“হাতে কোনো নিজস্ব নৌকা নেই
নিজস্ব নদী অথবা তার অকল্পনীয় ঢেউ…
চিরজন্মের মতো কদমতলে বাঁশি ফেলে
দাঁড়িয়ে নেই কেউ!
আমি কোথায় যাব?
ভেতরের এতো স্রোত,পারাপার আর ফুল নিয়ে
সাদা পাতা আমাকে গ্রহণ করো
আমার এ জন্মের শ্বেতপদ্মময়ী সরস্বতী হও,
আমি মৃত্যুকে আজন্ম ক্ষমা করে দেবো!”(নবগৌতম।শুভঙ্কর দাস)
এই সময়ের বাংলা সাহিত্যের আকাশে যে কয়েকটি সোনালি ধূলিমাখা পত্রিকা নক্ষত্রখচিত বৃক্ষ হয়েছে, তার মধ্যে ‘প্রতীতি’ এক উজ্জ্বল উদ্ভিদ।যার বিষয়-বিস্তৃতির ডালপালা দিগন্ত ছুঁয়েছে।
তার আলো-বাতাস ও জলসিঞ্চনের কাজটি অতি নিষ্ঠার সঙ্গে যিনি পালন করেন,তিনি কবি ও সম্পাদক গৌতম হাজরা।
প্রতিটি শিল্পী, সে যেই মার্গের সৃজনকর্মী হন না কেন,তাঁর সূচনাপর্বের প্রবেশপথ যদি আলো ও বাতাসের মতো প্রেরণাদ্যোতক এবং আরোগ্যলাভের মতো আশ্বাসময় হয়, তাহলে তাঁর অগ্রগতি আত্মবিশ্বাসী ও আনন্দয় হয়ে ওঠে।
অর্থাৎ ধরুন,যিনি কবিতা লিখতে এসে দেখল,প্রথম শ্রেণির সাহিত্য যা আছে,তারা ছাড়া আর কোনো পত্র-পত্রিকা কবিতা প্রকাশ করে না।যা প্রকাশিত হয়, সবই প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচিত সৃষ্টির নিয়ামক।
তাহলে নবীনকলম কোথায় মুখ রাখবে? কোথায় সাজাবে তার অন্তরের আয়না।
সেইজন্য লিটল ম্যাগাজিনের গুরুত্ব অপরিসীম এবং আশ্চর্য প্রদীপের মতো জাদুকরী।
এবার ধরুন,সেই পত্রিকার মন ও মেজাজ লিটল ম্যাগাজিনের মতো,কিন্তু প্রকাশে যেকোনো প্রথম শ্রেণির পত্রিকার পাশে সসম্মানে সিংহাসনে বসতে পারে,তাহলে তার মতো সত্যিকারের সৃজনপত্রকে কি নক্ষত্রখচিত বৃক্ষ বলা যায় না!
নিশ্চিতভাবে সেই কারণেই গৌতম হাজরার প্রতীতি সেই মানের এবং সেই মননের…
যা চিরকাল মফস্বল ও মহানগর,বিখ্যাত ও অখ্যাত,গবেষক ও প্রথম কবিতাপাঠক,সম্পাদক ও সাহসী বক্তার মধ্যে একটি সোনালি সুতো নির্মাণ করে চলেছে…
আমরা প্রবাদপ্রতিম চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় সম্পর্কে এত ধরণের লেখা,সাক্ষাৎকার এবং তাঁর ওপর রচিত প্রতিবেদনপাঠ পড়ে পড়ে,আমাদের এমন ধারণ তৈরি হয়,তিনি নির্মাণ বিষয়ে একেবারে নিখুঁত, নিয়মনিষ্ঠ এবং নিজস্ব চিন্তার নিয়ামক।
তিনি যা করেন,তাই পথ হয়ে যায়।
তিনি যা ভাবেন,তাই শিল্প-সংজ্ঞা হয়ে ওঠে।
তিনি শিল্পের জন্যে কোনোরূপ আপোষ করেন না এবং তাঁর অপরিবর্তনীয় সিদ্ধান্ত সেই ক্ষেত্রে শেষ কথা।
আমি জানি উপরিউক্ত সবা কথাই পাঠক সমর্থন করবেন এবং সাধুবাদ দেবেন।
কিন্তু তারপরও আমি বলব,তিনি অর্থাৎ সত্যজিৎ রায়ও ফেল করেন এবং সার্থক শিল্পের হীরকদীপ্তিতে না পৌঁছাতে পেরে আক্ষেপ করেন
এমন কি সেই সর্বজন বোধগম্যতার ওপর নির্ভর করে শিল্পের গতি পরিবর্তন করেন।
আপনি বলবেন,এ অসম্ভব!
তাহলে বিশ্ববরেণ্য পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের নিজের মুখের এই কথাগুলো পড়ুন—
“আমি জলসাঘর ছবি করি অপরাজিত-র পরেই।পথের পাঁচালি ভালো চলছিল,ভেবেছিলাম অপু কাহিনির দ্বিতীয় পর্বও লোকের কাছে আকর্ষণীয় হবে।কিন্তু তা হল না।অপরাজিত চলল না।
অন্য লোকের টাকায় ছবি করব,সে লোক যাতে সে টাকা ফিরে পায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।সুতরাং এমন ছবি করা চাই, যা লোকে নেবে”
ভালো করে পড়ুন,’এমন ছবি করা চাই, যা লোকে নেবে’
সাহিত্যেও এই লোক অর্থাৎ পাঠক সর্বশক্তিমান।কবির কবিতা কবি পড়ে,একথা অনেকেই বলে থাকেন, কিন্তু বলার সময় এটা কেন ভুলে যান,পড়ার সময় কবিও কিন্তু শেষপর্যন্ত সার্থক পাঠক।
সাহিত্যেও তাই পাঠক শেষকথা।
আর সেই পাঠক কবি হোক,গদ্যকার,প্রচ্ছদকার অথবা স্টলে পেপারবিক্রেতা, শেষপর্যন্ত পাঠক নির্মাণই সাহিত্য পত্রের প্রকৃত কাজ।
প্রতীতি র মতো পত্রিকা সেই কাজ নিঃশব্দে করে চলেছে।
কহলীল জিব্রান বলেছিলেন,প্রেমিকের বেদনকে, বেদনার বৈচিত্রময়তাকে স্বয়ং ঈশ্বরও ঈর্ষা করেন।
সেকথা কবির ক্ষেত্রেও খাটে।
কারণ এই জগতে কবির চেয়ে বেদনময় প্রেমিক বা প্রেমিকা আর জন্মায় না!
সেই কবির রক্তমাংসের গোপন ও প্রকাশ্য কথা এই শারদ সংখ্যার পাতার পর পাতা জুড়ে।কয়েকটি নাম উচ্চারণ না করলে, আলোচনা এগানো যাবে না!
রবীন্দ্রনাথ
আঁরি মিশো
অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত
শঙ্খ ঘোষ
রণজিৎ দাশ
প্রবণকুমার মুখোপাধ্যায়
শম্ভু রক্ষিত
রাণা চট্টোপাধ্যায়
এবং এই সময়ের অসংখ্য অক্ষরকর্মী কবি।
এইসব সূর্য-চন্দ্র-জোনাকির আয়োজনে আমরা কী খুঁজে চলেছি! কেন আমরা এসব সাহিত্যপত্র পড়ব?
কেন নিজের আয়না নির্মাণ করার জন্য অন্যের কবিতা পড়ব?
কেন আমরা বিশুদ্ধ নির্জনতা অথবা নিমগ্নতা তৈরি করতে গেলে হয় পথ পাইনা বা ভাষা পাই না!
এ-র উত্তর কে দেবে?
কবি রণজিৎ দাশ একটি কবিতায় বলছেন—
” প্রতিটি মানুষ তার
নিজস্ব গানের মধ্যে বেঁচে থাকে মাথা নাড়া পাগলের মতো!
