নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- একটি পশ্চিমীঝঞ্ঝা লাদাখ ও সংলগ্ন অঞ্চলে অবস্থান করছে। পশ্চিমবঙ্গসহ পূর্ব ভারতে থেকেই এই ঝঞ্ঝা এবং এর অক্ষরেখার প্রভাব পরতে শুরু করেছে। ১৩ই জানুয়ারীর মধ্যে পশ্চিম হিমালয়ে আরও একটি পশ্চিমীঝঞ্ঝার প্রভাব পরতে পারে, এটি একটি দুর্বল ঝঞ্ঝা। পরবর্তী শক্তিশালী ঝঞ্ঝা আসতে পারে ১৭ই জানুয়ারীর মধ্যে।
বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকে পড়েছে। সে কারণে ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। কলকাতার তাপমাত্রার পারদ এক ধাক্কায় ১৯ ডিগ্রির ঘরে চলে এসেছে। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই প্রথম দফার ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে।এ দিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা উঠে গিয়েছে ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। তাপমাত্রা বেড়েছে দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র।
জলীয় বাষ্প প্রবেশের ফলে বাধা পেয়েছে উত্তুরে হাওয়া। অন্যদিকে, কিছুটা দখিণা হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সে কারণেই আবহাওয়ায় এই আমূল পরিবর্তন এসে গিয়েছে।
ওই জলীয় বাষ্পের সঙ্গেই সংমিশ্রণ হবে উত্তর ভারত থেকে এগিয়ে আসা একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার। সে কারণেই বিকেলের পর থেকে ঝাড়খণ্ডের ছোটোনাগপুর মালভূমি অঞ্চলে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হতে শুরু করবে। গরমকালে যে প্রক্রিয়ায় কালবৈশাখী ঝড় তৈরি হয়, কতকটা সেই ভাবেই এ দিনের ঝড় তৈরি হতে পারে।
ইতিমধ্যেই সোমবার ঝাড়খণ্ডের বিক্ষিপ্ত কিছু জায়গায় ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সেটা দক্ষিণবঙ্গেও ছড়িয়ে পড়বে। আগামী তিন চার দিন দফায় দফায় এমন ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। তবে শুক্রবার বৃষ্টির দাপট কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ওপরে কিছুটা বেশিই থাকতে পারে।
এই বৃষ্টির পালা মিটলেই, শনিবার থেকে ফের হুহু করে কমতে শুরু করবে তাপমাত্রা। কলকাতার পারদ ফের একবার ১০-১১ ডিগ্রির কাছাকাছি নেমে যেতে পারে বেশকিছু জেলাতে তারও নীচেতে ।