বৃষ্টিতে অনেকটাই ব্যাহত মাঠ জুড়ে ফুল এবং বাঁধা কপির রাজত্ব।

0
477

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- শীতকালে বিভিন্ন রবিশস্য এবং আনাজে ভরপুর মাঠে ধূসর অংশ প্রায় দেখা যায় না বললেই চলে। যার বেশির ভাগ জায়গা দখল করে থাকে ফুল এবং বাঁধাকপি। তবে এবার বৃষ্টিতে বাঁধ সেধেছে। প্রথমবারের আগুরি করে লাগানো চারা পচে নষ্ট হয়েছে, সেই রকম সার ঔষধ ধুয়ে গেছে জলে। হাল না ছাড়া কৃষকের সুদের টাকা নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য অদম্য আপ্রাণ প্রচেষ্টা জন্য একদিকে যেমন সাধারণ মানুষকে মূল্য চোকাতে হচ্ছে , তেমনি কৃষক বেশি দাম পেয়েও লাভবান নন। ১৮২২ সালে ব্রিটিশরা ভারতে ফুলকপি প্রবর্তন করেছিলো বলেই জানা যায়, ফুলকপি কোলস্টেরল কমায়, ওজন কমাতে,হাড় ও দাঁত শক্ত করে,ক্যানসার প্রতিরোধ করে হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য উপকারী, রোগ প্রতিরোধ করে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ ও ‘কে’, শক্তি জোগায়,চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী, পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখে, দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।
অন্যদিকে বাঁধাকপিতে রয়েছে ভুরপুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। এর ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস কোষকে সজীব রাখে, কোষের প্রদাহ দূর করে, ফোলা কমায়; যা ক্যানসার, হার্টের অসুখ, ডায়বেটিস ও আলঝেইমার প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে বলে মনে করা হয়।এ ছাড়া একাধিক গবেষণায় জানা গেছে, বাঁধাকপি বিশেষ ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। আসলে সালফারসমৃদ্ধ উপাদান গ্লুকোসাইনোলেটস তৈরি হয় বাঁধাকপি থেকে, যা ক্যানসারের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায় বাঁধাকপি।
চীন, মধ্য ও পশ্চিম ইউরোপ আর মেসোপটেমিয়ায় বাঁধাকপি আবাদের ইতিহাস মেলে।বাঁধাকপির আদি নিবাস ভূমধ্যসাগরীয় দক্ষিণ ইউরোপে। ২০১৮ সালে সারা বিশ্বে বাঁধাকপির মোট উৎপাদন ছিল ৬৯৪ লক্ষ টন। বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৪৮% উৎপাদন চীন করেছিল। এছাড়া অন্যান্য প্রধান উৎপাদক দেশ হল ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া এবং রাশিয়া।বাঁধাকপি ভিটামিন সি এর একটি চমৎকার উৎস। বাঁধাকপিতে গ্লুটামাইন এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে যার দহন নিবারক গুণাবলী আছে।বাঁধাকপি ভিটামিন সি এর একটি চমৎকার উৎস। বাঁধাকপিতে গ্লুটামাইন এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে যার দহন নিবারক গুণাবলী আছে। তাই বিদেশে কাঁচা স্যালাড হিসেবে বহুল পরিমাণে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে আমাদের দেশে এই দুই কপি শীতকালের রান্নার অন্যতম প্রধান আনাজ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here