সে গান শুনতে চাও?
শুধু তার বুকে কান পাতো!”
এই বুকে কান পাতার সত্যিকারের প্রিয়জন বড় কমে যাচ্ছে অথবা থাকলেও তার স্বরূপ চিনতে-বুঝতে পারছি না!
তখন সাহিত্যের স্নান প্রয়োজন।
ধুলো ধুয়ে নতুন ভাবে জীবনযাপন পেতে হলে!
সেই বুকে কান পাতার কাজটি সম্পাদক গৌতম হাজরা করেছেন।একের পর এক কবির স্মরণচিহ্ন ধরে ধরে…
কবি প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায়ের প্রথম ও শেষ প্রেমিকা হল কবিতা।তাই তিনি এমন দরদভরে দহনলিপি লেখেন—
“দশ আঙুলে বাঁধা পড়ে গেছে দশটি দিগন্ত
একটি যুগ,এক যুগান্ত, অনন্তকাল।
আমরা ছুঁয়ে আছি পরস্পর পরস্পরকে।
একটি হাত ছুঁয়ে থাক অন্য একটি হাতকে।”
এমন আবেশ কী করে উৎসারিত হয়?
তখন কবি স্বয়ং বলেন,” একটি কবিতা কীভাবে তৈরি হয়ে ওঠে,তার পুরো রহস্য বোধ করি কোনো কবিই জানেন না।একটা অস্পষ্ট আদল থাকে মাথায়, সেটা কখনো বিচ্ছিন্ন পঙক্তি হয়ে ফুটে ওঠে,কখনো বা পুরো কবিতাও হয়ে উঠতে পারে।প্রতি মুহুর্তের অভিজ্ঞতা, দৃশ্য, ছবি,ঘটনা,সম্পর্ক, সংলাপ ভেতরে ভেতরে কাজ করতে থাকে,সেটা কখন, কীভাবে, কী কবিতা হয়ে বেরুবে আগে থেকে আঁচ করা যায় না”
তাই কবি প্রবণকুমার মুখোপাধ্যায় এমনভাবে বলতে পারেন—
” প্রতিটি বর্ণের সঙ্গে মিশে ছিল
আমার নিজস্ব বোঝাপড়া
আনন্দ এবং দীর্ঘশ্বাস।
একান্ত গোপন কিছু অভিজ্ঞতা, অহংকার, স্মৃতি
অভিমান-পরাজয়
কিছু কিছু
কিছু ব্যর্থতার গ্লানি আর কিছু সফল প্রণয়।”
কবি এই স্বীকারোক্তি কি সকল কবির কথা হয়ে ওঠে না! সাদা পাতায় এই কালো কালো অক্ষরের জীবনযাপন এতো শুধু প্রূফের নয়,মুদ্রণের নয়, প্রকাশ-অনুষ্ঠানের নয়, এতো কবির জীবনযাত্রার সত্যি বালি ও ঢেউ। নদী ও পারাপার।ভ্রমণ ও ভুবন।
একই কথা কবি যখন নিজে বলেন,তখন কবিতাই কীভাবে দ্বিতীয় ঈশ্বরী হয়ে ওঠে,তা বোঝা যায়।প্রবণকুমার মুখোপাধ্যায় বলেছেন—
“কবিতা বাঁচিয়েছে অনেকবার,অনেকদিন।বহু অপ্রস্তুত মুহুর্তে, বহু বিহ্বল অপমানে,বহু গ্লানিময় পরাজয়ে,বহু নির্দয় শোকে,নিষ্করুণ আঘাতে,নিরুদ্দেশ অস্থিরতায়, নির্জীব একাকিত্বে, নিষ্ফল প্রয়াসে,নির্মম ঔদাসিন্যে, নিশ্চল স্থবিরতায় হঠাৎ এসে উদ্ধার করেছে আমার কবিতা।আমি তাকে ভুলে থেকেছি অনেকবার।সে আমায় ভোলেনি।কখন যেন কাছে এসে দাঁড়িয়েছে, মাথায় বুলিয়েছে শুশ্রূষায় আঙুল,নিদ্রাহীন চোখে মাখিয়েছে মায়াবী অঞ্জন,শব্দের পর শব্দ গিয়েছে যুগিয়ে।নতুন সৃষ্টির দিকে তাকিয়ে আমি ভুলে গিয়েছি সবাই অপমান,অস্থিরতা,শোক,পরাজয়, আঘাত,স্থবিরতা, ঔদাসিন্য,একাকীত্ব। কবিতা আমার প্রথম ও শেষ প্রেমিকা। আমার তৃষ্ণা, বাসনা,নিঃশ্বাস। আমার নিয়তি।”
