নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- কিছুদিন আগেই নদীয়ার কৃষ্ণনগরে নদীয়া বর্ধমান জেলার কুটির শিল্প নিয়ে ঘটা করে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সিনার্জি তাতে যোগদান করেছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রী আমলা থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন। আলোচিত হয়েছিল শোলা শিল্প মাদুলি শিল্প মিষ্টান্ন শিল্প সহ একাধিক কুটির শিল্পের পুনরুত্থান নিয়ে। অথচ
বছরের শুরুতেই তালা পড়লো কল্যাণী শিল্পাঞ্চলের ক্যাসেল ইন্ডাস্ট্রিতে। বেকার হলেন শতাধিক কর্মী। রাজ্যে নতুন শিল্প-সম্ভাবনা নিয়ে যখন ডামাডোল চলছে তখন নতুন করে আরেকটি কারখানা বন্ধ হওয়াতে সাধারণের জীবন ও জীবিকাতে ভাটা পড়েছে। বছরের শেষ মাসে ডিসেম্বরের ৫ তারিখ রাতের অন্ধকারে এই কারখানায় সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়ে দিয়েছে মালিক পক্ষ। অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত ইউনিয়ন থাকা সত্ত্বেও নেতৃত্ব এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না।
জানা গেছে, ৫ ডিসেম্বর কোম্পানি সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস দিলেও কর্মীদের হাজিরা খাতায় সই করতে আসতে হচ্ছে। তাও একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। তার পরে এলে সই করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি এই শতাধিক কর্মী নভেম্বর মাসের বেতনও পাননি। এ বিষয়ে তৃণমূল পরিচালিত আইএনটিটিইউসি-র নেতৃবৃন্দ জানালে আশ্বাস ছাড়া কোনও সুরাহা মেলেনি। কর্মীদের আরও অভিযোগ, আইএনটিটিইউসি-র নতুন কমিটি গঠন করা হলেও পুরনো কমিটি দায়িত্ব ছাড়ছেন না। স্বভাবতই কর্মীদের এ দুরাবস্থার সময় তৃণমূল পরিচালিত শ্রমিক ইউনিয়ন দ্বিধা বিভক্ত হওয়ার ফলে কোন আশার আলো দেখছেন না কর্মীরা। তাঁরা রয়েছেন দোলাচলে।
এসবের প্রতিবাদে ক্যাসেল ইন্ডাস্ট্রির কর্মীরা শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন কারখানার গেটে।