নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা,২০ডিসেম্বরঃ—প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় মালদা বিমানবন্দরে প্লেন চালানোর কথা জানান। আর সেই মত মালদা বিমানবন্দর পরিদর্শন করলেন এয়ারপোর্ট অথরিটি।জেলা প্রশাসন আধিকারিকদের সাথে নিয়ে বিমান বন্দর পরিদর্শন করেন তারা।যদিও বড় বিমান নয় ছোট বিমান চালানোর বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখেন। মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে মালদা শহরে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে খোঁজ নিয়েছিলেন মালদার বিমানবন্দরে নিয়ে। দ্রুত বিমানবন্দর চালু করার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।ইতিমধ্যেই সোমবার এয়ারপর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া একটি প্রতিনিধিদল বিমানবন্দরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।আর যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানুতর।
বর্তমানে মালদা বিমান বন্দরে যে রান ওয়ে রয়েছে তাতে ১৯ আসন বিশিষ্ট বিমান নামলেও ৯০ আসনবিশিষ্ট বিমান নামার জন্য রান ওয়ের সম্প্রসারণ জরুরি। সে ক্ষেত্রে বিমানবন্দরের পাশে বিভিন্ন সরকারি জমিতে যেগুলি দখল হয়ে গিয়েছে সে গুলি দখলমুক্ত করতে হবে প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে।বিমানবন্দর চালু হলে উপকৃত হবে মালদাবাসী। ব্যবসায় উন্নতি দ্রুত হবে। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপান তোর।
ডিজিএম এয়ার ইন্ডিয়া ট্রাফিক ম্যানেজার ধনঞ্জয় তিওয়ারী জানা,এদিন আমরা মালদা এয়ারপোর্ট পরিদর্শন করেছি। সেখানে বর বিমান বা ছোট বিমান নামানোর ক্ষোত্রে কি কি সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে বা রান ওয়ে কি দরকার। ইলেক্ট্রিক সিটি সহ একাধীক বিষয় দেখা হয়। পাশাপাশি বিমান বন্দরের ম্যাপ সংগ্রহ করা হয়েছে। আমরা সমস্ত রিপোর্ট জেলা শাসককে দিয়ে দেবো।
বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বলেন,আমাদের সাংসদ খগেন মুর্মু এই নিয়ে বারবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দরবার করেছেন। সঠিক বিমানবন্দর তৈরি করার জন্য যে জমির প্রয়োজন তা অধিগ্রহণ করে দিচ্ছে না রাজ্য সরকার।তাদের সদিচ্ছার অভাব এই এই বিমানবন্দর এখনো চালু হয়নি বলে অভিযোগ তার।
পাল্টা তৃণমূলের মালদা জেলার মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন,রাজ্য সরকার তার পি ডাব্লিউ ডি ডিপারমেন্টর মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে পরিকাঠামো নির্মাণ করেছে। বিরোধীরা এটা নিয়ে অযথা রাজনীতি করছেন।মুখ্যমন্ত্রী যখন বিমানবন্দর চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছেন দ্রুতই বিমানবন্দর চালু হবে।