জলপাইগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- সমকাজে সমবেতন ও তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে গরুমারার ৫০ জন বনকর্মীদের বিক্ষোভ আন্দোলনে যোগ দিলেন গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের অধীনে থাকা বিভিন্ন বনবাংলোর কর্মীরাও। তাদের অভিযোগ তারাও প্রায় পাঁচ-সাত মাস বেতন পাচ্ছেন না বনদপ্তরের তরফ থেকে। শুক্রবার চতুর্থ দিনে পড়লো তাদের বিক্ষোভ ।
এদিন বিক্ষোভকারী দের এক প্রতিনিধিদল গরুমারার ডি এফ ও অংশু যাদবের কাছে তাদের দাবী নিয়ে দেখা করতে গিয়েছেন।
আগামীকাল শনিবার থেকে গরুমারায় বিভিন্ন রেঞ্জ অফিসে তালা মেরে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ দেখাতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
গত মঙ্গলবার থেকে গরুমারা জঙ্গলে একটি সংস্থার অধীনে মাসিক চার হাজার টাকা থেকে নয় হাজার টাকা বেতন পাওয়া ৫০ জন কর্মী কাজ বন্ধ রেখে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন গরুমারা গেটে। তাদের অভিযোগ, জঙ্গলে নজরদারি থেকে হাতির খাবার সংগ্রহ সবই করেন তারা।এর পাশাপাশি লোকালয়ে বন্যপ্রাণী এলে তাদের জঙ্গলে ফেরৎ পাঠানোর কাজও তাদের দিয়েই করানো হয়। অথচ তারা তিন মাস যাবত কোন বেতন পাচ্ছেন না তারা। পুজোর বোনাসও পাননি। ৪ দিন ধরে তারা সমস্যার সুরাহা করতে আন্দোলন করে চলেছেন।
এদিন তাদের আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন গরুমারার বেশ কয়েকটি বনবাংলোর দায়িত্বে থাকা আরও প্রায় ৫০ জন কর্মী। দাবী পূরণ না হলে আগামী কাল থেকে গরুমারায় বিভিন্ন রেঞ্জ অফিসে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
গতকাল রাতে আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলতে আসেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি ফোনে বনদপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলার। তারপরই এদিন রাত্রে গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের এডিএফও রিয়া গাঙ্গুলি ও গরুমারা সাউথ রেঞ্জের রেঞ্জার অয়ন চক্রবর্তী আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলতে আসেন। তারাও আন্দোলনকারীদের আন্দোলন তুলে নেওয়ার কথা বলেন। পাশাপাশি গরুমারা এই মুহূর্তে চারটি হস্তি শাবক রয়েছে তাদের দেখভাল এর সমস্যা হচ্ছে মাহুতরা কাজ না করায়। তাদের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য জানানো হয়েছে বনদপ্তরের তরফে। গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের ডিএফও অংশু যাদবের কাছে বিক্ষোভকারী দের এক প্রতিনিধিদল কথা বলছে বলে খবর লেখা অবধি জানা গিয়েছে।