লালগড়ের নেতাই গ্রামে শহীদ বেদিতে ফুলের মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী, বিধায়ক ও নেতৃত্বরা।

0
317

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম:- শুক্রবার লালগড় থানার নেতাই গ্রামে নেতাই শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির উদ্যোগে শহীদ দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শহীদ বেদীতে ফুলের মালা দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান রাজ্যের সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র,ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ও বস্ত্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ এর সহ সভাধিপতি বিধায়ক অজিত মাইতি, ঝাড়গ্রাম এর প্রাক্তন সাংসদ ডাক্তার উমা সরেন ,বিধায়ক খগেন্দ্র নাথ মাহাতো, দুলাল মুর্মু,দেবনাথ হাঁসদা,দিনেন রায়, তৃণমূলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজয় হাজরা,যুব সভাপতি সন্দীপ সিংহ,তৃনমূল কংগ্রেসের নেতা গোপাল সাহা,নির্মল ঘোষ, অঞ্জনা মাহাতো ,শ্যামল মাহাতো ,নেতাই শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির সম্পাদক নান্টু অধিকারী সহ আরো অনেকে। সেই সঙ্গে শহীদ পরিবারগুলির হাতে ও আহতদের হাতে কিছু আর্থিক সাহায্য ও কিছু শীতবস্ত্র তুলে দেওয়া হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ।উল্লেখ করা যায় যে ২০১১ সালের ৭ ই জানুয়ারি নেতাই গ্রামে সিপিএম নেতা রথীন দন্ডপাট এর বাড়িতে হার্মাদ ক্যাম্পে থাকা সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর গুলিতে নেতাই গ্রামের চারজন মহিলাসহ ৯ জন নিহত হয় এবং ২৮ জন গ্রামবাসী আহত হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর নেতাই গ্রামে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ৭ ই জানুয়ারি শহীদ দিবস পালন করা হয়। শহীদ তর্পণ অনুষ্ঠানে রাজ্যের সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন ২০১১ সালের ৭ ই জানুয়ারির ঘটনা আজও আমরা ভুলে যায়নি। নেতাই সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম কে আমরা কোনদিনও ভুলিনি আগামীদিনেও ভুলবোনা। নেতাই এর মানুষের পাশে আমরা থাকবো সারা বছর নয় প্রতিনিয়ত ব্যক্তিগতভাবে নয় সমষ্টিগত ভাবে। নেতাই এর উন্নয়ন হয়েছে, আগামী দিনে আরো উন্নয়ন হবে। প্রথম থেকেই নেতাই এর মানুষের পাশে রয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আমরা তার সৈনিক হিসাবে নেতাই গ্রামে এসেছি। তিনি বলেন নেতাই এর ঘটনা ঘটার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটে এসেছিলেন । তিনি নেতাই এর মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সারাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা নেতাই এর মাটিকে কলুষিত করার চক্রান্ত করছে। যেকোনো ব্যক্তি শহীদ তর্পণ করতে পারে তাতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপির এক নেতা নেতাই গ্রামে এসে শহীদ শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানাবেন ।যার ফলে শহীদ বেদী কলুষিত হবে। তার প্রতিবাদ করবে নেতাই এর মানুষও নিহতের পরিবার ও আহতেরা। স্মৃতি তর্পণ করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু নেতাই নিয়ে রাজনীতি করার অধিকার সবার নেই। চীন থেকে মূর্তি এনে বহু মানুষকে উচ্ছেদ করেছিলো বিজেপি। এখানে যে শহীদ বেদী তৈরি হয়েছে সেই শহীদ বেদী শান্তির প্রতীক। তাই নেতাই শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটি শহীদ দর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ২০২১এর বিধানসভা নির্বাচনে অনেকেই মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলে ভাবনা করেছিলেন । কিন্তু বাংলার মানুষ তাদের হতাশ করেছে, তাই তারা হতাশায় ভুগছেন ।তাই যারা এই এলাকায় এসে নেতাই এর পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করবে নেতাই এর মানুষ। তিনি বলেন ২০১১ সালে নেতাই এর অবস্থা কি ছিল, বর্তমানে কি অবস্থা হয়েছে তা এই এলাকার মানুষ ভালো ভাবে জানেন। তাই তিনি নিহত দের পরিবারের সাথে ও আহতদের সকলের সাথে কথা বলেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। সেই সঙ্গে নেতাই শহীদ বেদী কে রক্ষা করার জন্য নেতাই গ্রামবাসীর কাছে আহ্বান জানান।