পৌষ সংক্রান্তিতে পুণ্যস্নানের জন্য জেলার সর্বত্রই ঘাটে দেখা গেল ভিড়,তবে করোনা বিধি মেনেই হচ্ছে গঙ্গা পুজো,পুলিশের টহলদারি।

0
437

নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুর:- বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ, আর এই বারো মাসে তেরো পার্বনের মধ্যে পৌষ সংক্রান্তি উৎসব যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে সারা বাংলায়,পৌষ সংক্রান্তিতে পুণ্য স্নানের জন্য শুক্রবার সকাল থেকেই ভিড় লক্ষ্য করা গেল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন নদীর ঘাটে। শীত উপেক্ষা করেই এই দিন তমলুকে স্টিমারঘাটে ও কপালমোচন ঘাটে রূপনারায়ণে ডুব দিলেন কয়েক হাজার পুণ্যার্থী। মকর উপলক্ষে তমলুকের কপালমোচন ঘাটের কাছে বসেছে বারুণী মেলার আসর। তবে মহামারী ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের জন্য সরকারি নির্দেশে মেলা না হলেও বিভিন্ন গ্রামীণ কুটির শিল্পীরা হরেক রকম মাটি, বাঁশ, বেত দিয়ে তৈরি ঘর সাজানোর সামগ্রী, খাবারের স্টল সাজিয়ে বসেছেন বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা। তমলুক শহরের উত্তরচড়া শঙ্করআড়া এলাকার শান্তি সঙ্ঘের উদ্যোগে গঙ্গা পূজার আয়োজন-সহ বারুণী মেলা এই বার ৫২ তম বছরে পা দিয়েছে। করোনা বিধি থাকার কারণে শুধুমাত্র পুজো হচ্ছে, বাকি সমস্ত সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান রয়েছে বন্ধ রয়েছে।ঐতিহ্যবাহী কপালমোচন ঘাট ও রূপনারায়ণ নদীতে মকর স্নানের জন্য আসা পুণ্যার্থী-সহ প্রতি বছর মেলায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে।তবে এই বার কোভিড বিধি থাকার কারণে তুলনামূলক কিছুটা ভিড় কম দেখা যায় জেলার বিভিন্ন নদী ঘাটগুলোতে।পাশাপাশি একই চিত্র উঠে আসে কোলাঘাটের গৌরাঙ্গ কাঠ সহ বেশ কয়েকটি ঘাটে, তবেই পুণ্যস্নান কে ঘিরে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এবং সবাই যাতে সরকারি গাইডলাইন মেনে এই উৎসবে শামিল হয় তার নজরদারির জন্য মোতায়েন রয়েছে পুলিশ, এই দিন এমন চিত্র উঠে এলো, এই সম্বন্ধে পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে আগত এক পুণ্যার্থী বলেন গতবারের তুলনায় এই বছর কিছুটা সচল হলেও আমাদের সব সময় সরকারি গাইডলাইন মেনে চলা উচিত, আমরা নিজেরাও সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বলছি তারা যেন অবশ্যই মাক্স পরি ধারণ করে এই উৎসবে শামিল হয়।