নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:– বৈধ পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই মেয়ের চিকিৎসার জন্য কবিরাজ দেখাতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে চলে গিয়েছিলেন বাংলাদেশে। যদিও এই অঞ্চলটি কাঁটাতারের ওপারে হলেও ভারতীয় বাসিন্দা তারা, দীর্ঘদিনের অভ্যাসগত কারণে চাষাবাদ এবং অন্যান্য প্রয়োজনে পাশের গ্রামে মাঝেমধ্যেই যেতে হয়, তবে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের উপর নির্ভর করে নিয়মকানুন কড়াকড়ি । কিন্তু গ্রামের ছাপোষা মানুষ অতশত না বুঝেই চলাফেরা করে থাকেন স্বাচ্ছন্দে । কোন অপরাধ না হলেও মাঝেমধ্যেই এই গ্রামের অধিবাসীদের লঘু পাপে গুরু দণ্ড পেতে হয় অনেকেই। স্বাভাবিকভাবে বেআইনি অনুপ্রবেশের জন্য বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীদের হাতে মেয়ে সমেত ধরা পড়ে যান নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার মাটিয়ারী কুলুপাড়ার বাসিন্দা ভুলু বিবি। সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদেরকে তুলে দেয় বাংলাদেশ পুলিশের হাতে। সেখান থেকেই বিচারব্যবস্থায় ১৬ মাস ধরে জেল খাটতে হয় ভুলু বিবি ও তার মেয়ে শোভা খাতুনের। যদিও স্বামী আনিসুর আলী পড়েছিলেন বাড়িতেই। স্ত্রী ও মেয়েকে ফেরানোর জন্য তিনি নদীয়া জেলা পুলিশ প্রশাসন শুধু নয়, নবান্ন পর্যন্ত দৌড়ঝাঁপ করেছিলেন। তার মেয়ে এবং স্ত্রীকে যেন দেশে ফেরানো হয়, এই আবেদন নিয়ে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি থেকে জেলা প্রশাসন সকলের কাছে ধরা পড়েছিলেন স্বামী আনিসুর আলী।অবশেষে সোমবার এলো সেই দিন। বাংলাদেশ পুলিশের আধিকারিক এবং শুল্ক দফতরের লোকজন এপারে এসে ভুলু বিবি ও তার মেয়ে শোভা খাতুনকে নদীয়া জেলা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। যদিও তাদের ফেরানোর জন্য বিশেষ উদ্যোগী হয়েছিলেন কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ঈশানি পাল।স্ত্রী মেয়ে অবশেষে ঘরে ফিরে আশায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন ভুলু বিবির স্বামী ও তাদের এলাকার লোকজন।