উঃ দিনাজপুর, রাধারানী হালদারঃ- দিনে দুপুরে হাত সাফাই করতে গিয়ে গৃহকর্তার নজরে পড়েই ভেস্তে গেলো চুরি। ধরা পড়ে উত্তম মধ্যম খেলো এক যুবক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছলে পুলিশের সাথেও বচসা এলাকাবাসীদের। আহত যুবককে উদ্ধার করে আটক করল পুলিশ। রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জের পালপাড়ার ঘটনায় উত্তেজনা।
রবিবার দুপুরে সুভাষগঞ্জের পালপাড়া এলাকায় একটি বাড়ির পাশে জঙ্গলে দুই যুবককে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় গৃহকর্তার। গৃহকর্তাকে এগিয়ে আসতে দেখে চম্পট দিতে নিলে দুজনের মধ্যে একজনকে ধরা পড়ে যায়। অপরজন পালিয়ে যায়। এরপর একে একে এলাকাবাসীরা জড়ো হতেই শুরু হয় মারধোর। কাঠ জাতীয় কিছু দিয়ে আঘাতের সাথে যথেষ্ট উত্তম মধ্যম খেতে হয় ওই যুবককে।
বেশ খানিক্ষন এই ঘটনা চলার পর খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পুলিশের সাথেও বচসা বাধে বাসিন্দাদের। পুলিশ মারধোরের প্রতিবাদ করতেই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এলাকাবাসীরা। এদিকে উত্তজনা চরমে ওঠায় আরো বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে শক্তিনগরের বাসিন্দা আহত ওই যুবককে উদ্ধার করার পাশাপাশি আটক করে রায়গঞ্জ মেডিকেলে নিয়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দিনেদিনে ওই এলাকায় বেড়ে চলেছে চোরেদের উপদ্রব। দিনেরাতে যখনই হোক, বাড়ি ফাকা পেলেই হাত সাফাই সারছে চোরের দল। শনিবার রাতেও চুরির ঘটনা ঘটে ওই এলাকায়। এরপর সন্দেহভাজন দুই যুবককে একটি বাড়ির পাশে ঝোপে লুকিয়ে থাকতে দেখেই তাদের সন্দেহ হওয়ায় তাদের একজনকে ধরে ফেলতেই তারা চুরির উদ্দ্যেশ্যেই জড়ো হয়েছিল বলে স্বীকার করে নেয় বলে দাবী। আর এতেই উত্তেজিত হয়ে ওই যুবককে প্রহার ও মারধর করা হয় বলে দাবী।
এদিকে খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে এলাকায় পুলিশি নজরদারী নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাসিন্দাদের একাংশ। পালটা গন পিটুনির বিষয়ে পুলিশ প্রতিবাদ করতেই পালটা বাসিন্দাদের একাংশের সাথেই বচসা বাধে পুলিশের। এতে উত্তেজনা আরো বেড়ে যায়। আরো পুলিশ বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবককে আটক করে চিকিৎসার জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেলে নিয়ে যায়। এদিকে নিত্যদিন বেড়ে চলা চুরির ঘটনায় পুলিশি নজরদারী বৃদ্ধির দাবী করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।