আবদুল হাই, বাঁকুড়া :- বাঁকুড়া পৌরসভার নির্বাচনের দামামা বেজে যাওয়ার সাথে সাথেই এখানে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের গতিবিধি বৃদ্ধি করেছে । টিএমসির পক্ষ থেকেও তাদের প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে । বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সিন্টু রজক বলেন যে খুব সম্ভবত 27শে ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়া পৌরসভার নির্বাচন হবে । হাতে যেহেতু বেশি সময় নেই তাই তাঁরা প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন । তিনি বলেন যে যেহেতু এখনও দলের পক্ষ থেকে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয় নি তাই তাঁরা ব্যাক্তির জন্য প্রচার না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির জনকল্যাণমূলক কাজের বিষয়ে মানুষকে জানাচ্ছেন । তিনি বলেন যে তাঁরা এখানে দলের হয়ে প্রাথমিক কাজটি সেরে রাখছেন যাতে যেকোনো ওয়ার্ডে যেকেউ প্রার্থী হোক না কেন নাম ঘোষণার সাথে সাথেই সে যেন ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে । এখানে বাঁকুড়া সাংগঠনিক তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সভানেত্রী মৌ সেনগুপ্ত সহ বহু টিএমসি নেতা ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন । সিন্টু রজক আরও বলেন যে এখানের মানুষের একটি দাবি ছিল সায়ের বাঁধের সংস্কার । সাড়ে উনিশ লক্ষ টাকা খরচ করে এই কাজটি করা হচ্ছে । তিনি অভিযোগ করেন যে এখানকার কাউন্সিলর সাংসদ বিধায়ক বিজেপির টিকিটে জিতে আসার পরও কোনো কাজ করেন নি । বাঁকুড়া পৌরসভাতে প্রশাসনিক বোর্ড গঠন হওয়ার পর বরং এই ওয়ার্ড সহ গোটা পৌরসভা এলাকায় কাজ হয়েছে । তিনি দাবি করেন যে যেভাবে বিজেপি কাউন্সিলর জনতার ভোটে জিতে এসেও মানুষকে ভুলে গেছে তার জবাব এই পৌরসভার 24টি ওয়ার্ডের মানুষ দেবেন । অন্যদিকে বাঁকুড়ার বিধাযক নীলাদ্রিশেখর দানা বাঁকুড়া পৌরসভার আগামী নির্বাচনে বিজেপির বোর্ড গঠনের বিষয়ে তাঁর আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন । তিনি বলেন যে তাঁরা আগামী নির্বাচনে 24-0 করবেন অর্থাৎ বাঁকুড়া পৌরসভার 24টি ওয়ার্ডেই তাঁরা জয়ী হবেন । তিনি বলেন যে চমকে ধমকে বিজেপিকে রোখা যাবে না গত বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর কেন্দ্রেও টিএমসি প্রচুর গুণ্ডামি করার চেষ্টা করে কিন্তু তিনি জয়ী হন ।তিনি দাবি করেন যে আগামী নির্বাচনেও বিজেপি জয়ী হবে ।তিনি টিএমসিকে প্রচার সর্বস্ব দল বলে কটাক্ষ করেন ও অভিযোগ করেন যে টিএমসি নেতারা মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার চেয়ে কাটমানি খেতেই ব্যস্ত ।