এই কথাগুলো প্রতিটি প্রকৃত কবির ক্ষেত্রে সত্যি।
তিন সত্যির অধিক সত্যি।
তেমনই একজন কবি শম্ভু রক্ষিত।
শম্ভু রক্ষিতের কবিতা নিয়ে একটা দূরবর্তী দারচিনি দ্বীপের দূরত্ব কাজ করে গেছে কবিমহলে এবং পাঠকমহলে।
অথচ তাঁর জীবনচরিত প্রায় সকল কবি-অকবি মাত্রই জানেন।
তাই তাঁকে উন্মাদ, ভবঘুরে, আত্মমগ্ন,ছন্নছাড়া এবং লোকব্যবহার- অসচেতন কবিব্যক্তি বলে মারাত্মক ক্ষতিকারক প্রচার ও গালগল্প ছড়িয়েছে।
তাই দেখা যায়,তাঁর কবিতার চেয়ে তিনি মঞ্চের ওপর দর্শকের দিকে উলটো করে বসে থাকেন কেন!
এই চর্চা চরম হয়েছে!
তিনি গঙ্গার ধারে চিৎকার করতেন এবং বইমেলার মাঠে চারটে ইটের ওপর রান্না করতেন,এসবই তাঁর কবিতাকে ছাপিয়ে গেছে..
এসব অবিলম্বে বন্ধ না হলে,কবি শম্ভু রক্ষিত নামের অমিত শক্তিশালী কবিতা আয়ুদেশে মৃত হয়ে যাবে।
প্রতীতি পত্রিকা তাঁর ওপর যে নিবন্ধ রচিত হয়েছে,তাই যেন সত্যিকারের কবিসন্ধান।
এই ধরণের শম্ভু রক্ষিত বিষয়ক গদ্য খুব একটা চোখে পড়ে না!
শম্ভু রক্ষিত লোকটি কেমন কবি?
একটাই উত্তর, তিনি নির্মাণকবি।
তাঁর কবিতা নির্মিতি হয়ে আসে।
আর এমন কবিতা যিনি লেখেন,তিনি ছন্নছাড়া,উন্মাদ এবং লোক দেখানো আত্মমগ্ন হতে পারেন না।
এই একই কথা কবি জীবনানন্দের জন্য প্রযোজ্য। সংখ্যাগরিষ্ঠ গবেষক এমনভাবে তাঁদের চিত্তচিত্র এঁকেছেন,যেন তাঁরা লোকসমাজবিযুক্ত কোনো সৃষ্টিছাড়া অমনোযোগী গুহাবাসী।
তা মোটেই নয়।
সেই একই কথা উচ্চারণ করেছেন, প্রাবন্ধিক জ্যোতির্ময় দাশ।
তিনিও বলেছেন,শম্ভু রক্ষিত সম্বন্ধে, ” শৃঙ্খলাহীন বা ছন্নছাড়া ব্যক্তির পক্ষে এমন অসাধারণ কবিতা রচনা করা সম্ভব হত না কখনোই ”
হ্যাঁ,কবি শম্ভু রক্ষিত একধরণের উদাসীন উর্বরতাময় মাঠ ছিলেন।
আমরা যা খরা বা শূন্যতা ভেবে ভুল করি।
একজন কবি মাত্র কুড়ি বছর বয়সে তাঁর নিজের কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গ করছেন এই লিখে—
“ঈশ্বরের রোষ থেকে মানুষকে ত্রাণ করার জন্য আর এক ঈশ্বর-পুত্রের আত্মাহুতি ও রক্তদান”
এই সময়ের কোনো চল্লিশ বছর বয়সী কবিও এই কথাটির মানে তো পরের কথা, ভাবটা ভাবতেই পারবে না!
এইজন্য কবি শঙ্খ ঘোষ বলে ওঠেন—
“কবিরা ক্রান্তদর্শী তো হয়েই থাকেন, কেউ কেউ তাঁর সময়ের প্রচলিত ধারা থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকেন,শম্ভু রক্ষিত তেমনই একজন অনন্য কবি”
এইকথাটিতেই তো থেমে থাকলে হবে না।
আরও গভীরে গিয়ে এই প্রবাদসম কথা টিকে সত্য করে তুলতে হবে।তা তখনই হবে,যখন আমরা পাঠকেরা শম্ভু রক্ষিতকে কবিতায় বুঝব এবং জানব।
কারণ তিনি কবিতার জন্য মাথাটা আকাশে ঠেকিয়ে মাটিতে ঘুমোতেন।
সভাতে একটি লিটল ম্যাগাজিনের জন্য নিয়ে যায় কবিতা শম্ভু রক্ষিত।তাঁর পাঠের পর মুগ্ধ হয়ে “দেশ” পত্রিকার সম্পাদক তাঁর কবিতা জোর করে কেড়ে ছাপিয়ে দেন।
তারপরও সেই কবিতার সাম্মানিক অর্থ নিতে যেতে শম্ভু রক্ষিতের প্রচন্ড আলস্য।
অথচ সারা সপ্তাহের বেশির ভাগ কলকাতায় লড়াই করছেন।দেশ থেকে কবিতা চাইলেও দিতে যাচ্ছেন না!
অথচ মাথায় করে কাগজের রিম বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন কলেজ স্ট্রীট, যাতে নবীন কবির কবিতা বই প্রকাশে সুরাহা হয়।
নন্দনে কবি জয় গোস্বামী মঞ্চে উঠেই প্রথমে উপবিষ্ট কবি শম্ভু রক্ষিতকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করার পর কবিতাপাঠ করলে,অনান্য কবি ও উপস্থিত দর্শকও অবাক হয়ে যান।
কারণ একটা ভবঘুরে সাজপোশাকের লোকটির এত সম্মান।
সেই মানুষটিকে কবিতায় যত জানব,ততো আমাদের কবিতার প্রতি অন্তরের ছাদটি সত্যি সত্যি আকাশ হয়ে উঠবে।
সেই কুড়ি বছর বয়সে লিখেছিলেন শম্ভু রক্ষিত—
“আমার মৃত্যুর পর তোকে আর মৃত্যু যন্ত্রণার তাঁত বুনতে হবে না”
যন্ত্রণার তাঁত
সত্যি আমরা তো সারাজীবন প্রকৃত প্রেম,কবিতা, সম্পর্কের জন্য তাঁত বুনি যন্ত্রণার…
এই অমিলন সত্যির অমোঘতা একজন কবি ছাড়া,একজন প্রকৃত কবি ছাড়া কে জানাবে?
তাই এই পত্রিকা প্রতীতি সংগ্রহ করা উচিত, এই জন্য আমরা যাতে অপরিবর্তনীয় যন্ত্রণা থেকে মুক্তি যদিও নাও পাই,অনন্ত সহ্য করার ক্ষমতা জাগ্রত করতে পারব।
কবি রাজদীপ পুরীকে প্রচ্ছদে করোনাকালীন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও যে অক্ষরের পুজো সম্ভব, তাই আঁকার জন্য মন স্যালুট দিলাম।শেষে কবি প্রতাপ সিংহের কবিতাটি কেন মনে হল এ-ই লেখাটিকে অশেষ করবে—
” তোমার চোখের জলে/সব মন্ত্র তীর্থ হয়ে গেছে “