আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলির রান্নার কাজের সঙ্গে যুক্ত মিড-ডে-মিল কর্মীরা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সদস্য । উক্ত পরিবারের পুরুষেরা হয় দিনমজুর নয় পরিযায়ী শ্রমিক । আর্থিক অনটনের মধ্য দিয়েই সারা বছর তাদের সংসার অতিবাহিত হয় । তার উপর দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয় । এই রকম পরিস্থিতিতে সম্প্রতিককালে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দ্রব্যমূল্য ঘটায় তারা যে পরিমাণ বেতন পান তাতে সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে । বুধবার সারাবাংলা মিড ডে মিল কর্মী নিয়োগ ইউনিয়নের বাঁকুড়া জেলা কমিটির পক্ষ থেকে বাঁকুড়া জেলা শাসককে দশ দফা দাবি নিয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করলেন । মূলত তাদের দাবি , এক : অবিলম্বে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার ব্যবস্থা করতে হবে । দুই : মিড ডে মিল কর্মীদের স্থায়ী সরকারী কর্মীর স্বীকৃতি দিতে হবে । তিন : দশ মাস নয় বার মাসের বেতন দিতে হবে । চার : মাসিক ন্যূনতম 21 হাজার টাকা দিতে হবে । পাচ : মাতৃত্বকালীন ছুটি দিতে হবে । ছয় : ছাত্র-ছাত্রীদের সুষম পুষ্টিকর খাদ্যের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ করতে হবে । এই ধরনের দশ দফা দাবি নিয়ে প্রথমে তারা বাঁকুড়া জেলা শাসকের দপ্তরে সামনে জমায়েত হন এবং সেখানে তাদের দাবি-দাওয়া সম্বলিত স্লোগান দিতে থাকেন । পরে তাদের একটি প্রতিনিধিদল বাঁকুড়া জেলা শাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন ।
তপতী সরদার নামে এক মিড-ডে-মিল কর্মী বলেন , আমাদের এই দাবি-দাওয়া মানা না হলে ধারাবাহিকভাবে এই আন্দোলন চলবে । দরকার হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবো।