নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের সীমান্ত লাগোয়া নালুপুর গ্রামে দেখা গেলো এক ভিন্ন দৃশ্য, সেখানকার মহিলারা আজও ঢেঁকিতে চাল গুঁড়া করছেন।

0
339

নদিয়া-কৃষ্ণগঞ্জ, নিজস্ব সংবাদদাতা:- আগেকার দিনের মানুষের পৌষ পার্বণ অর্থাৎ পিঠেপুলির একমাত্র অবলম্বন ছিল কাঠের ঢেঁকি। যেকোন গ্রামে গেলে দেখা যেত পৌষ পার্বণ আসার আগেই বাড়ির মহিলারা সকালবেলা আতপ চাল ভিজিয়ে রেখে সেই চাল শুকনো করে তা ঢেঁকিতে নিয়ে গিয়ে সুন্দর গুড়ো করে নিয়ে আসতেন। তা দিয়েই সুন্দর সুন্দর পিঠে পুলি তৈরি করতেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মানুষের ভাবনার পরিবর্তন হয়েছে এখন আর কেউ ঢেঁকিতে নির্ভর করে না বল্লেই চলে, সবাই মেশিনের সাহায্যে গুড়ো করে নিয়ে আসে এবং তা দিয়েই পিঠে তৈরি করে। কিন্তু এখনো এমনও গ্রাম আছে যারা এই পৌষ পার্বণের সময় একমাত্র ভরসা করে সেই পুরনো দিনের ঢেঁকির উপর। নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের সীমান্ত লাগোয়া নালুপুর গ্রামে দেখা গেলো এক ভিন্ন দৃশ্য । সেখানকার মহিলারা আজও ঢেঁকিতে চাল গুঁড়া করছেন। ঐ গ্রামের মহিলাদের বক্তব্য এই চালের গুড়োর পিঠে ভালো হয় ও সুস্বাদু হয় কিন্তু মেশিনের গুড়োর পিঠে ভালো হয়না। যুগ পরিবর্তন হয়েছে উপর দিয়ে আকাশে প্লেন উড়ছে মাটির তলা দিয়ে মেট্রো রেল, গঙ্গা নদীর বুকে মেট্রোরেল কিন্তু এখনো অনেক এলাকায় সেই পুরনো দিনের স্মৃতি আগলে পড়ে আছে। পুরানো দিনের ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখার প্রয়াসকে আমরা কুর্নিশ জানাই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here