আবদুলহাই বাঁকুড়াঃ বাঁকুড়া জেলার সোনামুখীর বাসিন্দা বিকাশ রায়। বিকাশ বাবুর জন্ম কলকাতার কুমারটুলির পাশেই। ছোট থেকে দেখেছেন কুমারটুলির বিভিন্ন শিল্পীদের কাজ। উনিও ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন ছবি আঁকতেন, গড়তেন মাটির নানা রকম জিনিসপত্র। যেটাই করতেন উনার বাবা-মা সেটারই প্রশংসা করতেন। সেখান থেকেই উৎসাহ পেয়ে ধীরে ধীরে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হয়ে ওঠেন বিকাশ বাবু। হাতের কাজের পাশাপাশি গান-বাজনাতেও অসাধারণ আগ্রহ ছিল তাঁর।
পরবর্তীকালে চাকরিসূত্রে কলকাতা থেকে আসেন বাঁকুড়ার সোনামুখীতে। বিকাশ বাবু পেশায় ছিলেন একজন প্রাথমিক শিক্ষক। শিক্ষার্থীদের আরও সহজভাবে শিক্ষাদানের জন্য তিনি ব্যবহার করতেন তার নিজের তৈরি বিভিন্ন শিক্ষার উপকরণ। সকালে কাঠের কাজ, তারপর স্কুল এবং ফিরে এসে গান বাজনা। এইভাবে কাটতো বিকাশ বাবুর জীবন। এখন তিনি শিক্ষকতা থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন, তাই অবসর জীবনের বেশিরভাগ সময়টাই কাঠের কাজ এবং গান বাজনা নিয়ে থাকেন।তার হাতের তৈরি সুদৃশ্য কাঠের কাজ গুলিতে ফুটিয়ে তুলেছেন পল্লী বাংলার বিভিন্ন কাজকর্মকে, আবার অসাধারণ দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেছেন। আবার কখনো ছোট্ট নাতীর আবদার রাখতেও বানিয়ে ফেলেন নানান জিনিসপত্র।ছোট নাতিটিও বেজায় খুশি দাদুর শৈল্পিক কাজকর্মের জন্য।
কাঠ দিয়ে এত সুন্দর জিনিষ তৈরি করা যায় তা কিন্তু বিকাশ বাবুর কাজ গুলো না দেখলে বোঝা যায় না।
আরেকটা সবচেয়ে বড় কথা বিকাশ বাবুর পরিবারের সকলেই বিভিন্ন শিল্পকলার সাথে যুক্ত।স্ত্রী, দুই ছেলে,এক বৌমা এবং নাতিকে নিয়ে বিকাশ বাবুর পরিবার,তার এক ছেলে কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। প্রত্যেকেই শিল্পকলা কে ভালোবেসে বাড়িটিকে করে তুলেছেন একটা আস্ত শিল্পালয়।