মনিরুল হক, কোচবিহার: মাথাভাঙ্গা ১ নম্বর ব্লকের ৩ টি স্কুলে ন্যাশনাল আয়োডিন ডেফিসিয়েন্সি ডিসর্ডার কন্ট্রোল প্রোগ্র্যাম এর জন্য তিনটে প্রাথমিক স্কুলে ক্লাস ফোর পর্যন্ত স্থানীয় আশাকর্মীদের দিয়ে বাচ্চাদের ডেকে এনে থাইরয়েড গ্লান্ড পরীক্ষা ও সেই সাথে তাঁদের বাড়িতে ব্যবহার করা খাদ্য লবন ও ইউরিন এর স্যাম্পল কালেকশন করা হয়। সেগুলোকে পরীক্ষার জন্য প্রথমে জেলায় ও এরপরে রাজ্য সরকার অনুমোদিত নির্দিষ্ট ল্যাবে পাঠানো হবে।
এই প্রোগ্র্যাম এই রাজ্যে কোচবিহার জেলা সহ মাত্র কয়েকটা জেলায় করা হচ্ছে। এই প্রোগ্র্যাম এ কমিউনিটি লেভেল এ থাইরটক্সিকসিস বা থাইরয়েড গ্রন্থি সংক্রান্ত রোগের প্রিভালেন্স রেট নির্ধারিত করা হয়, অর্থাৎ কমিউনিটিতে থাইরয়েড গ্রন্থি সংক্রান্ত রোগের প্রকোপ কতোটা হতে পারে সেটা বোঝা যাবে বলে জানা যায়।
এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ডক্টর অভিষেক রায়, ডক্টর প্রণয় পাল, ডক্টর দেবেশ রঞ্জন মন্ডল, প্রমূখ। কোচবিহার মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লকের মধ্যে এক নম্বর সার্কলের একটা স্কুল, ছাট জোরপাটকি স্পেশাল ক্যাদার প্রাইমারি, জোরপাটকি, কুক্তিকাঁটা জুনিয়র বেসিক প্রাইমারি বৈরাগীরহাট ও বামুনিয়া এ পি স্কুল, কেদারহাট এ এই প্রোগ্র্যাম করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর বিমল অধিকারী বলেন, প্রতি ১০ বছর অন্তর অন্তর এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। আজকে তার শুভ সূচনা হলো। ব্লকের তিনটি বিদ্যালয় এই কর্মসূচি চলছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে পিছু ১০০ শিশুদের আয়োডিন ও ইউরিন পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কর্মসূচিতে বেশ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তিনি।