যুগশ্রেষ্ঠ বিবাহ : ডঃ অশোকা রায়।

0
420

বটকৃষ্ণ বাবু মানে আমাদের পত্রিকার সম্পাদক তাঁর ঘরের টেবিলে খবরের কাগজের ওপরে মুড়ি বিছিয়েছেন। পাশে সোনালী রঙের গোলগাল আলুর চপ আর মুচমুচে দীর্ঘাঙ্গী বেগুনি। সাথে মোড়ের দোকান থেকে হরিপদ বেয়ারার আনা ধোঁয়া ওঠা ভাঁড়ের চা। পানীয়ের মতো খাদ্য সম্ভারও হরিপদের অবদান। দীর্ঘদিন কাজের চাপে এহেন জমাটি আড্ডা হয়নি।সবে শান্তিনিকেতন থেকে ফিরেছি বিশ্বভারতীর সাম্প্রতিক গন্ডগোল পরিক্রমা ও গবেষণা করে। তবে সোনাঝুরির মন ভালো করার রেশ রয়েছে এখনো। তাই জমাটি আড্ডা রেলিশ করছিলাম। শাপমোচন এর অরুনেশ্বরের মতো তাল ভঙ্গ করলেন বটকৃষ্ণ বাবু স্বয়ং। মাঝে মাঝে হেঁয়ালি করার কি যে খেয়াল চাপে লোকটার! বলেন কিনা “তোমরা বল তো যুগশ্রেষ্ঠ বিয়ে কোনটা? না না এখনি বলতে হবে না,ভেবে চিন্তে কাল অফিসে এসে বলো”।সমীর জিজ্ঞাসা করে, “কোনো ফিল্ম স্টারের সাথে ক্রিকেটারের বিয়ে, না ফিল্ম স্টারে – ফিল্ম স্টারে বিয়ে”? “সে আমি জানি না বাপু। হোম টাস্ক দিয়েছি, করে আনবে”। বটকৃষ্ণ পালকের আগায় কান চুলকায়। তাকিয়ে দেখি পালকটা কাকের পালক। লোকটা আধা পাগল। পুরো পাগলে তবু ছাড় আছে,আধা পাগল খতরনাক। বিনয় বলে,”হিন্টস দিন বটকৃষ্ণ দা।” ” উঁহু , নো মোর টক, গো টু ইওর ওন ঘর …
থিংক, থিংক এন্ড থিংক।” এ তো মহা মুশকিলে পড়া গেল। আমরা তিন সাংবাদিকই জানি কাল নো ছাড়ানছুড়ি, অফিস গেলেই উত্তরের ডেলিভারি মাস্ট।গুগলি দিতে পারো, ভালো। নিদেন ইয়র্ককার। তাতেই জব্দ বটকৃষ্ণ পোদ্দার। ছোট খবরের কাগজের অফিস। মালিকানা সম্পাদকের। সুতরাং বিরাগভাজন হওয়া চলবে না।এ বাজারে চাকরি গেলে খাবো কি? আর বৌয়ের কাছে জবাবদিহিই বা দেবো কি? যুগশ্রেষ্ঠ বিবাহের খবর জানা নেই তার সাংবাদিক স্বামীর,তাই চাকরি নট। অন্তত একজনের কাছ থেকে উত্তর পেলেই
বট কৃষ্ণের চলবে। উত্তরটা যদি আমি দিতে পারতাম বেশ হতো। নাঃ ইনক্রিমেন্টের কোনো চান্স নেই, বট কৃষ্ণের মুখের হাসি আর সমীর, বিনয়ের বিরস বদনে আমি খুশি থাকব।
অফিস থেকে ফিরতেই আটটা বেজে গেছে। আমার ছেলেটা “অঙ্ক দেখিয়ে দাও বাবা” বলাতে জোরদার ধমক খেয়েছে। তার জন্য তার মা আমাকে দশ কথা শুনিয়েছে। আমি ছাদে উঠেছি। পাঁচিলের ধারে দাঁড়িয়ে ভাবছি, ছেলেকে বকা ঠিক হলো না আমার, তার মায়ের সাথে ঝগড়াটাও বড়ো ঝুঁকির ব্যাপার হয়ে গেলো। মান ভাঙাতে কিছু- মিছু আনতে হবে। মাসের মাঝামাঝি, অনর্থক পয়সা খরচা।একটা জুঁইের মালারও কি দাম! নয়তো অনর্গল মিথ্যা বলে কিছু না আনার সাফাই গাওয়া। চারপাশে তাকাই। কি সুন্দর পরিবেশ। মৃদু মন্দ সমীরণ বইছে বেশ। । মনটা হঠাৎই ফুরফুরে হয়ে যায়। ছাতে পাতা মাদুরে প্রথমে আধশোয়া হয়ে ভাবি যুগশ্রেষ্ঠ বিয়ে কোনটা হতে পারে?চোখের পাতা ভারি হয়ে আসছে। আমি স্বপ্নের অতলে তলিয়ে যাই।
মনে হয় সোনাঝরা এক সন্ধ্যা।সোনাঝুরির হলুদ পাতা গুলো চারপাশে উড়ছে আর উড়ছে। মাঠের কিনারায় রঙ্গিলা নদীর লাস্য। মাথার উপরে নির্ভার আকাশে আজ বিশাল নীল সামিয়ানা।সন্ধ্যা আগত প্রায়। স্বপ্নে কালক্ষণ শর্ত সব পাল্টে গেছে। সন্ধ্যা আসি আসি অথচ সব পরিষ্কার দৃশ্যমান। কে যেনো বললো “কালপুরুষ আজ আমাদের সবাইকে নিমন্ত্রণ করেছে।” “কেন?” অবাক বিস্ময়ে আমার জিজ্ঞাসা।”ওমা এতো সকলেই জানে.বশিষ্টের সাথে আজ অরূন্ধুতীর বিয়ে। নয় নয় করে অনেক বছর ধরে ওদের পরিচয়। পাত্র বশিষ্টরা সাতভাই…. ক্রতু, পুলহ, পুলস্ত্য, অঙ্গীরা, মরীচি, অত্রি আর বশিষ্ট নিজে। ওদের নিবাসের নাম সপ্তর্ষি মন্ডল। পেশা পূজা – অর্চনা। সাত্ত্বিক বংশ বটে। দ্বিতীয় শতকের জ্যোতির্বিদ টলেমি বলেন এদের গুষ্টি বিরাট.. আটচল্লিশ ঘর বা মন্ডল। তবে আধুনিক কালে এই গুষ্টি বেড়ে – বুড়ে অষ্ট আশি ঘরে দাঁড়িয়েছে। তার মানে সপ্তর্ষিরা বেশ মান্যিগণ্যি পরিবার। বিদেশেও ওদের যাতায়াত আছে. ওদের কে ওখানকার মানুষজন ‘গ্রেট বিয়ার’ নামে জানে সমষ্টিগত ভাবে। ব্যক্তিগত নাম হয়তো জানা আছে, চল নেই তেমন।
ওদের পাশেই থাকে অরূন্ধুতীরা।বড়ো আবছা অরূন্ধুতীর উপস্হিতি। শান্ত, স্নিগ্ধ,নম্র। কিন্তু বশিষ্ট কে ভালোবাসে নিজের মত করে গভীর ভাবে । সব সময় পাশে পাশে।বিধাতার ষড়যন্ত্র আর প্রজাপতির নির্বন্ধ…. অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আজ নীরব প্রেমের জয়।
বশিষ্ট -অরূন্ধুতীর বিয়ে। দেদার হৈ- চৈ তো হবে বটেই। নয় নয় করে নিমন্ত্রিতের সংখ্যা অনেক। কালপুরুষের সবিনয় নিবেদন মার্কা নেমন্তন্ন পত্তর পেয়ে এসেছে প্রায় সকলে।সোনাঝুরির মাঠ উপহার দিয়েছে সবুজে সবুজ গালিচা খানি, ….. বেশ দেখাবে। নদী দিয়েছে একখান শব্দযন্ত্র, কি অপূর্ব ধ্বনি তার। কুলকুল শব্দের রেশ খানি বেশ। পাহাড়ের গম্ভীর ঘোষণা, পাইনপাতার শিকলি গেঁথে পুরো মন্ডপ সাজাবে। বৈশাখীর বাতাস কথা দিয়েছে স্বর্নচাঁপার সুগন্ধিতে ভরিয়ে দেবে চারিপাশ। দিনের আলো নিভে গেলে চাঁদ চাঁদনীর হ্যালোজেন জ্বেলে দেবে।সোহাগ দীপ হয়ে বাসরের কোণে জ্বলবে সেটা।
ছটফটে,শান্ত সব তারার ঝাঁক ঝুঁকি না নিয়ে আগেভাগেই উজ্জ্বল বেশে হাজির হয়েছে ঝকঝকে পোশাক পরে সখী অরুন্ধুতীর বিয়েতে মজা করবে বলে। তবে পর্দার অন্তরালে। দিনের আলোয় বেরোয় নি। অসূর্যমস্পর্শ্যা না! সূর্য ছুঁয়ে দিলে পিতা ব্রহ্মা বকবে। বৈতরণীতে সাত ডুব দিইয়ে নেবে,এমনকি বৈকুণ্ঠে বেড়ানোতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে।তাই বেল্লেলাপনা না করে সাবধানে থাকাই ভালো। দিনের আলোয় তারারা নিজেদের মধ্যে গল্প করেছে। এখন নতুন করে মেকআপে ফাইনাল টাচ দিচ্ছে। রাত বাড়লেই আসল খেল দেখাবে ঠিক করেছে । আলো হাতে নাচবে বিয়ের আসরে। বাসর একেবারে জমে যাবে। মেঘেরা দলে দলে নহবত- খানায় থোকায় থোকায় ভিড় করেছে। সানাই বাজাবার বরাত জুটেছে যে । কালপুরুষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, বলাকাদের বলবে মেঘের কোলে কোলে উড়ে যেতে। লোকে মুগ্ধ হয়ে মেঘের পানে তাকিয়ে থাকবে। কবি কবিতা লিখবে। গায়ক গান গাইবে। বিরহী যক্ষের তার প্রিয়ার কথা মনে পড়বে। মেঘেরা তাদের এই প্রাপ্তিতে বিশাল খুশি।
অরূন্ধুতী সেজে উঠেছে কনের সাজে।গোধূলি রঙা বেনারসীতে সাজিয়েছে তাকে স্বাতী আর বিশাখা। কপালে অলকা- তিলকা এঁকে দিয়েছে চিত্রলেখা, যার গ্রীক নাম ডেল্টা ওরিওনিস। ভাড়া করা বাড়িতে বিয়ের আসর। বাড়ির নাম যুগল তারামন্ডল। এ তল্লাটে আরও কিছু তারামন্ডল ভাড়া দেয়া হয়,…যেমন ধ্রুব মাতা তারামন্ডল, মকর তারামন্ডল আর কুম্ভ তারামন্ডল। তা’ কন্যা কর্তা কালপুরুষের এই যুগল তারামন্ডল পছন্দ হলো। জানি না পজিশন না পয়সার কারণে,না এর নামের কথা বিবেচনা করে। নামটা তো জব্বর… যুগল তারামন্ডল। বিয়ের ব্যাপারে পারফেক্ট নাম। অবশ্য বিয়েতে তো একটু মেপেজুপে চলতেই হয়। বিশাল খরচ তো।কিন্তু খামতি হওয়া কালপুরুষের না-পসন্দ।তা’ ও তো অরূন্ধুতী কালপুরুষের মানসকন্যা হলেও কিপ্টেমির মনোবৃত্তি নেই। বরং কালপুরুষের প্রচেষ্টা অরূন্ধুতীর মনোবেদনার কারণ যেনো বিন্দুমাত্র না ঘটে।এতদিন বাদে বশিষ্ট তার আহ্বানে সাড়া দিয়েছে। অরুন্ধুতী আজ খুশি, খুব খুশি। কালপুরুষও চায় অরূন্ধুতীর মনে যাতে কোন খিঁচ না থাকে। তাই মনে হয় কালপুরুষ যুগল তারামন্ডল ভাড়া করেছে নামটা মনে ধরেছে বলে। এদিকে নীহারিকা বরণডালা সাজায় খুব মন দিয়ে। স্ত্রী – আচারে তার যে লিডিং রোল। শেষ মুহূর্তে দেখে নেয় মালা বদলের মালা দুটো
ঠিক ঠাক আনা হয়েছে তো? তখনই চোখ পড়ে শ্রীর ওপরে. “” ওমা সকালে তো লক্ষ্য করা হয়নি তাড়াহুড়োয়, শতভিষা বেশ বানিয়েছে শ্রী টা, ওপরে সাতরঙা রামধনুর চিত্রকলায়। ” বিশ্বামিত্র আজ ব্যস্ত ভারি, বিয়ের মন্ত্র মুখস্থ করছে হেলে দুলে। এমন হেভিওয়েট বিয়েতে পৌরোহিত্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত সে অনেকদিন হয় নি। কালপুরুষ বারবার বলেছিল “একটা ম্যারেজ রেজিস্টার চাই।” বিশ্বামিত্র সেই মতো মর্ত্ত্যে মেসেজ করেছিল বটবৃক্ষকে। তা ব্যাটা বলে কিনা,”পরপর আয়লা, আম্ফান, জাওয়াদ, নিসর্গ ইত্যাদির দাপটে আমি দিশেহারা। শরীরটায় তেমন জুৎ নেই। পাতা গুলো জীর্ণ- শীর্ন। কান্ড – শিকড় সব লড়বড়ে। ভরি দুয়েক আফিম যদি পাই, তবে তাগত পাই। বিশ্বামিত্র বটবৃক্ষের টালবাহানা বুঝে কালপুরুষের সাথে পরামর্শ করে ফিরতি মেসেজ করে, “চলে এস, সব ব্যবস্থা থাকবে”।কালপুরুষ বলেছে, শিউলিকে, “ম্যারেজ-রেজিস্টারের খাতায় সাক্ষীর কলমে সই লাগবে। তোর তো সারা অঙ্গে পবিত্রতা।চলে আসিস সোনা মা আমার।” তা শিউলি সাদা – কমলা বেনারসীতে সময় মতো পৌঁছে গেছে।
বিয়ের আসর শেষ হয়েছে। সকলে ক্লান্ত।বশিষ্ট অরূন্ধুতী কে বলে, ” খুশি তো?” ” ঘোমটা তুলে অরূন্ধুতী হাসে। নাকে পড়া জোনাকির নথ জ্বলে।
কে যেন ডাকে আমাকে অনেক দূর হতে। অচেতন থেকে চেতনে ফিরে আসার পালা। ও, এ তো আমার ঝগড়ুটে বৌ। মনে হয় আমার বিয়েটা যুগ- বীতশ্রদ্ধ বিয়ে। সব তাতেই খেঁচানি। আমি এক খেঁকশিয়াল, তাই বারে বারে ফিরে আসি এর কাছে,…সোহাগ করি, সমঝোতা করি। ধিক আমাকে। বৌয়ের নরম গলা, ” ওমা, তুমি কি গো? এখানে এসে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েছ ! হিম লাগলে শরীর খারাপ হবে যে। ” এরই নাম ভালোবাসা। বৈশাখে হিমের জন্য উৎকন্ঠা। এ প্রেম যুগ-শ্রেষ্ট না হোক, শতাব্দী- শ্রেষ্ঠ তো বটেই। কিন্তু আমাদের প্রেমের কথা আমাদের দুজনের মধ্যে না হয় থাক। বটকৃষ্ণ কে এ’ ব্যাপারে বলা যাবে না। তবে যুগ-শ্রেষ্ট বিয়ে হিসেবে আমার স্বপ্নে দেখা বশিষ্ঠ-অরুন্ধুতির বিয়ের কথা অবশ্যই বলব বটকৃষ্ণ পোদ্দার কে।আমার মনে হয়েছে সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর, কলি যুগের মধ্যে বশিষ্ট আর অরুন্ধুতীর বিয়েটাই যুগশ্রেষ্ঠ বিয়ে।
Copy right@dr aroy.
1/1/2022.10:30 পি এম
[02/01, 23:02] Suman: প্রকাশ কালি ঘোষাল, হাওড়া : ( সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা দিবস উপলক্ষে সারেঙ্গা হয়ে গেল রক্তদান শিবির ) দেখতে দেখতে তৃণমূল কংগ্রেস দলটি 25 বছর পদার্পণ করল। সেই উপলক্ষে সারা পশ্চিমবঙ্গ তথা বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের নেতৃত্ব মেতে উঠলেন তৃণমূল জন্ম জয়ন্তী উৎসব পালনে । রক্তদান শিবির কোথাও বস্ত্র বিতরণ কোথাও দুঃস্থদের আহার সহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের ব্রতী হলেন তৃণমূলের কর্মীরা। তেমনি হাওড়া সাঁকরাইল ব্লক এর সারেঙ্গা পঞ্চায়েত এলাকায় সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির কর্মদক্ষ মান্নান মোল্লার নেতৃত্বে হয়ে গেল রক্তদান শিবির । রক্তদান জীবন দান এই মূলমন্ত্রকে পাথেয় করে মানুষের সেবায় ব্রতী হলেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা । যে সকল ব্যক্তি রক্ত দান করলেন তাদের মহামূল্য রক্ত যাতে উপযুক্ত স্থানে ব্যবহৃত হয় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করলেন মান্নান মোল্লা সহ তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা । যেমন রক্ত দান করে জীবন দান করা যায় তেমনি রক্তদাতাদের উপহার হিসাবে দিলেন ছোট চারা গাছ। একটি গাছ একটি প্রাণ এই ভাবধারায় ভর করে চলার একটি ছোট্ট প্রয়াস । যাতে চারিদিকে বৃক্ষরোপণ হয় বৃক্ষকে যত্ন করা যায় এমনই এক অভিনব প্রয়াস করলেন সারেঙ্গা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব বৃন্দ। সভামঞ্চে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে একদিকে যেমন প্রতিষ্ঠাতা দিবস পালিত হল অপরদিকে রক্তদাতাদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতন । 105 জন রক্ত দাতা রক্ত নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও 200 পার হয়ে যায় রক্ত দাতাব্যাক্তি। এমন পরিস্থিতিতে যারা রক্ত দান করতে এসে রক্ত দিতে পারলেন না তাদের জন্য আগামী দিনে আরও একটি রক্তদান শিবির করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন সমিতির কর্মদক্ষ মান্নান মোল্লা। সভায় উপস্থিত ছিলেন সাঁকরাইল বিধানসভার বিধায়িকা প্রিয়া পাল ,সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত ঘোষ , সাঁকরাইল ব্লক এর বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রধান এবং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মদক্ষ তৃণমূল নেতৃত্ব অচিন্ত্য পাল সহ দক্ষিণ হাওড়া তৃণমূলের সংখ্যালঘু সভাপতি শেখ গোলাম মোরসেলিম তৃণমূলের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও একনিষ্ঠ কর্মী বৃন্দ।