গীতালদহে তৃণমূল প্রধানের বাড়িতে পুলিশি তল্লাশি, প্রতিবাদ জানাতে বিক্ষোভ গ্রামের মহিলা কর্মীদের।

0
450

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলির পর দলেরই এক প্রধানের বাড়িতে পুলিশি তল্লাশির জেরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল দিনহাটা থানার গীতালদহ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। আজ দুপুরে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত গীতালদহ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মুক্তা বর্মণের বাড়িতে ওই পুলিশি তল্লাশি হয়। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে চলে যাওয়ার পরেই এলাকার মহিলারা একত্রিত হয়ে দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে শুরু করে।
মুক্তা বর্মণ বলেন, “মেয়েকে স্কুলে দিয়ে এসে গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে সংসদ সভায় যোগ দিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম। সেই সময় বাড়িতে আর কেউ ছিল না। তখন বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে বাড়িতে তল্লাশি চালাবে বলে জানায়। আপত্তি জানালে কোথায় গণ্ডগোল হয়েছে, সেই ঘটনার জন্য আমাদের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর নির্দেশ রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। শেষ পর্যন্ত তারা তল্লাশিও চালায়। কিন্তু কিছু না পেয়ে চলে যায়। এভাবে আমাকে হেনস্থা কেন করা হচ্ছে বুঝতে পারছি না।”
গ্রামের এক মহিলা পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এসে বলেন, “প্রধান সাধারণ মানুষের পাশে থাকেন, সকলের বিপদে পাশে দাঁড়ান। এমন একজন মানুষকে এভাবে কেন হেনস্থা করা হচ্ছে। এটা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এর বিরুদ্ধে আমরা প্রয়োজনে আরও বড় কোন আন্দোলনের পথে যাবো।”
প্রধানের স্বামী বলেন, “কোথায় কাদের জন্য গণ্ডগোল হচ্ছে, পুলিশ সবই জানে। ওই গণ্ডগোলের সাথে আমাদের যে কোন যোগাযোগ নেই। সেটাও পুলিশের জানা। তারপরেও কেন এই হেনস্থা? আমার ধারনা এর পিছনে অন্য কোন কারণ রয়েছে।”
এদিন সকালে গীতালদহ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভাগ্নিটারি নামে একটি গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি বাধে। ওই ঘটনায় হামিদ মিয়াঁ নামে এক তৃণমূল কর্মী আহত হন। ওই ঘটনার পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে ওই সময় প্রধানের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে। এনিয়ে পুলিশের কোন বক্তব্য এখনও পাওয়া না গেলেও আসল দুষ্কৃতিদের খোঁজেই পুলিশ ওই তল্লাশি চালিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।