সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং –বাড়ির বাবা-মায়েরা বৃদ্ধ হলেই তাঁদের কে আর খোঁজ রাখেনা কেউই।অসহায় হয়ে পড়েন তাঁরা।শেষ বয়সে একাকীত্ব ভাবে মৃত্যুর প্রহর গুনতে থাকেন। ছেলে মেয়েরাও অবহেলা চোখে দেখেন। এমন ঘটনা নতুন নয়। যারফলে সুযোগ্য ছেলে-মেয়েদের জন্য অবহেলার স্বীকার হয়ে অনেক বৃদ্ধ বৃদ্ধা আজ বৃদ্ধাশ্রেমে ঠাঁই নিয়েছেন। অনেকেই আবার ভবঘুরে হয়ে দিন যাপন করছেন রাজপথে কিংবা ফুটপাথে। এমন সব বাস্তব চিত্রের প্রতিচ্ছবি উপলব্ধি করতে পেরেই বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের কে সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিলেন এলাকার প্রমিলা বাহিনী।তালদি এসটি-এস সি-ওবিসি এন্ড মাইনোরিটি ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামক প্রমিলা বাহিনী পরিচালিত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইংরাজী নতুন বছরের প্রথমদিনেই এলাকার প্রায় ১৫০ বয়স্ক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা পিতা-মাতা কে একত্রিত করেন। রীতিমতো পুরোহিত ডেকে আয়োজন করা হয় হোম যঞ্জ।বৃদ্ধ পিতা-মাতাদের কে দেবতার আসনে বসিয়ে পুজোও করা হয়। পরে সেই সমস্ত অবহেলিত পিতা-মাতাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় মাস্ক,স্যানিটাইজার এবং শীতের কম্বল।
অন্যদিকে ক্যানিং থানার অন্তর্গত তালদির প্রমিলা বাহিনীর এমন মাতৃত্ব সুলভ কর্মযঞ্জ কে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন এলাকার মানুষজন।
তাঁদের দাবী অবহেলিতা বৃদ্ধ পিতা-মাতাদের প্রতি সন্তানের যে কর্তব্য রয়েছে তা চোখে আঙুল দিয়ে আধুনিক সমাজকে শিক্ষা দিয়েছেন তালদির প্রমিলা বাহিনীর সদস্যারা। যা কিনা জেলা তথা রাজ্যে এমন দৃষ্টান্ত সর্বপ্রথম এবং বিরল।’
প্রমিলা বাহিনীর এমন উদ্যোগে খুশি বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা।
প্রমিলা বাহিনীর অন্যতম সদস্যা রুপালি মন্ডল,বর্ণালী নাইয়া’রা জানিয়েছেন ‘বৃদ্ধ পিতা-মাতা’রা যাতে করে অবহেলার স্বীকার না হয়,তারজন্য আমরা এমন কর্মসূচী গ্রহণ করেছি। প্রতিনিয়ত এমন কাজ চলতে থাকবে। যা দেখে সমাজের সমস্ত স্তরের সাধারণ মানুষজন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের প্রতি সহানুভূতি গ্রহণ করতে বাধ্য হবেন। ’