নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা :- আগামী 27 শে মার্চ আসন্ন পৌর নির্বাচন উপলক্ষে নদীয়া শান্তিপুর পৌরসভার দেওয়াল দখল করা নিয়ে রাজনৈতিক জল গরম শুরু। হাইকোর্টের রায় শোনার সাথে সাথেই, সিপিআইএম প্রথম দেওয়ার লেখা শুরু করে, তারপরে তৃণমূল কংগ্রেস, অবশেষে বিজেপি এবং সবশেষে কংগ্রেস কাজের প্রচারের মাধ্যম হিসেবে দেওয়াল দখলের কাজ শুরু করে। কোন দলের প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত না হলেও অনেকেই প্রতীক চিহ্ন লিখে কিছুটা কাজ এগিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন। আর এরই মধ্যে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সিপিআইএম বিজেপির অভিযোগ তাদের দখলকৃত দেওয়াল পুনরায় তৃণমূল দখল করে নিচ্ছে।
আজ শহরের 17 নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম কর্মীরা জেলা সদস্য সৌমেন মাহাতো কে জানান বিষয়টি। এ প্রসঙ্গে সৌমেন মাহাতো জানান, তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর দাঁড়িয়ে থেকে সিপিআইএম দেওয়াল থেকে মুছে দিয়ে পুনরায় তৃণমূল লিখে নিজেদের দখলে রাখছেন সমস্ত দেওয়াল। এ বিষয়ে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানাবেন বলেই তিনি আমাদের জানান।
অন্যদিকে শান্তিপুর শহরের 2 নম্বর ওয়ার্ডের বেশকিছু বিজেপির দখলকৃত দেওয়াল তৃণমূল কর্মীরা পুনরায় নিজেদের দলের নাম লিখে নতুন করে চুনের গোলা লাগাতে শুরু করে। এ বিষয়ে বিজেপি শহর নেতৃত্বের পক্ষ থেকে অমিত বৈরাগী শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা করেন। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য গতকাল সন্ধ্যায় সংসদ জগন্নাথ সরকার পৌঁছান থানায়। তিনি আমাদের জানান, প্রত্যেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের দুর্নীতি স্বজনপোষণ এবং কাটমানির ঘটনা সকলেরই জানা, তৃণমূল আসন্ন নির্বাচনে ভয় পেয়ে এ ধরনের ঘৃণ্য ঘটনা ঘটাচ্ছে। বিরোধী হিসেবে তারা কাউকে দেখতে পছন্দ করেনা, তাই নির্বাচনের প্রাক্কাল থেকেই ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করছে।
যদিও দুটি বিষয়ে শান্তিপুর সহ তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বৃন্দাবন প্রমানিক অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, গত বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের মার্জিনের পর এ ধরনের অভিযোগ হাস্যকর। অতীতেও রাম বাম সমস্ত বিরোধীরা একত্রিত হয়ে লড়াই করে তৃণমূলকে হারাতে পারেনি আগামীতেও পারবে না। বিরোধীদের অস্তিত্ব প্রমাণ করতেই এ ধরনের মিথ্যে অভিযোগ করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে।