নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুর:- চোখ বাঁধা অবস্থায় যে কোনো জিনিস,যে কোনো ছবি, লেখা স্পর্শ করে নির্ভুল বলে দিতে পারে, এমনকি যে কোনো গাড়ির হর্ন শুনেই বলে দেওয়ার ক্ষমতায় তাক লাগালো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের সোমালী দাস। জানা গিয়েছে
সোমালির বাবা সৌমেন দাস মহিষাদল রাজ কলেজের অধ্যাপক ও মা উমারাণী দাস নন্দকুমার প্রাইভেট আইআইটি-এর শিক্ষিকা। তমলুকের বিদ্যাসাগর মিড ব্রেণ এডুকেশনে শিখেছিল চোখ বন্ধ অবস্থায় শুধুমাত্র ছুঁয়েই নাম বলে দেওয়ার মতো বিস্ময়কর ক্ষমতা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক পৌরসভার ১৭নং ওয়ার্ডের শালগেছিয়ার বাসিন্দা, ডঃ মেঘনাথ সাহা গভর্মেন্ট পলিটেকনিক কলেজের ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রথম বর্ষের ছাত্রী সোমালী দাস পূর্ব মেদিনীপুরের গর্ব শুধু নয় যেন উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে উঠেছে।
মোবাইলে থাকা যে কোনো স্থির ছবি, লেখা, অথবা যে কোনো ম্যাগাজিন বা বইয়ের পাতায় থাকা কালার সহ লেখা না দেখে চোখ বন্ধ অবস্থায় শুধুমাত্র হাতের স্পর্শে হুবহু নির্ভুল ভাবে বলতে পারে। চোখ বাঁধা অবস্থায় যে কোনো ছবি এক হাতে স্পর্শ করে আরেক হাতে ব্রেণ সেন্সের মাধ্যমে এক ঝলকে হাতের যাদুতে আঁকতে পারে। তাঁর এমন অবিশ্বাস্য প্রতিভা চমকে দিয়েছে তাঁর নিজের পরিবার, সহপাঠী, কলেজের অধ্যাপক সহ সমগ্র তমলুকবাসীকে।
এই বিষয়ে তাঁর বাবা সৌমেন দাস বলেন মিড ব্রেন বলে একটা বিষয় রয়েছে যা জাপানে প্রচলিত, তমলুকে মিড ব্রেণ এডুকেশন যখন এক শিক্ষক শেখাচ্ছিলেন সেখান থেকে উৎসাহিত হয়ে মেয়েকে মিড ব্রেনে ভর্তি করেছিলাম, সেখান থেকে শিখেছিল কিন্তু এতভালো প্রশিক্ষা পাবে তা ভাবতেই পারিনি। এর আরও অনেক ধাপ রয়েছে , ভবিষ্যতে তা যদি তমলুকে সুযোগ আসে তবে অবশ্যই শেখাতে উদ্যোগ নেব।
পাশাপাশি সোমালীর মেঘনাথ সাহা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইন্স্ট্রাকটার অচিন্ত্য মন্ডল বলেন সোমালীর এমন অবিশ্বাস্য প্রতিভার কথা আমরা প্রথমে বিশ্বাস করিনি, পরক্ষণে যখন নিজের চোখে দেখেছি সত্যিই অবাক হয়ে গিয়েছি।
সোমালির এমন প্রতিভা দেখে কলেজের সকল বর্ষের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে ইন্সট্রাক্টর সহ শিক্ষকরা তাকে সাধুবাদ জানায়। পাশাপাশি সোমালির এমন প্রতিভায় আপ্লুত তাঁর বাবা মা সহ গোটা পরিবার।