সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – ভোর থেকেই চালু রাখতে হবে লোকাল ট্রেন আর সেই দাবি নিয়ে প্রায় ছয় ঘণ্টা বিক্ষোভ কর্মসূচি দেখালো বিক্ষোভকারী নিত্যযাত্রীরা। পরে অবশ্য কর্তৃপক্ষের কিছুটা আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়।
শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখা ক্যানিং লাইনের তালদি স্টেশনে চলে এই অবরোধ,অবরোধ চলে বেতবেড়িয়া ষ্টেশনে ও। সরকারি নির্দেশ নামা অনুসারে সকাল ৫ টা থেকে চালু আছে লোকাল ট্রেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের দাবি এই লোকাল ট্রেন চালাতে হবে ভোর থেকেই। অর্থাৎ ৩.৪৫ যেমন ক্যানিং লোকাল ছিল ঠিক তেমনভাবেই।। আর ভোর থেকে লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতেই বিক্ষোভকারীরা বসে পড়ে তালদি স্টেশনের রেললাইনে। আর এর ফলে থমকে পড়ে ট্রেন চলাচল। পরে অবশ্য কয়েকটি ট্রেন ঘুটিয়ারি শরিফের স্টেশন থেকে চালানো হয়। তালদি স্টেশনে বিক্ষোভের জন্য ক্যানিং স্টেশন এ দুটি আপ ট্রেন আটকে দেয় বিক্ষোভকারীরা। তালদি স্টেশনে রেল লাইনের উপরে আলাদা করে লোহার রেললাইনের পাত ফেলে অবরোধ করা হয়।
এ বিষয়ে তালদি স্টেশনে বিক্ষোভকারীরা জানান, ভোর থেকে ট্রেন না চালু হওয়ার জন্য সময় মত তারা কর্মক্ষেত্র উপস্থিত হতে পারছেন না। তারা যে সমস্ত জায়গাতে কাজ করতেন , সেই সমস্ত জায়গার কাছ থেকে তাদেরকে ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে বিভিন্ন ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা মাছ সবজি নিয়ে কলকাতার বিভিন্ন এলাকা তে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ব্যবসা করতেন,তারাও ঠিকঠাক সময় উপস্থিত না হওয়ার জন্য তাদের ব্যবসা হচ্ছে না। আর তাই ভোর থেকে যেমন ট্রেন চালু ছিল স্বাভাবিক নিয়মে ঠিক সেইভাবে ট্রেন চালুর দাবিতে বিক্ষোভে সরব হন বিক্ষোভকারী নিত্যযাত্রীরা।
এই ঘটনার পর বিক্ষোভকারীদের তোলার জন্য সোনারপুর থেকে আরপিএফ এবং ক্যানিং থেকে জিআরপি ও ক্যানিং থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এলাকায় পৌঁছায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ব্যাপক পুলিশ মোতায়ন করা হয় ওই এলাকায়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকেই এক ব্যক্তির ট্রেন চালুর জন্য বিক্ষোভকারীদের কাছে দাবি জানালেন তাঁর উপর চড়াও হয় মহিলারা। জুতো দিয়ে রেল লাইনের উপরে ফেলে মারধর করা হয় তাকে। পরে অবশ্য একদল যাত্রী ক্ষেপে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে। ট্রেন অবরোধ থাকার জন্য প্রতিবাদ জানান সেই সমস্ত নিত্যযাত্রীরা। পরে পুলিশ ও নিত্যযাত্রীরা মিলে অবরোধ তুলে দেয়। হটিয়ে দেওয়া হয় বিক্ষোভকারীদের।
এদিন ১০ টা বেজে ৫০ মিনিট থেকে পুণরায় স্বাভাবিক ভাবে শুরু হয় ট্রেন চলাচল। বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন। পুলিশ ও রেল আধিকারিকদের হস্তক্ষেপে উঠে যায় এই অবরোধ। তবে ভোর থেকে ট্রেন চালুর ব্যাপারে রেল কর্তৃপক্ষ তাদেরকে আশ্বাস করলেও সুনির্দিষ্টভাবে কবে থেকে ট্রেন চালু হতে পারে তা কিছু জানাতে পারেনি।