রের পুণে থেকে উদ্ধার হল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে অপহৃতা এক যুবতী। প্রায় দেড় মাস আগে তাকে অপহরণ করেছিল সামসি এলাকার পাঁচ যুবক বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্তে নেমে যুবতীর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে সে পুণেতে রয়েছে বলে পুলিশ জানতে পারে। এরপর পুণেতে যান কুমেদপুর ফাঁড়ির । তারপরেই যুবতীকে উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক অপহরণকারীকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম রবিউল হক! তার বাড়ি চাঁচলের পূর্ব দুর্গাপুর এলাকায়। যুবতী ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে যাওয়ার সময় তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। দেড়মাস বাদে পুলিশের তৎপরতায় যুবতী উদ্ধার হওয়ায় খুশি পরিবারের লোকজন।
কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, যুবতীর বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদপুর এলাকায়। গত নভেম্বর মাসের ৬ তারিখে খোপাকাঠি এলাকায় একটি ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন যুবতী। টাকা তুলে বাড়ি ফেরার পথে ফাঁকা রাস্তায় তার পথ আটকায় বাইক আরোহী পাঁচ যুবক। তরুণীর অভিযোগ, তার টাকা কেড়ে নিয়ে বাইকে তোলা হয়। মুখে কাপড় গুঁজে দেওয়া হয়। চিৎকার করলে ছুরি দিয়ে খুন করার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাকে প্রথমে এলাকার একটি জঙ্গলে লুকিয়ে রাখা হয়। তারপর পুণেতে নিয়ে যাওয় হয়। তিনি ওই যুবকদের চেনেন না বলে জানিয়েছেন যুবতী। যদিও ঘটনার পিছনে ভালোবাসার কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না তাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
যুবতী এদিন বলেন, আমাকে কোথায় নিয়ে হচ্ছে জানালে ওরা নিজেদের গুন্ডা বলে দাবি করে। আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায়। আমি বলি, কেন ওদের কাউকে বিয়ে করব। কিন্তু চাকু দিয়ে মারার ভয় দেখানোয় চুপ করে যাই।
হরিশ্চন্দ্রপুরের সুত্রে জানা গিয়েছে , ঘটনায় জড়িত বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
যুবতীর দিদি বলেন, বোন ফিরে আসায় আমরা খুব খুশি। পুলিশের তৎপরতায় এটা সম্ভব হয়েছে। ওকে অনেক খুঁজলেও আমরা পাইনি। ওকে যে অপহরণ করা হয়েছে তা বুঝতে পারিনি। অভিযুক্তদের কঠোর সাজা চাই।
সম্প্রতি হরিয়াণা থেকে অপহৃত এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার আগেও ভিন্ রাজ্য থেকে একাধিক অপহৃতা যুবতী, নাবালিকাকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। অপহরণের ঘটনায় পুলিশ তৎপর হওয়ায় অপহৃতাদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে। চাঁদপুরের অপহৃতা যুবতীর উদ্ধারের ঘটনাকেও পুলিশের বড় সাফল্য বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।