প্রাক্তন সাংসদ প্রসেনজিৎ বর্মণের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ কোচবিহার, শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির বহু বিশিষ্ট জনেরা।

0
450

মনিরুল হক, কোচবিহার: গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সিসিইউ-তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন প্রাক্তন সাংসদ(রাজ্যসভা) ও প্রাক্তন বিধায়ক প্রসেনজিৎ বর্মন। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। বয়স জনিত কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন প্রাক্তন সাংসদ। কিছুদিন আগেই তাকে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে কোচবিহারের বাড়িতেও ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু আচমকা ফের নতুন করে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাঁকে তড়িঘড়ি কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই সিসিইউ বিভাগে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। এদিন ভোর ছয়টা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
প্রসেনজিৎ বাবু শুধু প্রাক্তন সাংসদ বা প্রাক্তন বিধায়কই ছিলেন না। তাঁকে রাজবংশী ভাষা একাডেমীর প্রথম চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। কোচবিহার জেলার অন্যতম বর্ষিয়ান আইনজীবী হিসেবেও তার অবদান অতুলনীয়। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দলের অনুগত সৈনিক হিসেবে কাজ করে গিয়েছেন দীর্ঘ সময়।
দল প্রতিষ্ঠার সময় কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান করা হয়েছিল তাঁকে। তাঁর প্রয়াণে কোচবিহার জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে শোক ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর পর্যাণে কোচবিহার জেলার রাজনীতিতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। পরিবারের পাশে থেকে সমবেদনা জানাতে জেলা তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা কোচবিহার শহরের দেবী বাড়ির বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন। বর্ষীয়ান এই নেতা তথা আইনজীবীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তাকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে যান কোচবিহারের জেলা শাসক পবন কাদিয়ান। কোচবিহার রাজ পুরোহিত হিরেন্দ্র কৃষ্ণ ভট্টাচার্য।
এদিন মৃত্যু সংবাদ পাওয়া মাত্রই তাঁর বাড়িতে সাংসদ প্রসেনজিৎ বর্মণের বাড়িতে একে একে উপস্থিত হন কোচবিহার জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সকল নেতৃত্বরা। এদিন মৃত সাংসদের বাড়িতে কোচবিহার তৃণমূল জেলা সভাপতি গিরীন্দ্র নাথ বর্মণ, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, কিষান ক্ষেত মজুর সংগঠনের জেলা সভাপতি খোকন মিয়াঁ থেকে শুরু করে বাকি জেলা নেতৃত্বরা।