করোনা রুখতে হাতা,খুন্তি রেখে চেলাকাঠ হাতে রাজপথে সচেতন করতেন নামলেন গৃহবধুরা।

0
797

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং -এর আগে তারা এককাট্টা হয়ে পাড়া থেকে মদের ঠেক তুলে মদমুক্ত গ্রাম গড়ার ডাক দিয়েছিলেন। হাতা,খুন্তির সাথে যাঁদের প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হয়,সেই সমস্ত গৃহবধুরা করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে এবার নামলেন রাজপথে। শুধু রাজপথে নামা নয়,রীতিমতো চেলা কাঠ হাতে গৃহবধু রেখা বিশাল,সুশীলা পৈলান,লক্ষ্মী সরদার,বীথিকা মাইতি,রীতা প্রামাণিক,শেফালি মাইতি,সুমিত্রা সরদার,টুম্পা সরদার,ঝর্ণা দাস,চন্দনা সরদার,বন্দনা সরদার,রুকমানারা গাজী,সালমা,সায়েদা গাজী সহ শতাধিক গৃহবধুরা সাতমূখী বাজার,দুমকি পূর্বপাড়া,জয়রামখালি,ছোট দুমকি এলাকায় করোনা সম্পর্কে সচেতন করেন সাধারণ মানুষকে ।শনিবার বিকালে এমই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন ক্যানিংয়ের নিকারীঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার হাজার হাজার মানুষজন।
বর্তমানে করোনা সংক্রমণ দ্রুতহারে বাড়ছে। আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ থেকে সরকারী আধিকারী,পুলিশ প্রশাসন,চিকিৎসক,নার্স,স্বাস্থ্যকর্মীরা।সরকারী বিধি নিষেধ অনুযায়ী সামাজিক দুরত্ববিধি মেনে এবং অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা।
কিন্তু করোনার প্রকোপ যে হারে বাড়ছে তেমনই মাস্কহীন মানুষের সংখ্যাটাও প্রতিনায়ত বাড়ছে। করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে হাতা খুন্তি ফেলে তাই রাজপথে নামলেন শতাধিক গৃহবধু ।মাস্কহীন অসচেতন মানুষ গুলোর জন্য রাজপথে নেমে মৃদু লাঠি উঁচিয়ে শাসন করে মাস্কহীন অসচেতন মানুষ গুলোকে সচেতন করলেন।তাদের হাতে তুলে দিলেন মাস্ক।
গৃহবধুদের এমন সচেতনতার বার্তা প্রসংশা জানিয়ে স্থানীয় মানুষজন।
দীপিকা দাস নামে এক গৃহবধু জানিয়েছে ‘করোনা সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে করে আগামী দিনে মহামারী আকার ধারণ করবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।করোনার তান্ডব রুখতে তাই আমরা সচেতন করছি সাধারণ মানুষকে।কারণ সচেতনতাই করোনা কে পরাস্ত করার একমাত্র মূল অস্ত্র’।