পনের বলি এক গৃহবধূ। টাকা না পেয়ে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠল আনন্দপুর থানা এলাকার বেতবোনী গ্রামে।

0
511

নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুর:- আবারও পনের বলি এক গৃহবধূ। টাকা না পেয়ে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুর থানা এলাকার বেতবোনী গ্রামের বাসিন্দা পেশায় আনন্দপুর থানার গাড়ির চালক অবিন মান্নার বিরুদ্ধে। ঘটনায় জানা যায়,গত আড়াই বছর আগে শালবনী থানা এলাকার মেটাল গ্রামের প্রিয়া ভূঁইয়া মান্নার সাথে বিয়ে হয় আনন্দপুর থানার পুলিশের গাড়ির চালক অবিন মান্নার সাথে। মৃত গৃহবধূর পরিবার ও গ্রামবাসীরা জানায়, বিয়ের কয়েক মাস কেটে যাওয়ার পর থেকে তার উপর নানা রকম শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালানো হতো। সাথে নগদ টাকা বাপের বাড়ি থেকে আনার জন্য চাপ দেওয়া হতো। এনিয়ে গ্রামবাসীরা একাধিকবার আলোচনায় বসেছে, তাও অত্যাচার কমেনি বলে অভিযোগ মেয়ের বাবা ও স্থানীয় প্রতিবেশীদের। গত কয়েকমাস ধরেই ৭০ হাজার টাকা দাবি করে স্বামী অবিন মান্না। সেই টাকা না পেয়ে তাকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ মৃতার পরিবার ও গ্রামবাসীদের। এই ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে মৃতার স্বামী অবিন সহ ননদ নন্দাই শ্বশুর-শাশুড়ি ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। গত ১৫ ডিসেম্বর রান্না করার সময় ঐ গৃহবধুর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় স্বামী সহ শশুরবাড়ীর লোকজন। স্থানীয় বাসিন্দারা গৃহবধূর চিৎকার শুনে বাপের বাড়িতে খবর দেন পাশাপাশি এলাকার অন্যান্য মানুষদের সহযোগীতায় প্রিয়াকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেন, অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতা এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গত ২১ ডিসেম্বর NRS এ মৃত্যু হয় প্রিয়ার। এদিকে মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বামী সহ শশুর বাড়ির অন্যান্য অভিযুক্তরা পলাতক। মৃতার বাপের বাড়ীর তরফে আনন্দপুর থানায় অভিযুক্তদের নামে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। মৃত্যুর আগে শ্বশুরবাড়ির লোকজনরা আগুন ধরিয়ে মারার চেষ্টা করেছিল সেই বয়ান দিয়ে গেছে ওই গৃহবধূ। মৃতার এক বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মৃত প্রিয়ার পরিবার ও এলাকাবাসীদের দাবি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির। বৃহস্পতিবার রাতে গৃহবধুর মৃতদেহ গ্রামে পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পড়ে প্রীয়ার পরিবার পরিজন।