সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – আতঙ্ক আর আতঙ্ক। বছরের শেষ থেকে শুরু পর্যন্ত শুধু বাঘ আর বাঘ।রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের লোকালয়ে চলে আসায় উদ্বেগ নিয়ে আতঙ্কেই প্রহর গুনছিলেন সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের মানুষ।গত শুক্রবার গোসাবার লাহিড়ীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চরঘেরী এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পায় গ্রামবাসীরা। এরপর বনদফতর কে তারা খবর দেয়।বনদফতরের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে জাল দিয়ে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করে। সেই সময় অতর্কিতে বাঘের আক্রমণে একজন বনকর্মী জখম হয়। এমন ঘটনার পর আবার শনিবার রাতে গোসাবা ব্লকের কুমিরমারি পঞ্চায়েতের বাগনা অফিস পাড়ায় পায়ের ছাপ নজরে পড়লে বাঘের উপস্থিতি জানা যায়।সেই পায়ের ছাপ খতিয়ে দেখার সময় বাঘের উপস্থিতি লক্ষ্য করেন বনকর্মীরা। তাঁরা দেখতে পায় স্থানীয় এক গ্রামবাসীর কলাবাগানে বাঘ ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে। কোন রকম ঝুঁকি না নিয়ে তড়িঘড়ি এলাকাটি জাল দিয়ে ঘিরে ফেলেন বনকর্মীরা। পরে বাঘ কে ঘুমপাড়ানী গুলি করেন। তাতেই কাবু হয়ে যায় বাঘ।সাথে সাথে তাকে খাঁচায় বন্দি করেন বনকর্মীরা। সেই সময় জানতে পারেন বাঘ নয় সেটা পূর্ণবয়স্ক বাঘিনী। রাত দেড়টা নাগাদ ঘুম ভাঙে বাঘিনীর।তাকে রাখা হয়েছিল পর্যবেক্ষণে।
সোমবার বিকালে তাকে প্রত্যন্ত সুন্দরবনের পঞ্চমুখানী জঙ্গলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।অন্যদিকে কয়েকদিন বনকর্মী ও গ্রামবাসীদের নাজেহাল করার পর অবশেষে এদিন ভোর রাতে গাড়াল নদী সাঁতরে জঙ্গলে ফিরে গিয়েছে চরঘেরী লোকালয়ে ঢুকেপড়া বাঘটি,এমনটাই দাবী বনদফতরের।
সব মিলিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিললো গোসাবার মানুষের।