নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প মানুষের কাছে পৌছে দিতে ইদানিং অনলাইনে অনেকটাই ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে।করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার সময়, ঘরে বসেই অথবা বিভিন্ন সাইবার ক্যাফে থেকে টাকা তোলা, রান্নার গ্যাস বুকিং, অনলাইন কেনাকাটা, এমনকি সরকারি বিভিন্ন পরিষেবা আবেদন সবকিছুই অনলাইনে প্রায় অভ্যস্ত হয়ে গেছেন সাধারণ মানুষ। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন বাংলা সহায়তা কেন্দ্র গুলি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ক্রমশ, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত তার তারিফ করেছেন জেলার প্রশাসনিক মিটিংয়ে। আর এভাবেই প্রতিটি রাজ্যের সক্রিয়তায় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে চলেছিলো। কিন্তু বাঁধ সাধলো লিংক, এবং নেটওয়ার্ক সমস্যা।
কেন্দ্রীয় সরকারের সহজ তথ্য মিত্র কেন্দ্র এবং ব্যাঙ্ক মিত্র (সিএসপি )
গ্রাম-শহরে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে লকডাউন এর আগে পর্যন্ত সময়ে বার্ধক্য ভাতা, ও প্রতিবন্ধী ভাতা 100 দিনের কাজের টাকা, বিভিন্ন সেল্ফ হেল্প গ্রুপ এবং মহিলা গোষ্ঠীদের আর্থিক পরিষেবা দিয়েছে পাড়াতে বসেই। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংক মিত্র কেন্দ্রের বক্তব্য অনুযায়ী জানা যায়, অতীতে সামান্য হলেও স্থায়ী বেতনের সাথে কমিশন মিলত। সাধারণ মানুষ তাদের উপর ভরসা করে, বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা পেতো। কিন্তু সরকারি বিভিন্ন পোর্টাল এবং ওয়েবসাইটগুলি নিয়মিত খোলা না থাকায় শুধুমাত্র লিংক এর কারণে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস তাদের ওপর থেকে উঠে যাচ্ছে। অন্যদিকে বেতন বন্ধ হয়ে গিয়ে, কমিশনও অর্ধেকের কম হয়ে গেছে, ফলে একাজে নিরুৎসাহী হয়ে পড়েছেন বহু তথ্য মিত্র কেন্দ্র কর্মীরা। এ বিষয়ে তাদের জেলা এবং রাজ্য সংগঠন চিঠি চাপাটি আন্দোলন করেও মেলেনি ফল। বরং আন্দোলনকারীদের নানান রকম ভাবে কর্ম ক্ষেত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছেন কর্তৃপক্ষ। তবে আগামী দিনের বড়োসড়ো আন্দোলনের দিকেই এগোচ্ছে বলে জানা যায় সংগঠন সূত্রে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ সরকারের বিভিন্ন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হওয়া এবং কর্ম সময় দিন নষ্ট করে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলেই জানালেন আমাদের। তবে ব্যাংক মিত্রদের প্রতি তাদের পূর্ণ বিশ্বাস আছে বলেই সময় এবং শ্রম অনেকটাই লাঘব হয়েছে বলে স্বীকার করেন গ্রাহকরা ।প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির ফলে যেখানে বাড়িতে বসেই বিভিন্ন “ই” পরিষেবার স্বপ্ন দেখছে সরকার , তা কি উপযুক্ত পরিকাঠামো না নিয়েই?